হরতালের পরে যানজটের যন্ত্রণা by হামিদ উল্লাহ
তিন দিনের টানা হরতালের পর নগরের প্রধান প্রধান সড়কসহ অলিগলিতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া যানজট গতকাল সারা দিনও ছিল প্রকট। বিভিন্ন পেশার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগামী রোববার থেকে বিরোধী দল নতুন করে হরতাল ডাকতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন অনেকে।
এ কারণে লোকজন আজকালের মধ্যে তাঁদের কাজকর্ম সারিয়ে ফেলতে চান। এসব কাজ দ্রুত শেষ করতে তাঁরা একযোগে নেমে পড়েছেন। ফলে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি যানবাহন একযোগে রাস্তায় বের হওয়ায় যানজটে পুরো শহর প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের অতিরিক্ত মহাসচিব গোলাম রসুল ওরফে বাবুল প্রথম আলোকে বলেন, ‘হঠাৎ টানা তিন দিনের হরতাল পড়ে যাওয়ায় সব ধরনের পণ্য সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। স্বাভাবিক কাজকর্মও বন্ধ থাকে। হরতালের সময় নিরীহ মানুষ ঘর থেকেই বের হয়নি। তাই হরতাল শেষে সবাই কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। যানজটের আশঙ্কায় আমিও ব্যক্তিগত গাড়িটি ব্যবহার করিনি। কিন্তু রাস্তায় বের হয়ে দেখি পুরো শহর যানজটে ডুবে গেছে।’
গতকাল বুধবার নগরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ চাল-ডালের দোকান থেকে শুরু করে ব্যাংক এবং বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। সপ্তাহের পাঁচ দিনের মধ্যে তিন দিন সব কাজ বন্ধ থাকায় বাকি দুই দিনে সব কাজ শেষ করে ফেলার চেষ্টা ছিল সবার মধ্যে। সে সঙ্গে আগামী সপ্তাহে নতুন করে হরতালের আশঙ্কা থেকেও লোকজন অতিরিক্ত কাজ করার চেষ্টা করে।
জানা যায়, গতকাল বিকেল নাগাদ দূরপাল্লার বাস, ট্রাকগুলো চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ করতে শুরু করে। বিশেষ করে তরিতরকারি নিয়ে যেসব ট্রাক উত্তরবঙ্গ থেকে শহরে প্রবেশ করে, সেগুলো একসঙ্গে রিয়াজউদ্দিন বাজারের আড়তে এসে ভিড় করে। নাসিরাবাদ ভারী শিল্প এলাকা এবং সীতাকুণ্ড শিল্প এলাকায় ট্রাকের প্রচণ্ড ভিড় দেখা যায়। দিনের বেলা নগরে ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকলেও গতকাল অনেক ট্রাককে লোহাসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (যানবাহন) এ কে এম এমরান ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘পচনশীল পণ্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য কিংবা আমদানি-রপ্তানি পণ্য নিয়ে ট্রাক চলাচল করতে কোনো সমস্যা নেই। তবে যানজট হলেও যাতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকে সে জন্য আমরা গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে সার্জেন্ট মোতায়েন রেখেছি। তা ছাড়া ট্রাফিক পুলিশ পুরো শক্তি দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘লোহা কিংবা ইটের ট্রাক দিনের বেলা শহরে প্রবেশ করতে আমরা দিচ্ছি না। কারণ, এসব পণ্য দু-এক দিন চলাচল না করলেও লোকজন খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা নয়।’
তবে ব্যবসায়ী ও ঠিকাদাররা জানান, তিন দিনের টানা হরতালের কারণে বিভিন্ন স্থানে নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে আছে। ফলে নগর কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেওয়া নিয়মকানুন মানা তাঁদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘তিন দিনের হরতালসহ সব ধরনের কাজ আসলে পাঁচ দিন ধরে বন্ধ ছিল। এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমাদের অনেক কাজ দ্রুত করতে হবে। নির্মাণকাজের পুরোটাই লোহা, ইট আর সিমেন্টের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই নির্মাণসামগ্রী বহনকারী গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের কিছু ছাড় দেওয়া উচিত।’
অন্যদিকে কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ করতে নগরের আশপাশের লোকজনও শহরে ভিড় জমিয়েছেন। রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা হাজিপাড়ার বাসিন্দা চাকরিজীবী শেখ মোহাম্মদ রাসেল প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাবা কিডনি রোগী। চিকিৎসক কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বলেন। কিন্তু হরতালের কারণে বাবাকে গ্রামের বাড়ি থেকে শহরে আনা সম্ভব হয়নি। এতে তাঁর শরীর ফুলে গেছে। তাই হরতাল শেষে তীব্র যানজট ঠেলে তাঁকে শহরে নিয়ে এসেছি।’
চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের অতিরিক্ত মহাসচিব গোলাম রসুল ওরফে বাবুল প্রথম আলোকে বলেন, ‘হঠাৎ টানা তিন দিনের হরতাল পড়ে যাওয়ায় সব ধরনের পণ্য সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। স্বাভাবিক কাজকর্মও বন্ধ থাকে। হরতালের সময় নিরীহ মানুষ ঘর থেকেই বের হয়নি। তাই হরতাল শেষে সবাই কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। যানজটের আশঙ্কায় আমিও ব্যক্তিগত গাড়িটি ব্যবহার করিনি। কিন্তু রাস্তায় বের হয়ে দেখি পুরো শহর যানজটে ডুবে গেছে।’
গতকাল বুধবার নগরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ চাল-ডালের দোকান থেকে শুরু করে ব্যাংক এবং বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। সপ্তাহের পাঁচ দিনের মধ্যে তিন দিন সব কাজ বন্ধ থাকায় বাকি দুই দিনে সব কাজ শেষ করে ফেলার চেষ্টা ছিল সবার মধ্যে। সে সঙ্গে আগামী সপ্তাহে নতুন করে হরতালের আশঙ্কা থেকেও লোকজন অতিরিক্ত কাজ করার চেষ্টা করে।
জানা যায়, গতকাল বিকেল নাগাদ দূরপাল্লার বাস, ট্রাকগুলো চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ করতে শুরু করে। বিশেষ করে তরিতরকারি নিয়ে যেসব ট্রাক উত্তরবঙ্গ থেকে শহরে প্রবেশ করে, সেগুলো একসঙ্গে রিয়াজউদ্দিন বাজারের আড়তে এসে ভিড় করে। নাসিরাবাদ ভারী শিল্প এলাকা এবং সীতাকুণ্ড শিল্প এলাকায় ট্রাকের প্রচণ্ড ভিড় দেখা যায়। দিনের বেলা নগরে ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকলেও গতকাল অনেক ট্রাককে লোহাসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (যানবাহন) এ কে এম এমরান ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘পচনশীল পণ্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য কিংবা আমদানি-রপ্তানি পণ্য নিয়ে ট্রাক চলাচল করতে কোনো সমস্যা নেই। তবে যানজট হলেও যাতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকে সে জন্য আমরা গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে সার্জেন্ট মোতায়েন রেখেছি। তা ছাড়া ট্রাফিক পুলিশ পুরো শক্তি দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘লোহা কিংবা ইটের ট্রাক দিনের বেলা শহরে প্রবেশ করতে আমরা দিচ্ছি না। কারণ, এসব পণ্য দু-এক দিন চলাচল না করলেও লোকজন খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা নয়।’
তবে ব্যবসায়ী ও ঠিকাদাররা জানান, তিন দিনের টানা হরতালের কারণে বিভিন্ন স্থানে নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে আছে। ফলে নগর কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেওয়া নিয়মকানুন মানা তাঁদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘তিন দিনের হরতালসহ সব ধরনের কাজ আসলে পাঁচ দিন ধরে বন্ধ ছিল। এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমাদের অনেক কাজ দ্রুত করতে হবে। নির্মাণকাজের পুরোটাই লোহা, ইট আর সিমেন্টের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই নির্মাণসামগ্রী বহনকারী গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের কিছু ছাড় দেওয়া উচিত।’
অন্যদিকে কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ করতে নগরের আশপাশের লোকজনও শহরে ভিড় জমিয়েছেন। রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা হাজিপাড়ার বাসিন্দা চাকরিজীবী শেখ মোহাম্মদ রাসেল প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাবা কিডনি রোগী। চিকিৎসক কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বলেন। কিন্তু হরতালের কারণে বাবাকে গ্রামের বাড়ি থেকে শহরে আনা সম্ভব হয়নি। এতে তাঁর শরীর ফুলে গেছে। তাই হরতাল শেষে তীব্র যানজট ঠেলে তাঁকে শহরে নিয়ে এসেছি।’
No comments