মুর্শিদাবাদের মাঠে প্রশিক্ষণ বিমান by সুব্রত আচার্য্য ও ফখরে আলম
প্রায় দেড় ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমানের সন্ধান পাওয়া গেছে ভারতের মুর্শিদাবাদে। দিক হারিয়ে সেখানে কোনো রানওয়ে খুঁজে না পেয়ে মাঠে জরুরি অবতরণে বাধ্য হন বিমানের পাইলট ফ্লাইট ক্যাডেট মোহাম্মদ রাশেদ ইসলাম।
মাত্র ২০ বছর বয়সে রুদ্ধশ্বাস এক অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়ে রইলেন যশোরের আম্বারপুরের রাশেদ ইসলাম।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ভারতের অভ্যন্তরের প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার সালার থানার রাইগ্রামের কৃষিপ্রধান গ্রামে 'ফোর্স ল্যান্ডিং' করতে বাধ্য হন বাংলাদেশের বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানের এই তরুণ চালক। তিলক্ষেতে জরুরি অবতরণে বিমানের নাম মাত্র ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্যাডেট রাশেদ সম্পূর্ণ অক্ষত রয়েছেন। এমনকি তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেওয়ারও প্রয়োজন হয়নি। সালার থানার ওসি সুব্রত মজুমদার রাতে মুঠোফোনে কালের কণ্ঠের প্রতিবেদককে এমন তথ্য নিশ্চিত করেন।
সুব্রত মজুমদার বলেন, ফ্লাইট ক্যাডেট রাশেদ এ মুহূর্তে সালার থানায় রয়েছেন। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথাবার্তায় রাশেদ জানান, বিকেলে যশোরের বিমানঘাঁটি থেকে ওড়ার পর প্রায় ঘণ্টাখানেক পর বিমানের জ্বালানি সংকট দেখতে পান। এরই মধ্যে প্রবল ঝোড়ো হওয়া শুরু হয়। প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ফোর্স ল্যান্ডিং করতে বাধ্য হন। না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।
সালার থানার ওসি আরো জানান, সালারের যে গ্রামে এই জরুরি অবতরণের ঘটনা, সেই গ্রামটি থানা সদর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ফলে দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পেঁৗছান এবং বিমানটি ঘিরে রাখেন। এদিকে বাংলাদেশের এই প্রশিক্ষণ বিমান দেখতে গ্রামের উৎসুক মানুষ গভীর রাত পর্যন্ত ভিড় জমিয়ে রয়েছে। তিনি বলেন, বিমানের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সে বিষয়টি দেখতে রাতভর পাহারা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, খারাপ আবহাওয়ার কারণে পথ হারিয়ে বিমানটি ভারতের মুর্শিদাবাদের একটি গ্রামে নামতে বাধ্য হয়। ওই কর্মকর্তা বলেন, 'ওই গ্রাম থেকে সেকেন্দার নামের এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আমাদের সঙ্গে পাইলট রাশেদেরও কথা হয়েছে। তিনি ভালো আছেন।' তিনি জানান, বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান পিটি-৬ নিয়ে ফ্লাইট ক্যাডেট রাশেদ যশোর মতিউর রহমান বিমানঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করেন গতকাল বিকেল ৪টা ৪ মিনিটে। সর্বশেষ সন্ধ্যা ৬টা ৩২ মিনিটে কন্ট্রোল টাওয়ারকে তিনি বলেন, 'বিপদে আছি। খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে পড়েছি। ফোর্স ল্যান্ডিংয়ে বাধ্য হচ্ছি।' এরপর কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে ওই বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
যশোর বিমানবাহিনীর কন্ট্রোল টাওয়ারের সার্জেন্ট মতিয়ার বলেন, 'রাত পৌনে ৮টার দিকে আমরা খবর পেয়েছি, বিমানটি মুর্শিদাবাদের সালার থানার রায় গ্রামে অবতরণ করেছে।' তিনি জানান, রানওয়ের বদলে মাঠে নামার কারণে বিমানটি সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ফ্লাইট ক্যাডেট রাশেদকে সেখান থেকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
গতকাল গভীর রাতে কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার আবিদা ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও কালের কণ্ঠকে বলেন, 'পাইলট অক্ষত আছেন। কূটনৈতিক স্তরের এ নিয়ে যোগাযোগ শুরু হয়েছে। দূতাবাসের পর্যবেক্ষক দল রাতেই ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হচ্ছে। আশা করছি, বৃহস্পতিবার সকালেই তারা ঘটনাস্থলে পেঁৗছাবে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে জানাবে।'
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বিমানবাহিনীর এল-৩৯ মডেলের একটি জেট ট্রেইনার বিমান বিধ্বস্ত হয়ে বিমানবাহিনীর পাইলট অফিসার মো. শরিফুল হক নিহত হন।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ভারতের অভ্যন্তরের প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার সালার থানার রাইগ্রামের কৃষিপ্রধান গ্রামে 'ফোর্স ল্যান্ডিং' করতে বাধ্য হন বাংলাদেশের বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানের এই তরুণ চালক। তিলক্ষেতে জরুরি অবতরণে বিমানের নাম মাত্র ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্যাডেট রাশেদ সম্পূর্ণ অক্ষত রয়েছেন। এমনকি তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেওয়ারও প্রয়োজন হয়নি। সালার থানার ওসি সুব্রত মজুমদার রাতে মুঠোফোনে কালের কণ্ঠের প্রতিবেদককে এমন তথ্য নিশ্চিত করেন।
সুব্রত মজুমদার বলেন, ফ্লাইট ক্যাডেট রাশেদ এ মুহূর্তে সালার থানায় রয়েছেন। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথাবার্তায় রাশেদ জানান, বিকেলে যশোরের বিমানঘাঁটি থেকে ওড়ার পর প্রায় ঘণ্টাখানেক পর বিমানের জ্বালানি সংকট দেখতে পান। এরই মধ্যে প্রবল ঝোড়ো হওয়া শুরু হয়। প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ফোর্স ল্যান্ডিং করতে বাধ্য হন। না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।
সালার থানার ওসি আরো জানান, সালারের যে গ্রামে এই জরুরি অবতরণের ঘটনা, সেই গ্রামটি থানা সদর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ফলে দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পেঁৗছান এবং বিমানটি ঘিরে রাখেন। এদিকে বাংলাদেশের এই প্রশিক্ষণ বিমান দেখতে গ্রামের উৎসুক মানুষ গভীর রাত পর্যন্ত ভিড় জমিয়ে রয়েছে। তিনি বলেন, বিমানের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সে বিষয়টি দেখতে রাতভর পাহারা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, খারাপ আবহাওয়ার কারণে পথ হারিয়ে বিমানটি ভারতের মুর্শিদাবাদের একটি গ্রামে নামতে বাধ্য হয়। ওই কর্মকর্তা বলেন, 'ওই গ্রাম থেকে সেকেন্দার নামের এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আমাদের সঙ্গে পাইলট রাশেদেরও কথা হয়েছে। তিনি ভালো আছেন।' তিনি জানান, বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান পিটি-৬ নিয়ে ফ্লাইট ক্যাডেট রাশেদ যশোর মতিউর রহমান বিমানঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করেন গতকাল বিকেল ৪টা ৪ মিনিটে। সর্বশেষ সন্ধ্যা ৬টা ৩২ মিনিটে কন্ট্রোল টাওয়ারকে তিনি বলেন, 'বিপদে আছি। খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে পড়েছি। ফোর্স ল্যান্ডিংয়ে বাধ্য হচ্ছি।' এরপর কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে ওই বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
যশোর বিমানবাহিনীর কন্ট্রোল টাওয়ারের সার্জেন্ট মতিয়ার বলেন, 'রাত পৌনে ৮টার দিকে আমরা খবর পেয়েছি, বিমানটি মুর্শিদাবাদের সালার থানার রায় গ্রামে অবতরণ করেছে।' তিনি জানান, রানওয়ের বদলে মাঠে নামার কারণে বিমানটি সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ফ্লাইট ক্যাডেট রাশেদকে সেখান থেকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
গতকাল গভীর রাতে কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার আবিদা ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও কালের কণ্ঠকে বলেন, 'পাইলট অক্ষত আছেন। কূটনৈতিক স্তরের এ নিয়ে যোগাযোগ শুরু হয়েছে। দূতাবাসের পর্যবেক্ষক দল রাতেই ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হচ্ছে। আশা করছি, বৃহস্পতিবার সকালেই তারা ঘটনাস্থলে পেঁৗছাবে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে জানাবে।'
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বিমানবাহিনীর এল-৩৯ মডেলের একটি জেট ট্রেইনার বিমান বিধ্বস্ত হয়ে বিমানবাহিনীর পাইলট অফিসার মো. শরিফুল হক নিহত হন।
No comments