বইগুলো দ্রুত বদলে দেওয়ার ব্যবস্থা নিন-পাঠ্যপুস্তকে ভুল

শিক্ষার্থীদের নতুন বই পাওয়ার ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব’ শুরু হয়েছিল বছরের শুরুর দিন। এরই মধ্যে বিতরণের কাজ প্রায় শেষ। প্রায় ২৩ কোটি বই ছাপিয়ে বিনা মূল্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণের বিষয়টিকে একটি বড় ঘটনা হিসেবেই বিবেচনা করতে হচ্ছে।


কিন্তু ছাপানো বইয়ে অসংখ্য ভুল ধরা পড়তে শুরু করায় এত সাফল্যের ঘটনাটি কিছুটা হলেও ধাক্কা খেল।
প্রথম আলোর কক্সবাজার ও খুলনা প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনের সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই দুটি জেলায় বিতরণ করা প্রাথমিক পাঠ্যপুস্তকে অসংখ্য ভুল ধরা পড়েছে। ভুলগুলো মূলত ছাপা ও বাঁধাইয়ের। এত বই ছাপার ক্ষেত্রে এ ধরনের ভুল হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। বিতরণের আগে বা মজুদ ছাড় করার আগে একটু বাছাই করার ব্যবস্থা নেওয়া হলে এ সমস্যা সহজেই এড়ানো যেত। নতুন বই পাওয়া শিক্ষার্থীদের কাছে মহা আনন্দের বিষয়। কিন্তু বই পাওয়ার পর যদি দেখা যায় যে এতে ছাপা ও বাঁধাইয়ের ভুল রয়েছে, তখন হতাশ হওয়াটাও স্বাভাবিক।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এসব বই ফেরত পাঠানো হচ্ছে এবং তা বদলও করা হচ্ছে। কিন্তু কী পরিমাণ বইয়ে এ ধরনের অসংগতি রয়েছে, তার ওপর নির্ভর করবে অতিরিক্ত মজুদ থেকে তা বদল করে দেওয়া সম্ভব কি না। বই বিতরণের সঙ্গে জড়িত খুলনার একজন কর্মকর্তা এ আশঙ্কাই প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে মুদ্রণ ও বাঁধাইয়ের সমস্যার কারণে অসংখ্য বই ফেরত আসছে। অতিরিক্ত কিছু মজুদ থাকায় তা বদল করে দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু ফেরত আসা বইয়ের সংখ্যা বাড়তে থাকলে বিপদে পড়তে হবে। ফলে ত্রুটিপূর্ণ বইয়ের সংখ্যা সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া ও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি খুবই জরুরি।
আমরা আশা করব, বিনা মূল্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণের এই সাফল্যকে ত্রুটিমুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট সবাই এগিয়ে আসবেন এবং যত দ্রুত সম্ভব বিতরণ করা ত্রুটিপূর্ণ বইগুলো বদলে দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। আর একই সঙ্গে এ ধরনের সমস্যাকে বিবেচনায় নেওয়ার বিষয়টির প্রতিও আমরা গুরুত্ব দিতে চাই। সেটা করা গেলে আগামীবারের বই বিতরণের উৎসবকে পুরোপুরি ত্রুটিমুক্ত করা সম্ভব হবে।

No comments

Powered by Blogger.