খাদ্য উৎপাদনের বদলে তামাক চাষঃ কৃষিমন্ত্রীর নজর নেই
বাজারে মোটা চালের দামই কেজিপ্রতি ৩০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এ অবস্থায় খাদ্য নিয়ে মানুষের উদ্বেগ আরও বেড়ে গেছে দেশে খাদ্য উত্পাদনে বিপর্যয়ের আশঙ্কায়। উর্বর আবাদি জমিতে খাদ্যের বদলে তামাক চাষের খবর কৃষিতে বেহালদশাই প্রমাণ করে।
অধিক জনসংখ্যা আর দুর্বল কৃষি ব্যবস্থা এমনিতেই আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা অনিশ্চিত করে তুলেছে। এর মধ্যেই উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় তামাক চাষের বিস্তার দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে।
গতকালের আমার দেশ-এ প্রকাশিত পাবনা থেকে পাঠানো রিপোর্টে জানা যায়, শস্যভাণ্ডারখ্যাত চলনবিলেও সর্বনাশা তামাক চাষ ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে। এ জন্য দেশি-বিদেশি টোব্যাকো কোম্পানিগুলো কৃষকদের নগদ অর্থসহ সব ধরনের সহায়তা দিয়ে প্রলুব্ধ করছে। তারা জমির পরিমাণ অনুযায়ী কৃষকদের ‘দাদন’ ও ‘নজরানা’ ছাড়াও বিনামূল্যে বীজ, সার, কীটনাশক সরবরাহ করছে। ফলে চলতি বছর পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, রায়গঞ্জ, নাটোরের গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার প্রায় এক হাজার একরেরও বেশি আবাদি জমিতে তামাকের চাষ হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী প্রাকৃতিক জলাভূমি চলনবিলের অন্তর্ভুক্ত এসব এলাকায় স্বাভাবিকভাবেই ধানসহ দু’তিন ফসল আবাদ হয়। তামাক চাষে প্রায় ৫ মাস সময় লাগার ফলে বন্যাপ্রবণ এ এলাকায় এখন অন্য কোনো ফসল উত্পাদন সম্ভব হবে না। এক হিসাবে জানা গেছে, তামাক চাষের জমিতে কমপক্ষে ১২ হাজার মেট্রিক টন ধানসহ মৌসুমী ফসলাদি উত্পাদন করা যেত। এর বদলে দ্রুত তামাক চাষ সম্প্রসারণের পেছনে শুধু টোব্যাকো কোম্পানির ভূমিকাই নয়, স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদেরও সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে। তারা অবৈধ সুবিধা পেয়ে গোপনে কৃষকদের তামাক চাষে উত্সাহিত করছেন বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে। অথচ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিলে চলনবিলের জমিতে অনায়াসেই বছরে দু’বার ধান চাষ করা সম্ভব। তামাক চাষের ফলে জমির উর্বরা শক্তিও নষ্ট হয়। কারগিল নামক সার ব্যবহারের ফলে পরবর্তী পাঁচ-ছয় বছর মাটি শক্ত হয়ে থাকার কারণে অন্য কৃষি ফসলের আবাদ ব্যাহত হয়। তাছাড়া আগাম অর্থ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণের লোভে তামাক চাষ করে কৃষকও খুব একটা লাভবান হয় না। ফসল ওঠার পর সমুদয় খরচ কেটে রেখে কৃষককে বাজার দরের চেয়ে কম মূল্যে তামাক দিতে হয় কোম্পানির লোকদের। কৃষক ইচ্ছামত বাজারে তামাক বেচতে পারে না। আর তামাক চাষ প্রকৃতি ও পরিবেশে কী ধরনের ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে সেটা অনেকেরই এখনও অজানা। তবে কৃষকের ধারণা না থাকলেও কৃষি বিভাগের লোকজনের বিষয়টি অজানা থাকার কথা নয়। তারপরও তারা তামাক চাষে নিরুত্সাহিত না করায় কৃষক সেদিকে ঝুঁকে পড়ছে। অর্থাত্ সরকারের প্রয়োজনীয় নজরদারির অভাবেই দেশের বিভিন্ন জেলায় তামাক চাষ সম্প্রসারিত হচ্ছে বলা যায়।
অথচ দেশের খাদ্যচাহিদা পূরণে ধানসহ খাদ্যশস্যের উত্পাদন বৃদ্ধি করা খুবই জরুরি। বাজারে চড়া দামের কারণে সরকারের আমন ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান মুখথুবড়ে পড়েছে। অন্যদিকে চারা-বীজ, সেচ সঙ্কট ও আবহাওয়াগত কারণে বোরো আবাদ নিয়েও অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে তামাক চাষ বৃদ্ধি পাওয়ার অনিবার্য পরিণতি দেশের খাদ্য সঙ্কটকেই ভয়াবহ করে তুলবে, এই আশঙ্কা জাগা স্বাভাবিক।
এ অবস্থায় কৃষিমন্ত্রীর মুখে জ্বালাময়ী রাজনৈতিক ভাষণের চেয়ে কৃষি সমস্যার প্রতি নজর বাড়ানোই যুক্তিযুক্ত। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় খাদ্যের বদলে তামাকের চাষ ক্রমবর্ধমানহারে বেড়ে চলা প্রমাণ করে কৃষিতে প্রয়োজনীয় নজরদারির অভাব রয়েছে।
গতকালের আমার দেশ-এ প্রকাশিত পাবনা থেকে পাঠানো রিপোর্টে জানা যায়, শস্যভাণ্ডারখ্যাত চলনবিলেও সর্বনাশা তামাক চাষ ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে। এ জন্য দেশি-বিদেশি টোব্যাকো কোম্পানিগুলো কৃষকদের নগদ অর্থসহ সব ধরনের সহায়তা দিয়ে প্রলুব্ধ করছে। তারা জমির পরিমাণ অনুযায়ী কৃষকদের ‘দাদন’ ও ‘নজরানা’ ছাড়াও বিনামূল্যে বীজ, সার, কীটনাশক সরবরাহ করছে। ফলে চলতি বছর পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, রায়গঞ্জ, নাটোরের গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার প্রায় এক হাজার একরেরও বেশি আবাদি জমিতে তামাকের চাষ হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী প্রাকৃতিক জলাভূমি চলনবিলের অন্তর্ভুক্ত এসব এলাকায় স্বাভাবিকভাবেই ধানসহ দু’তিন ফসল আবাদ হয়। তামাক চাষে প্রায় ৫ মাস সময় লাগার ফলে বন্যাপ্রবণ এ এলাকায় এখন অন্য কোনো ফসল উত্পাদন সম্ভব হবে না। এক হিসাবে জানা গেছে, তামাক চাষের জমিতে কমপক্ষে ১২ হাজার মেট্রিক টন ধানসহ মৌসুমী ফসলাদি উত্পাদন করা যেত। এর বদলে দ্রুত তামাক চাষ সম্প্রসারণের পেছনে শুধু টোব্যাকো কোম্পানির ভূমিকাই নয়, স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদেরও সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে। তারা অবৈধ সুবিধা পেয়ে গোপনে কৃষকদের তামাক চাষে উত্সাহিত করছেন বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে। অথচ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিলে চলনবিলের জমিতে অনায়াসেই বছরে দু’বার ধান চাষ করা সম্ভব। তামাক চাষের ফলে জমির উর্বরা শক্তিও নষ্ট হয়। কারগিল নামক সার ব্যবহারের ফলে পরবর্তী পাঁচ-ছয় বছর মাটি শক্ত হয়ে থাকার কারণে অন্য কৃষি ফসলের আবাদ ব্যাহত হয়। তাছাড়া আগাম অর্থ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণের লোভে তামাক চাষ করে কৃষকও খুব একটা লাভবান হয় না। ফসল ওঠার পর সমুদয় খরচ কেটে রেখে কৃষককে বাজার দরের চেয়ে কম মূল্যে তামাক দিতে হয় কোম্পানির লোকদের। কৃষক ইচ্ছামত বাজারে তামাক বেচতে পারে না। আর তামাক চাষ প্রকৃতি ও পরিবেশে কী ধরনের ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে সেটা অনেকেরই এখনও অজানা। তবে কৃষকের ধারণা না থাকলেও কৃষি বিভাগের লোকজনের বিষয়টি অজানা থাকার কথা নয়। তারপরও তারা তামাক চাষে নিরুত্সাহিত না করায় কৃষক সেদিকে ঝুঁকে পড়ছে। অর্থাত্ সরকারের প্রয়োজনীয় নজরদারির অভাবেই দেশের বিভিন্ন জেলায় তামাক চাষ সম্প্রসারিত হচ্ছে বলা যায়।
অথচ দেশের খাদ্যচাহিদা পূরণে ধানসহ খাদ্যশস্যের উত্পাদন বৃদ্ধি করা খুবই জরুরি। বাজারে চড়া দামের কারণে সরকারের আমন ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান মুখথুবড়ে পড়েছে। অন্যদিকে চারা-বীজ, সেচ সঙ্কট ও আবহাওয়াগত কারণে বোরো আবাদ নিয়েও অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে তামাক চাষ বৃদ্ধি পাওয়ার অনিবার্য পরিণতি দেশের খাদ্য সঙ্কটকেই ভয়াবহ করে তুলবে, এই আশঙ্কা জাগা স্বাভাবিক।
এ অবস্থায় কৃষিমন্ত্রীর মুখে জ্বালাময়ী রাজনৈতিক ভাষণের চেয়ে কৃষি সমস্যার প্রতি নজর বাড়ানোই যুক্তিযুক্ত। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় খাদ্যের বদলে তামাকের চাষ ক্রমবর্ধমানহারে বেড়ে চলা প্রমাণ করে কৃষিতে প্রয়োজনীয় নজরদারির অভাব রয়েছে।
No comments