সময়ের প্রতিবিম্ব-টিআইবির জরিপ ও বিচারপতির বিচার by এবিএম মূসা

আমার প্রয়াত বন্ধু এম আর আখতার মুকুল একটি বই লিখেছিলেন আমি বিজয় দেখেছি। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর মুকুলকে বললাম, ‘বন্ধু, এবার লিখতে পারিস, বিজয় যতটুকুই বা পেয়েছিলাম, তাও হারিয়েছি অথবা হারিয়ে যাবে।’ সত্যি বলতে, একাত্তরের বিজয়ের সব প্রত্যাশার হয়তো অব্যবহিত স্বল্পকালীন সময়ে পুরোপুরি প্রাপ্তি ঘটেনি।


তবুও যা পেয়েছিলাম, তাই বা কম ছিল কিসে। স্বাধীন জাতিসত্তা পেয়েছিলাম, দুর্বোধ্য পাকিস্তানি ফারসি-উর্দু মেশানো জাতীয় সংগীতের পরিবর্তে মায়ের ভাষায় বলতে পেরেছি, ‘আমি তোমায় ভালোবাসি।’ পুরো প্রাপ্তি ছিল সময়ের ব্যাপার, সেই সময়টুকু পার হওয়ার আগেই পঁচাত্তরে বিজয় হারিয়ে গেল। তবে ২০১০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত যদি মুকুল বেঁচে থাকত, তাকে বলতাম, ‘এবার লিখতে পারিস, “বিজয় ফিরে পেয়েছি”।’ সত্যি বলছি, গত ৩৯ বছরে, এমনকি একাত্তরের অব্যবহিত পরের বছরগুলোতেও স্বাধীন জাতির এমন উল্লাস, বিজয়ের আনন্দের অবারিত উচ্ছল প্রকাশ দেখিনি, যেমনটি দেখেছি ২০১০ সালের ডিসেম্বরে। নিজস্ব সুখের আবেশে অতিমাত্রায় আবিষ্ট হয়েছি আজ যখন নতুন প্রজন্মের মাঝে একাত্তরের বিজয়ের প্রতিধ্বনি শুনতে পেলাম, প্রত্যাবর্তন দেখলাম।
বিজয় দিবস নিয়ে আজকের প্রতিবেদনের সূচনা করেছি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য। এবারের বিজয় দিবসে একাত্তরের উদ্দীপনাময় গানগুলো মাসভর, দিবারাত্রি, সর্বত্র, গণমাধ্যমে, পাড়া-মহল্লায় বারবার শুনছি। বিজয় দিবস ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিস্তারে মন ভরে গেল, যখন বুঝলাম সেসব গানের মর্মার্থ সারা দেশে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে গেছে। যারা বিজয় দেখেছে, হারিয়েছে আবার পেয়েছে, তাদের মাঝে নস্টালজিয়া তথা হূদয় মোচড়ানো স্মৃতি জাগিয়েছে। কী সব সেই গান, শুনলে প্রাণ-মন শিহরিত হয়, চিত্তে উন্মাদনা জাগে। প্রথম আলোর নব-উত্থাপিত ধ্বনির প্রতিধ্বনি করে বলতে হয়, এসব গান ‘মাকে নতুন করে ভালোবাসতে শিখিয়েছে’। ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’, ‘একটি ফুলকে বাঁচাব’ অথবা রবীন্দ্র-নজরুলের উদ্দীপক গান, সবই শুনলাম, বারবার শুনলাম। কিন্তু একটি গান জ্ঞানত অথবা অজান্তে কেউ গাইলেন না কেন?
সেই গানটি হচ্ছে, ‘বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা, আজ জেগেছে সেই জনতা’। গানটি যত দূর মনে পড়ে গত শতাব্দীর চল্লিশের দশকে গণনাট্যসংঘের সলিল চৌধুরী রচিত। সেই গানটি এবারের বিজয় দিবসের শত অনুষ্ঠানে, টেলিভিশন অথবা বিজয়োৎসবের মিলনমেলায় গীত হয়েছে বলে শুনিনি। অবশেষে টিআইবি গানটি আমাকে ও সবাইকে মনে করিয়ে দিল। পুরো গানটি নয়, টিআইবি বলেছে ‘বিচারপতি তোমার বিচার’ পর্যন্ত, কারা ‘করবে’ একটি জরিপের প্রকাশে তাদের কথা বলা হয়নি। তবে বিচারপতির বিচার হোক না-হোক, টিআইবির বিচার শুরু হয়ে গেছে। সেই বিচার চলছে নানা পর্যালোচনা আর স্বয়ং প্রধান বিচারালয় কর্তৃক পর্যালোচনার মাধ্যমে। টিআইবির প্রতিবেদন ব্যাপক প্রচার ও প্রসার লাভ করেছে—এক. সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক গুঞ্জরণে। দুই. চিন্তাশীল সুধী সমাজে বিজ্ঞ আলোচনায়। তিন. দেশের বিচারকাজে যাঁরা জড়িত এবং বিচারব্যবস্থা যাঁরা নির্ধারণ, নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করেন তাঁদের চিন্তা-চেতনায়। চার. যাঁরা টিআইবির বর্ণিত প্রতিবেদনের সারকথা আদালতে অথবা আদালত চত্বরে, আদালতে প্রবেশ-নির্গমনের সময় এবং বিচারের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হন, তাঁদের তিক্ত অভিজ্ঞতায়। তাঁদেরই কয়েকজন আমাকে নানা মাধ্যমে জানিয়েছেন, তাঁদের না বলা কথা টিআইবি বলেছে। কেউ আবার বলেছেন, এসব তো জানা কথা, টিআইবি নতুন আর কী বলেছে।
মজার কথা হলো, টিআইবি বোমা ফাটানোর আগে আমাদের অতি প্রজ্ঞাবান বর্তমান প্রধান বিচারপতি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই কিন্তু প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে টিআইবির কথাগুলো বলে এসেছেন। ভাষা ছিল ভিন্ন, কিন্তু প্রকাশ ও মর্মার্থ ছিল সমপর্যায়ের। এসব কথা তিনি দৃঢ় কণ্ঠে বলেছেন, বিচারকদের সমাবেশে, গণমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনায়।
দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক দিন আগে তাঁর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত পর্যায়ে একটি অন্তরঙ্গ পরিবেশে দীর্ঘক্ষণ বিচারকদের আচরণ ও তাঁদের বিচার পরিচালনা, সামগ্রিক বিচারব্যবস্থা নিয়ে ঘরোয়া আলাপ হয়েছে। অপ্রাসঙ্গিক হলেও বলছি, সেই সাক্ষাতের দিনে একটি অতি পুরোনো বাড়ি আর তার ভেতরের চাকচিক্যবিহীন সাদামাটা গৃহসজ্জা, সারা ঘরে ছড়ানো-ছিটানো প্রচুর বইয়ের স্তূপে তাঁকে দেখে প্রথমে থতমত খেয়ে গিয়েছিলাম। সেই সাক্ষাতের আগেই জানতে পেরেছিলাম, তিনি কী হতে যাচ্ছেন। সেদিন আমার তাৎক্ষণিক অনুভূতি হয়েছিল, এই লোকই পারবেন আমাদের বিচারক ও বিচারব্যবস্থাকে সমালোচনা-দুর্নাম কণ্টকিত বিরূপ প্রচারের গণ্ডি থেকে বাইরে এনে অনেকখানি পূর্ব গৌরবের আসনে ফিরিয়ে আনতে। তিনিই হয়তো হবেন আরেকজন মাহবুব মোর্শেদ, মোহাম্মদ হোসেন অথবা কায়ানি। অতঃপর দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁর বিভিন্ন সমাবেশে প্রদত্ত বক্তব্য, সর্বশেষ সম্পদের হিসাব প্রদানের নজিরবিহীন পদক্ষেপ প্রমাণ করেছে, আমার ভাবনাটি কত সঠিক ছিল।
যা হোক, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মানিত আসনে বসে নতুন প্রধান বিচারপতি প্রথমেই বিচারপতিদের বললেন, ‘ফ্রিজ আর টেলিভিশন নেবেন না।’ আরও বললেন, ‘আপনারা কীভাবে অধস্তনদের মাধ্যমে কী আদান-প্রদান করেন, তাও জানা আছে।’ আক্ষরিক অর্থে এ কথাগুলো বলেছেন কি না, মনে পড়ছে না। তবে শুনে-পড়ে বুঝেছিলাম, আমাদের প্রধান বিচারপতি বিচারপ্রার্থী, আদালতের দোরগোড়ায় মাথা ঠোকানো ব্যক্তিদের মনের কথা জানেন, বোঝেন ও বলেছেন। টিআইবির জরিপ রিপোর্টটি তাঁরই এই জানা-বোঝা আর প্রতিধ্বনি, উপলব্ধির বহিঃপ্রকাশ। টিআইবি আধুনিককালের চলতি প্রথার ‘জরিপ’ করে তাঁর বক্তব্যকেই অনেকখানি পুনর্ব্যক্ত করেছে বলে মনে হয় না কি? সেই জরিপের তথ্য-উপাত্ত চেয়ে পাঠিয়েছেন ও পেয়েছেন আমাদের প্রধান বিচারপতি। কেন চেয়েছেন, প্রথমে বুঝিনি। সর্বশেষ তিনি যে নির্দেশ দিয়েছেন, তাতে মনে হলো, জরিপের পদ্ধতি অথবা জরিপপ্রথার সত্যিকারের প্রয়োগ জানতে চেয়েছেন। ‘বিচারপতির বিচার’ জনতা নয়, বিচারকেরাই করবেন, তিনি এ বার্তাই সর্বসাধারণ্যে পাঠিয়েছেন।
তার পরও টিআইবির রিপোর্ট অথবা এর প্রতিক্রিয়ার সত্যতা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। রিপোর্টের উপাত্তের বিশ্লেষণ প্রয়োজন। শুধু তথ্য-উপাত্ত পরীক্ষা নয়, উচ্চ আদালত সরকারকে বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে টিআইবি বর্ণিত নির্দিষ্টভাবে বিচারকদের নয়, সমগ্র বিচার-প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির প্রচারের ব্যাপকতা যাচাই করতে নির্দেশ দিতে পারেন। আমাদের নীতিনির্ধারক অথবা সরকারের ক্ষমতার শীর্ষে অবস্থিত ব্যক্তিরা নিজেদের আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, চেনা-পরিচিত মহল অনেকেই একবার কোনো না কোনো কারণে আদালতের চত্বর ঘুরে এসেছেন, দিনের পর দিন আইনজীবীর দুয়ারের চৌকাঠ পার হয়েছেন। টিআইবির রিপোর্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারকেরা জরিপের উপাত্তের যথার্থতা তাদের কাছ থেকেও জেনে নিতে পারেন। সত্যি কথাই বলতে হয়, টিআইবির জরিপ-উপাত্ত পড়ে মনে হয়েছে, ব্যক্তি বা বিচারের ক্ষেত্র বিশেষে দুর্নীতি নয়, বিভিন্ন স্তরে বিচারপ্রার্থীর হয়রানি ও বিড়ম্বনা বিচারব্যবস্থায় কতখানি দুর্নীতি জড়িত এবং নিম্ন থেকে উচ্চতম পর্যায়ের ইনসাফ পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের সত্য-মিথ্যা সব ধারণাই টিআইবির জরিপের অন্তর্নিহিত তথ্য।
এতদসম্পর্কীয় নিজের অভিজ্ঞতার কথাই বলি না কেন। বছর দশেক আগে বিদেশে অবস্থান করার কারণে সময়মতো আয়কর হিসাব জমা দিতে পারিনি। কয়েক মাস আগে এক-এগারো সময়কালে মোহাম্মদপুর থানা থেকে মাত্র ৬০ হাজার টাকা আদায়ের জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে এক পুলিশ হাজির। পরোয়ানা নিয়ে এসে মহা বিব্রত পুলিশ-কর্তা বললেন, ‘স্যার, আপনাকে বেঁধে নেব কী করে? আগামীকাল আপনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে ফয়সালা করে ফেলেন।’ দৌড়ালাম পরম বন্ধু স্থানীয় প্রখ্যাত আইনজীবী রেজাউর রহমানের চেম্বারে। তিনি উপদেশ দিলেন, ‘আগে টাকাটা দিয়ে দিন, তারপর দেখব, কেসটা কী?’ যথারীতি আদালতে টাকা জমা দিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার নথি ঘেঁটে জানতে পারলাম, এর আগে কয়েকবার নাকি সমন জারি হয়েছিল। সমন ফেরত এসেছে, ‘বিবাদীকে পাওয়া যায়নি।’ সপ্তাহে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শক আমাকে টেলিভিশন টক শোতে দেখেন, পত্রিকার পাতায় প্রতিবেদন পড়েন। যে পাড়ায় ৪০ বছর আছি, সেখানে ও আশপাশে বসবাসকারী সবাই এক নামে চেনেন। কিন্তু সমন জারিকারী আমাকে খুঁজে পাননি, আর বিচারকও খতিয়ে দেখলেন না, একেবারে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে হলো কেন? হয়রানিমূলক আরেক মামলার একটুখানি বিবরণ দেব। আমার মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা, আওয়ামী লীগ সরকার আমলে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ নিয়ে উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশ গেল। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এল। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী মঈন খান বোধ হয় ‘বঙ্গবন্ধু’ নামকরণ শুনেই বৃত্তি বন্ধ করে দিলেন। শ্রদ্ধাভাজন আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের মাধ্যমে রিট করলাম। মামলায়ও জিতলাম, কিন্তু আদালতের সেই আদেশ মন্ত্রণালয়ে পৌঁছাতে কত দিন লেগেছে, কত ঘাটে কত পানি ঢেলেছি, তা আর না-ই বা বললাম। অতঃপর কোনো বিচারকের অথবা আইনজীবীর কারণে বিচারপ্রার্থীর কী ধরনের হয়রানি হয়, সেই উদাহরণ দেব।
একটি প্রখ্যাত দৈনিক পত্রিকার দুই মালিকের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে একজন মালিকানা হারালেন। দ্বিতীয় ব্যক্তি নতুন পত্রিকা প্রকাশের অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়ে প্রেস কাউন্সিলে আপিল করলেন। প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি এবাদুল হক পত্রিকা প্রকাশের অনুমতি দিলেন। কোনো একজন সেই অনুমতিতে আপত্তি জানিয়ে উচ্চতর আদালতে রিট করলেন। একজন সর্বজন সম্মানিত অতি দাপুটে আইনজীবী সভা-সমিতিতে নিয়মিত হাজিরা দিয়ে টেলিভিশনে বিচারক ও বিচারকার্যের সমালোচনায় কথার ঝড় বইয়ে দেন। কিন্তু বাদীর পক্ষে আদালতে সেই মামলায় শুনানির দিন অসুস্থ হয়ে পড়েন। মহামান্য বিচারপতিও শুনানি মুলতবি করতে থাকেন, একবার-দুবার নয়, সপ্তাহ-মাসের ব্যবধানে নয়বার। তারপর তো তিনি উচ্চতর পদে চলে গেলেন, এবার সেই রিটের কী হবে, আইনজ্ঞরাই বলতে পারেন। এ ক্ষেত্রে বিচারিক জটিলতার জন্য কাকে দায়ী করব, আইনজীবীকে, নাকি বিচারিক জটিলতাকে? প্রশ্নটি আমার পরম শুভাকাঙ্ক্ষী আইনমন্ত্রীকে করেছিলাম।
কী উত্তর দিয়েছিলেন, তা না-ই বা বললাম। ব্যক্তিগত কাহিনির সংখ্যা বাড়ালাম না। কারণ, এমন অভিজ্ঞতা অনেকেরই এবং সেসবের কয়েকটির ভিত্তিতে টিআইবির জরিপপত্র তৈরি হয়েছে। কিন্তু টিআইবি দুর্নীতির জরিপ করেছে, ভোগান্তি মামলার চক্করে পড়ে সর্বস্বান্ত হওয়া ব্যক্তিদের দুঃখের কাহিনি রিপোর্টে কতখানি আছে? জানি না।
বর্ণিত প্রকৃতির বিচারব্যবস্থার সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেই পরম শ্রদ্ধেয় প্রধান বিচারপতি কর্তৃক টিআইবির তথ্য-উপাত্ত যাচাই করতে চান, এ ধারণা নিয়ে আমি আশান্বিত হয়েছি। তিনি টিআইবির রিপোর্ট প্রশ্নবিদ্ধ করেননি, আমলে নিয়েছেন। একাত্তরের সেই গানটির শেষ চরণটি ভিন্ন পরিমণ্ডলে বিবেচনা করছেন। ‘আজ জেগেছে সেই জনতা’ নয়, বিচারপতিদের বিচার তথা বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তির প্রতিকার আমাদের সব দুঃখ-বেদনায় শেষ আশ্রয়স্থল সর্বোচ্চ আদালত স্বয়ং করবেন।
পরম শ্রদ্ধেয় প্রধান বিচারপতি এবং সর্বোচ্চ আসনে অবস্থিত বিচারপতিদের কাছে একটি অতিরিক্ত আরজি পেশ করে প্রতিবেদনের ইতি টানছি। বিচার বিভাগ সম্পর্কে অন্য আরেকটি বক্তব্য সর্বসাধারণ্যে বর্তমানে চালু আছে। তাঁরা নাকি ক্ষমতাসীন সরকার দ্বারা প্রভাবিত হন, নির্দেশের অপেক্ষায় থাকেন। এ নিয়ে আপাতত কোনো আলোচনা করলাম না। শুধু প্রধান বিচারপতির কাছে আরজি পেশ করলাম, এই ধারণাটি বাস্তব অথবা অমূলক যা-ই হোক, জনগণের তথা বিচারপ্রার্থীদের মন থেকে মুছে দিন।
এবিএম মূসা: সাংবাদিক ও কলাম লেখক।

No comments

Powered by Blogger.