রুখে দেওয়ার প্রস্তুতি আওয়ামী লীগের by পার্থ প্রতীম ভট্টাচার্য্য
ইলিয়াস আলী নিখোঁজ ঘটনা নিয়ে বিরোধী দলের কঠোরতর আন্দোলনের হুঁশিয়ারির বিপরীতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও কঠোর অবস্থান নিতে যাচ্ছে। শনিবার পর্যন্ত বিএনপির আলটিমেটাম এবং দেশে আন্দোলনের আগুন জ্বালানোর হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ 'বিএনপির অপরাজনীতি' রুখে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এভাবে রীতিমতো মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, পর পর তিন দিনের হরতালে বাধা না দিলেও আগামী দিনে বিএনপি হরতালের মতো কর্মসূচি দিলে তা প্রতিহত করতে সরাসরি মাঠে নামবে সরকারি দল। সে ক্ষেত্রে তাদের ভাষায় 'অরাজকতা' ঠেকাতে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেবেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। বিরোধী দলকে হরতালের পক্ষে মিছিল কিংবা পিকেটিং করতে দেওয়া হবে না- এমন সিদ্ধান্তও নিতে যাচ্ছেন তাঁরা।
দলীয় সূত্র জানায়, দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং দলের পক্ষ থেকে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে আজ বৃহস্পতিবার শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। গণভবনে দুপুরে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির কর্মসূচির বিপরীতে নিজ দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারের দাবিতে বিএনপির এ আন্দোলনকে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে 'দেশকে অস্থিতিশীল করা এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের ষড়যন্ত্র' হিসেবে দেখা হচ্ছে। সরকারকে কোনো সময় না দিয়ে বিরোধী দলের টানা তিন দিনের হরতালকেও 'অহেতুক' বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। পাশাপাশি দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ইলিয়াসের অবস্থান বা তাঁকে খুঁজে বের করতে সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের সঙ্গেও আলাদা বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে বিরোধী দলের কর্মসূচির পাশাপাশি ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে ক্ষমতাসীন দল ও সরকার। আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ইলিয়াস আলীর নিখোঁজের ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য সরকারের কাছে নেই। বিষয়টি সরকারের জন্য বিব্রতকর বলেও মনে করেন নেতারা। পাশাপাশি একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পর্যায়ের একজন নেতার এভাবে নিখোঁজ হওয়াকে দেশের রাজনীতির জন্যও অশুভ সংকেত বলে মানেন তাঁরা। এ মুহূর্তে বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবিলার চেয়ে ইলিয়াস আলীকে খুঁজে বের করা বা এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করাটাকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে সরকার।
অন্যদিকে জানা গেছে, গত কয়েক সপ্তাহে নানা রকম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়লেও এ মুহূর্তে বিএনপিকে ছাড় দিতে নারাজ আওয়ামী লীগ। দলটির নেতারা বিএনপির পাল্টা কর্মসূচির কথা স্বীকার না করলেও পরে বিরোধী দলের কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে কর্মসূচির কথা জানান তাঁরা। সে ক্ষেত্রে রাজধানীর থানায় থানায় বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা আসতে পারে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে রাখা হবে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায়।
বিএনপির আন্দোলনকে প্রতিহত করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বিরোধী দল আন্দোলন করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে সরকারের দায়িত্ব তা প্রতিহত করা। তিনি বলেন, বিরোধী দলের কর্মসূচির বিপরীতে জনগণকে সম্পৃক্ত করে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ এবং রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করবে বিরোধী দলকে।
ইলিয়াসের প্রতি তাঁদেরও সমবেদনা আছে এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কোনো নাগরিক গুম হওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্য করে লতিফ সিদ্দিকী অভিযোগ করে বলেন, কিন্তু বিএনপির মর্মবেদনা নেই ইলিয়াসকে ঘিরে। এটা তাদের কাছে নিছক বাহানা, আন্দোলনের ইস্যু।
বিরোধী দলের আন্দোলনের হুমকির ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, বিগত তিন দিনের হরতালের চেয়ে আর কী কঠিন কর্মসূচিতে যাবে বিরোধী দল? তিনি বলেন, বিএনপির কর্মসূচিতে শুধু সংঘাত আর প্রাণহানিই বাড়ছে এবং এর মধ্য দিয়ে দিন দিন জনগণ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে দলটি। প্রধান বিরোধী দলের এ অবস্থানের বিপরীতে আওয়ামী লীগ জনগণের পক্ষে থাকবে বলে দাবি করেন জাফরউল্যাহ। তবে বিরোধী দলের কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ কোনো কর্মসূচি দেবে না বলেও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, পর পর তিন দিনের হরতালে বাধা না দিলেও আগামী দিনে বিএনপি হরতালের মতো কর্মসূচি দিলে তা প্রতিহত করতে সরাসরি মাঠে নামবে সরকারি দল। সে ক্ষেত্রে তাদের ভাষায় 'অরাজকতা' ঠেকাতে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেবেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। বিরোধী দলকে হরতালের পক্ষে মিছিল কিংবা পিকেটিং করতে দেওয়া হবে না- এমন সিদ্ধান্তও নিতে যাচ্ছেন তাঁরা।
দলীয় সূত্র জানায়, দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং দলের পক্ষ থেকে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে আজ বৃহস্পতিবার শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। গণভবনে দুপুরে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির কর্মসূচির বিপরীতে নিজ দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারের দাবিতে বিএনপির এ আন্দোলনকে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে 'দেশকে অস্থিতিশীল করা এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের ষড়যন্ত্র' হিসেবে দেখা হচ্ছে। সরকারকে কোনো সময় না দিয়ে বিরোধী দলের টানা তিন দিনের হরতালকেও 'অহেতুক' বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। পাশাপাশি দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ইলিয়াসের অবস্থান বা তাঁকে খুঁজে বের করতে সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের সঙ্গেও আলাদা বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে বিরোধী দলের কর্মসূচির পাশাপাশি ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে ক্ষমতাসীন দল ও সরকার। আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ইলিয়াস আলীর নিখোঁজের ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য সরকারের কাছে নেই। বিষয়টি সরকারের জন্য বিব্রতকর বলেও মনে করেন নেতারা। পাশাপাশি একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পর্যায়ের একজন নেতার এভাবে নিখোঁজ হওয়াকে দেশের রাজনীতির জন্যও অশুভ সংকেত বলে মানেন তাঁরা। এ মুহূর্তে বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবিলার চেয়ে ইলিয়াস আলীকে খুঁজে বের করা বা এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করাটাকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে সরকার।
অন্যদিকে জানা গেছে, গত কয়েক সপ্তাহে নানা রকম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়লেও এ মুহূর্তে বিএনপিকে ছাড় দিতে নারাজ আওয়ামী লীগ। দলটির নেতারা বিএনপির পাল্টা কর্মসূচির কথা স্বীকার না করলেও পরে বিরোধী দলের কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে কর্মসূচির কথা জানান তাঁরা। সে ক্ষেত্রে রাজধানীর থানায় থানায় বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা আসতে পারে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে রাখা হবে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায়।
বিএনপির আন্দোলনকে প্রতিহত করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বিরোধী দল আন্দোলন করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে সরকারের দায়িত্ব তা প্রতিহত করা। তিনি বলেন, বিরোধী দলের কর্মসূচির বিপরীতে জনগণকে সম্পৃক্ত করে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ এবং রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করবে বিরোধী দলকে।
ইলিয়াসের প্রতি তাঁদেরও সমবেদনা আছে এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কোনো নাগরিক গুম হওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্য করে লতিফ সিদ্দিকী অভিযোগ করে বলেন, কিন্তু বিএনপির মর্মবেদনা নেই ইলিয়াসকে ঘিরে। এটা তাদের কাছে নিছক বাহানা, আন্দোলনের ইস্যু।
বিরোধী দলের আন্দোলনের হুমকির ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, বিগত তিন দিনের হরতালের চেয়ে আর কী কঠিন কর্মসূচিতে যাবে বিরোধী দল? তিনি বলেন, বিএনপির কর্মসূচিতে শুধু সংঘাত আর প্রাণহানিই বাড়ছে এবং এর মধ্য দিয়ে দিন দিন জনগণ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে দলটি। প্রধান বিরোধী দলের এ অবস্থানের বিপরীতে আওয়ামী লীগ জনগণের পক্ষে থাকবে বলে দাবি করেন জাফরউল্যাহ। তবে বিরোধী দলের কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ কোনো কর্মসূচি দেবে না বলেও জানান তিনি।
No comments