নদী-চর-বসতি কি রক্ষা পাবে না?-বালুদস্যুদের দাপট
ব্যবসা আর দস্যুতা যেখানে মিলে গেছে, বালু উত্তোলন ও ভূমি উন্নয়ন (ল্যান্ড ডেভেলপিং) তার অন্যতম। রাজধানীর উত্তরের তুরাগ নদ আর পূর্বের শীতলক্ষ্যা নদীর কিছু অংশ উত্তোলিত বালু মজুদ করায় ভরাট হয়ে গেছে। অন্যদিকে সোনারগাঁয়ে শীতলক্ষ্যা নদীর চর কেটে বালু তোলায় হারিয়ে যেতে বসেছে ১২ হাজার অধিবাসীর নুনেরটেক চর।
উভয় ক্ষেত্রেই ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জড়িত এবং সাধারণ মানুষ ও নদী ক্ষতির শিকার। বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগসহ ঢাকার চারপাশের নদী ভরাট, স্থাপনা তৈরি এবং নদীর তীরে বা অংশে ইট, বালু, পাথর, বাঁশ প্রভৃতি ব্যবসার ওপর উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তার পরোয়া করছেন না ব্যবসায়ীরা। আদালতের কাজ আদালত করেছেন, দখলদার করছে দখলের কাজ। প্রশ্ন হচ্ছে, আইনের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত সরকার কার হয়ে কাজ করছে; চোরের না সাধুর?
গাবতলী বাস টার্মিনাল-সংলগ্ন তুরাগ নদের দুই তীরে বালু ও পাথরের ব্যবসায়ীরা নদী দখল করে বালু-পাথরের মজুদ বানিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। গত সোমবারের প্রথম আলোয় দেখা যাচ্ছে, একই কাজ হয়ে আসছে ডেমরার সুলতানা কামাল সেতুর নিচের নদীবক্ষেও। সাম্প্রতিক আরেকটি খবর হলো, দখলের হাত থেকে রাজধানীর একটি খাল ও নদী উদ্ধার করতে পারেনি সরকার। সাময়িক অভিযানের ফল এতই ক্ষণস্থায়ী যে লোক দেখানো মহড়া ছাড়া এসবের আর কোনো ভূমিকাই নেই।
গাবতলী ও ডেমরায় সেতুর নিচে যে বালু এনে রাখা হচ্ছে, সেগুলোও কি বৈধভাবে তোলা? গত ২৭ ডিসেম্বরের প্রথম আলোর সংবাদ জানাচ্ছে, মেঘনা নদীতে সোনারগাঁয়ের কাছে অবৈধভাবে চর কেটে বালু পাচার করা হচ্ছে। ইজারা ছাড়াই খেয়ালখুশিমতো এভাবে বালু উত্তোলন করা সম্ভব হচ্ছে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে। সরকার বদলালে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষক শুধু বদলায়, কিন্তু অবৈধ ব্যবসা দিব্যি চলতে থাকে। নুনেরটেকের মায়াদ্বীপ ধ্বংস করার বালুদস্যুতার সঙ্গেও ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত। জড়িত রয়েছেন স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একাধিক নেতাও। এই অপকর্মের হোতা নাকি এক পেশাদার ডাকাত। এই চক্রের সম্মিলিত আগ্রাসনের মুখে গ্রামবাসী অসহায়। এমনকি জেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় প্রতিরোধ কমিটি করে দেওয়া হলেও সেই কমিটির সদস্যরা মামলা-নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
গণমাধ্যমের খবর, স্থানীয় লোকজনের প্রতিবাদ, পরিবেশবাদীদের আহ্বান এবং প্রকৃতির কান্না কি সরকার শুনছে? নাকি ব্যবসা, দস্যুতা আর রাজনীতির ত্রিভুজ ক্ষমতার কাছে জনস্বার্থ ক্রমাগত মার খেয়ে যাবে?
গাবতলী বাস টার্মিনাল-সংলগ্ন তুরাগ নদের দুই তীরে বালু ও পাথরের ব্যবসায়ীরা নদী দখল করে বালু-পাথরের মজুদ বানিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। গত সোমবারের প্রথম আলোয় দেখা যাচ্ছে, একই কাজ হয়ে আসছে ডেমরার সুলতানা কামাল সেতুর নিচের নদীবক্ষেও। সাম্প্রতিক আরেকটি খবর হলো, দখলের হাত থেকে রাজধানীর একটি খাল ও নদী উদ্ধার করতে পারেনি সরকার। সাময়িক অভিযানের ফল এতই ক্ষণস্থায়ী যে লোক দেখানো মহড়া ছাড়া এসবের আর কোনো ভূমিকাই নেই।
গাবতলী ও ডেমরায় সেতুর নিচে যে বালু এনে রাখা হচ্ছে, সেগুলোও কি বৈধভাবে তোলা? গত ২৭ ডিসেম্বরের প্রথম আলোর সংবাদ জানাচ্ছে, মেঘনা নদীতে সোনারগাঁয়ের কাছে অবৈধভাবে চর কেটে বালু পাচার করা হচ্ছে। ইজারা ছাড়াই খেয়ালখুশিমতো এভাবে বালু উত্তোলন করা সম্ভব হচ্ছে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে। সরকার বদলালে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষক শুধু বদলায়, কিন্তু অবৈধ ব্যবসা দিব্যি চলতে থাকে। নুনেরটেকের মায়াদ্বীপ ধ্বংস করার বালুদস্যুতার সঙ্গেও ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত। জড়িত রয়েছেন স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একাধিক নেতাও। এই অপকর্মের হোতা নাকি এক পেশাদার ডাকাত। এই চক্রের সম্মিলিত আগ্রাসনের মুখে গ্রামবাসী অসহায়। এমনকি জেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় প্রতিরোধ কমিটি করে দেওয়া হলেও সেই কমিটির সদস্যরা মামলা-নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
গণমাধ্যমের খবর, স্থানীয় লোকজনের প্রতিবাদ, পরিবেশবাদীদের আহ্বান এবং প্রকৃতির কান্না কি সরকার শুনছে? নাকি ব্যবসা, দস্যুতা আর রাজনীতির ত্রিভুজ ক্ষমতার কাছে জনস্বার্থ ক্রমাগত মার খেয়ে যাবে?
No comments