নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে দ্রুত পদক্ষেপ নিন-সরকারের দুই বছর
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার দুই বছর পেরিয়ে তৃতীয় বছরে পা রেখেছে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভের পর তারা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয় ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি। সরকার তথা রাষ্ট্র ও রাজনীতির কাছে জনসাধারণের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির বিষয়গুলো পর্যালোচনার মুহূর্ত এটি।
দুই বছরের জরুরি অবস্থার অবসান ঘটেছিল নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে, গণতন্ত্রে ফিরেছিল বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পাশাপাশি সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি তথা দিনবদলের প্রতিশ্রুতি ছিল। জনগণের দিক থেকে বড় প্রত্যাশা ছিল দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধি থামবে, আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হবে এবং রাজনীতিতে সুস্থ ধারা ফিরে আসবে।
সরকারের দুই বছরের কাজের হিসাব নিলে দেখা যাবে, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা বেশির ভাগই অপূর্ণ রয়ে গেছে। তবে শিক্ষা, কৃষিসহ কয়েকটি খাতে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। স্বাধীনতার ৩৯ বছর পর দেশ সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি শিক্ষানীতি পেয়েছে। কৃষকবান্ধব নীতির কারণে কৃষিপণ্যের উৎপাদন বেড়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। শিল্প খাতে কিছুটা উন্নতি লক্ষ করা গেলেও কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসেনি বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসংকটের কারণে। প্রাকৃতিক গ্যাসের দৈনিক ঘাটতি ৫০ কোটি ঘনফুটেরও বেশি। বিদ্যুতের ঘাটতি নিয়ে জনমনে রয়েছে ব্যাপক অসন্তোষ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির পাশাপাশি সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজিসহ নানা ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সরকার সফল হয়নি। দুর্নীতি দমনের ব্যাপারে সরকারের সদিচ্ছার প্রমাণ মেলেনি। দ্রব্যমূল্য নিয়ে মানুষের হতাশা সবচেয়ে বেশি। নির্বাচনের আগে দেশে চালের দাম বেড়েছিল; জনগণ তখন প্রত্যাশা করেছিল, নতুন সরকার এলে চালের দাম কমবে। শুরুতে কিছুটা কমেও ছিল। কিন্তু গত এক বছরে চালসহ প্রায় সব নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সীমিত আয়ের মানুষকে সংকটে ফেলেছে। আন্তর্জাতিক বাজারও অস্থিতিশীল। তথাকথিত ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মন্ত্রীর হম্বিতম্বি শোনা গেলেও কার্যকর পদক্ষেপ কিংবা টিসিবিকে সচল করার উদ্যোগ নেই।
সরকারের দ্বিতীয় বছরটিতে সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা ছিল রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা। সংসদ কার্যকর হয়নি; প্রধান বিরোধী দল সংসদে গরহাজির থেকেছে প্রায় সারা বছরই। ক্ষমতাসীন দল ও প্রধান বিরোধী দলের মধ্যে দূরত্ব আরও বেড়েছে, যা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোনোভাবেই কাম্য নয়।
মহাজোট সরকারের প্রতি জনগণের ম্যান্ডেট ছিল বিরাট। তাই প্রত্যাশাও অনেক বড়। প্রথম আলোর জনমত জরিপ বলছে, এখনো সরকারের প্রতি বেশির ভাগ মানুষের সমর্থন আছে। যদিও জনপ্রিয়তা গত বছরের তুলনায় অনেক হ্রাস পেয়েছে। এটি সরকারের জন্য সতর্কসংকেতও। গণতন্ত্র, সুশাসন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের বাধাগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে দ্রুত। মনে রাখতে হবে, যেকোনো সরকারের জন্য তৃতীয় বছরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বছরের কার্যক্রমের ওপরই নির্ভর করবে পাল্লাটি কোন দিকে ঝুঁকবে। তৃতীয় বছরের শেষে পরবর্তী নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করবে। অতএব, যা করার এই বছরেই করতে হবে। যেসব ক্ষেত্রে সাফল্য এসেছে, সেগুলো ধরে রাখার পাশাপাশি সরকারের কর্তব্য হবে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।
সরকারের দুই বছরের কাজের হিসাব নিলে দেখা যাবে, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা বেশির ভাগই অপূর্ণ রয়ে গেছে। তবে শিক্ষা, কৃষিসহ কয়েকটি খাতে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। স্বাধীনতার ৩৯ বছর পর দেশ সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি শিক্ষানীতি পেয়েছে। কৃষকবান্ধব নীতির কারণে কৃষিপণ্যের উৎপাদন বেড়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। শিল্প খাতে কিছুটা উন্নতি লক্ষ করা গেলেও কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসেনি বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসংকটের কারণে। প্রাকৃতিক গ্যাসের দৈনিক ঘাটতি ৫০ কোটি ঘনফুটেরও বেশি। বিদ্যুতের ঘাটতি নিয়ে জনমনে রয়েছে ব্যাপক অসন্তোষ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির পাশাপাশি সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজিসহ নানা ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সরকার সফল হয়নি। দুর্নীতি দমনের ব্যাপারে সরকারের সদিচ্ছার প্রমাণ মেলেনি। দ্রব্যমূল্য নিয়ে মানুষের হতাশা সবচেয়ে বেশি। নির্বাচনের আগে দেশে চালের দাম বেড়েছিল; জনগণ তখন প্রত্যাশা করেছিল, নতুন সরকার এলে চালের দাম কমবে। শুরুতে কিছুটা কমেও ছিল। কিন্তু গত এক বছরে চালসহ প্রায় সব নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সীমিত আয়ের মানুষকে সংকটে ফেলেছে। আন্তর্জাতিক বাজারও অস্থিতিশীল। তথাকথিত ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মন্ত্রীর হম্বিতম্বি শোনা গেলেও কার্যকর পদক্ষেপ কিংবা টিসিবিকে সচল করার উদ্যোগ নেই।
সরকারের দ্বিতীয় বছরটিতে সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা ছিল রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা। সংসদ কার্যকর হয়নি; প্রধান বিরোধী দল সংসদে গরহাজির থেকেছে প্রায় সারা বছরই। ক্ষমতাসীন দল ও প্রধান বিরোধী দলের মধ্যে দূরত্ব আরও বেড়েছে, যা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোনোভাবেই কাম্য নয়।
মহাজোট সরকারের প্রতি জনগণের ম্যান্ডেট ছিল বিরাট। তাই প্রত্যাশাও অনেক বড়। প্রথম আলোর জনমত জরিপ বলছে, এখনো সরকারের প্রতি বেশির ভাগ মানুষের সমর্থন আছে। যদিও জনপ্রিয়তা গত বছরের তুলনায় অনেক হ্রাস পেয়েছে। এটি সরকারের জন্য সতর্কসংকেতও। গণতন্ত্র, সুশাসন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের বাধাগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে দ্রুত। মনে রাখতে হবে, যেকোনো সরকারের জন্য তৃতীয় বছরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বছরের কার্যক্রমের ওপরই নির্ভর করবে পাল্লাটি কোন দিকে ঝুঁকবে। তৃতীয় বছরের শেষে পরবর্তী নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করবে। অতএব, যা করার এই বছরেই করতে হবে। যেসব ক্ষেত্রে সাফল্য এসেছে, সেগুলো ধরে রাখার পাশাপাশি সরকারের কর্তব্য হবে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।
No comments