সময়ক্ষেপণ ঝুঁকি বাড়াতে পারে-জিম্মি নাবিকদের ফিরিয়ে আনা
আরব সাগরের ভারতীয় উপকূল থেকে ছিনতাই হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি জাহান মণির জিম্মি ২৬ জন নাবিক প্রায় এক মাস ধরে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। তাঁদের স্বজনদেরও উদ্বেগ-আশঙ্কার শেষ নেই। গত ৫ ডিসেম্বর সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে আটক হওয়ার পর ওই নাবিকেরা স্বজনদের সঙ্গে টেলিফোনের মাধ্যমে প্রথম যোগাযোগের সুযোগ পান এক সপ্তাহের মাথায় ১২ ডিসেম্বর।
তার ১৯ দিন পর দ্বিতীয় দফায় তাঁদের টেলিফোনে কথা বলতে দেওয়া হয়েছে গত শনিবার। এ যোগাযোগের মর্মার্থ: জলদস্যুরা মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ চায়।
প্রায় ৬৩ কোটি টাকার সমান ৯০ লাখ মার্কিন ডলার মুক্তিপণ দাবি করেছে জলদস্যুরা। শনিবার তারা সময় বেঁধে দিয়েছে—এক সপ্তাহের মধ্যে মুক্তিপণের টাকা দিতে হবে, নইলে নাবিকদের খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে জাহাজটির মালিকের প্রতিক্রিয়ায় দায়িত্বশীলতার অভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। তিনি বলেছেন, জলদস্যুরা মুক্তিপণ আদায়ে চাপ প্রয়োগের একটি কৌশল হিসেবে সাত দিনের মধ্যে সব ফুরিয়ে যাওয়ার কথা বলেছে। এ রকমটি তারা নাকি শুরু থেকেই বলে আসছে। এরই মধ্যে ২৫-২৬ দিন পেরিয়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই জাহাজটির জ্বালানি, খাদ্যদ্রব্য ও খাওয়ার পানির পরিমাণ কমে আসছে। জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে মুক্তিপণ দেওয়ার পরও জাহাজটি ফিরে আসতে পারবে না—এমন কথা নাবিকদের সূত্রেও জানানো হয়েছে। তা ছাড়া সবচেয়ে গুরুতর বিষয় হচ্ছে জলদস্যুদের মানসিক অবস্থা: তারা বেপরোয়া, স্নায়বিকভাবে উত্তেজিত, যেকোনো মুহূর্তে তাদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটতে পারে। এ অবস্থা যতই দীর্ঘায়িত হবে, ততই ঝুঁকি বাড়বে। জাহাজটির মালিকের উচিত হবে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করা, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। এ ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো রকমের সহযোগিতা দেওয়া সম্ভব কি না, তাও আমরা ভেবে দেখতে বলি।
এমভি জাহান মণি ছিনতাইয়ের পাশাপাশি বড় উদ্বেগের খবর হচ্ছে, আরব সাগরে জলদস্যুদের তৎপরতার ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাচ্ছে, ছিনতাইয়ের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার পরিধি বেড়ে যাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য বিশেষভাবে উদ্বেগের বিষয়। কেননা, ওই জলপথ ধরেই এ দেশের বিরাট অংশের রপ্তানিপণ্য পরিবহন করা হয়। কিন্তু এ ব্যাপারে বাংলাদেশের একার পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ইরানসহ সংশ্লিষ্ট সব দেশের সরকারকে মিলিতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। বাংলাদেশ এমন আঞ্চলিক উদ্যোগে অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারে।
প্রায় ৬৩ কোটি টাকার সমান ৯০ লাখ মার্কিন ডলার মুক্তিপণ দাবি করেছে জলদস্যুরা। শনিবার তারা সময় বেঁধে দিয়েছে—এক সপ্তাহের মধ্যে মুক্তিপণের টাকা দিতে হবে, নইলে নাবিকদের খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে জাহাজটির মালিকের প্রতিক্রিয়ায় দায়িত্বশীলতার অভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। তিনি বলেছেন, জলদস্যুরা মুক্তিপণ আদায়ে চাপ প্রয়োগের একটি কৌশল হিসেবে সাত দিনের মধ্যে সব ফুরিয়ে যাওয়ার কথা বলেছে। এ রকমটি তারা নাকি শুরু থেকেই বলে আসছে। এরই মধ্যে ২৫-২৬ দিন পেরিয়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই জাহাজটির জ্বালানি, খাদ্যদ্রব্য ও খাওয়ার পানির পরিমাণ কমে আসছে। জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে মুক্তিপণ দেওয়ার পরও জাহাজটি ফিরে আসতে পারবে না—এমন কথা নাবিকদের সূত্রেও জানানো হয়েছে। তা ছাড়া সবচেয়ে গুরুতর বিষয় হচ্ছে জলদস্যুদের মানসিক অবস্থা: তারা বেপরোয়া, স্নায়বিকভাবে উত্তেজিত, যেকোনো মুহূর্তে তাদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটতে পারে। এ অবস্থা যতই দীর্ঘায়িত হবে, ততই ঝুঁকি বাড়বে। জাহাজটির মালিকের উচিত হবে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করা, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। এ ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো রকমের সহযোগিতা দেওয়া সম্ভব কি না, তাও আমরা ভেবে দেখতে বলি।
এমভি জাহান মণি ছিনতাইয়ের পাশাপাশি বড় উদ্বেগের খবর হচ্ছে, আরব সাগরে জলদস্যুদের তৎপরতার ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাচ্ছে, ছিনতাইয়ের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার পরিধি বেড়ে যাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য বিশেষভাবে উদ্বেগের বিষয়। কেননা, ওই জলপথ ধরেই এ দেশের বিরাট অংশের রপ্তানিপণ্য পরিবহন করা হয়। কিন্তু এ ব্যাপারে বাংলাদেশের একার পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ইরানসহ সংশ্লিষ্ট সব দেশের সরকারকে মিলিতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। বাংলাদেশ এমন আঞ্চলিক উদ্যোগে অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারে।
No comments