বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ করতে হবে-মানবাধিকার পরিস্থিতি
যে নামেই ডাকা হোক, গোলাপ গোলাপই, অন্য কিছু নয়। যে পদ্ধতিতেই হোক, র্যাব বা পুলিশের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হত্যাই বটে। প্রথমে ছিল ‘ক্রসফায়ার’, পরে হয়েছে ‘বন্দুকযুদ্ধ’, নতুন কৌশল হলো ‘গুপ্তহত্যা’। গল্পটাই শুধু বদলায়, কিন্তু সব গল্পের শেষেই গুলিবিদ্ধ হয়ে কারও না-কারও মৃত্যু হয়, বিচার হয় না।
এবং বরাবরের মতো পুলিশ বা র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা আত্মরক্ষার্থে গুলি করে এবং তাতে মানবাধিকারের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যখন অভিযুক্ত, তখন তাঁদের কৃতকর্মের সঠিক মূল্যায়ন তাঁদের কাছ থেকে না পাওয়াই স্বাভাবিক। মানবাধিকারের সংজ্ঞাটি বরং মানবাধিকারবিষয়ক কর্মী-গবেষক ও আইনবিদদের দ্বারাই নিরূপিত হোক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে তাদের করণীয় বিষয়ে সজাগ হোক।
মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং অধিকার একযোগে বলেছে, ২০১০ সালে সবচেয়ে উদ্বেগজনক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ছিল র্যাব ও পুলিশের ক্রসফায়ার। বিশেষ করে ধরে নিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখার যে অভিযোগ গত শনিবার আসকের সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করা হয়েছে, তা গভীরভাবে উদ্বেগের বিষয়। আইনের আওতার বাইরে যেকোনো হত্যাকাণ্ড, তা যত মহৎ উদ্দেশ্যেই করা হোক না কেন, তার ফল মন্দ হতে বাধ্য। আইন-আদালত থাকতে বিনা বিচারে মানুষ হত্যার প্রয়োজনটাই বা কেন হচ্ছে, সেটাই খতিয়ে দেখা দরকার।
বিদায়ী বছরের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়েও একই কথা বলা যায়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর হানাহানিতে বেশ কয়েকটি প্রাণ ঝরে গেছে। অজস্র নারী নির্যাতিত হয়েছেন এবং বখাটে যুবকদের ‘যৌন সন্ত্রাসের’ কবলে ঝরে গেছে অনেক তরুণীর প্রাণ। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেও রক্ত ঝরেছে, প্রাণ গেছে। চিহ্নিত অপরাধীদের মামলা থেকে রেহাই দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। সব মিলিয়ে সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি সুখকর ছিল না। মুশকিল হচ্ছে, সরকার একদিকে মানবাধিকার কমিশন গঠন করছে, অন্যদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ বিষয়ে উদাসীনতা দেখাচ্ছে। অথচ আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারে এবং প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা গ্রহণের অল্প দিন পরই সংসদে দাঁড়িয়ে ক্রসফায়ার বন্ধের অঙ্গীকার করেছিলেন।
মানবাধিকার হচ্ছে যেকোনো সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতার অন্যতম নিরিখ। অন্য অনেক ক্ষেত্রের সাফল্যও কিন্তু ম্লান হয়ে যেতে পারে, যদি সরকার তার অধীন সরকারি প্রতিষ্ঠান তথা র্যাব-পুলিশ-আদালত-প্রশাসন এবং সরকারদলীয় সংগঠনগুলোর আচরণকে সংযত করতে না পারে। দুর্নীতির মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনও অন্যতম জাতীয় সমস্যা। মনে রাখা চাই, পেটের মারের চেয়ে অনেক সময় পিঠের মার বেশি অসহনীয়। ক্রমাগত মানবাধিকার লঙ্ঘন সে রকমই এক নাজুক বিষয়, যার অবসান হওয়া জরুরি।
মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং অধিকার একযোগে বলেছে, ২০১০ সালে সবচেয়ে উদ্বেগজনক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ছিল র্যাব ও পুলিশের ক্রসফায়ার। বিশেষ করে ধরে নিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখার যে অভিযোগ গত শনিবার আসকের সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করা হয়েছে, তা গভীরভাবে উদ্বেগের বিষয়। আইনের আওতার বাইরে যেকোনো হত্যাকাণ্ড, তা যত মহৎ উদ্দেশ্যেই করা হোক না কেন, তার ফল মন্দ হতে বাধ্য। আইন-আদালত থাকতে বিনা বিচারে মানুষ হত্যার প্রয়োজনটাই বা কেন হচ্ছে, সেটাই খতিয়ে দেখা দরকার।
বিদায়ী বছরের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়েও একই কথা বলা যায়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর হানাহানিতে বেশ কয়েকটি প্রাণ ঝরে গেছে। অজস্র নারী নির্যাতিত হয়েছেন এবং বখাটে যুবকদের ‘যৌন সন্ত্রাসের’ কবলে ঝরে গেছে অনেক তরুণীর প্রাণ। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেও রক্ত ঝরেছে, প্রাণ গেছে। চিহ্নিত অপরাধীদের মামলা থেকে রেহাই দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। সব মিলিয়ে সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি সুখকর ছিল না। মুশকিল হচ্ছে, সরকার একদিকে মানবাধিকার কমিশন গঠন করছে, অন্যদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ বিষয়ে উদাসীনতা দেখাচ্ছে। অথচ আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারে এবং প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা গ্রহণের অল্প দিন পরই সংসদে দাঁড়িয়ে ক্রসফায়ার বন্ধের অঙ্গীকার করেছিলেন।
মানবাধিকার হচ্ছে যেকোনো সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতার অন্যতম নিরিখ। অন্য অনেক ক্ষেত্রের সাফল্যও কিন্তু ম্লান হয়ে যেতে পারে, যদি সরকার তার অধীন সরকারি প্রতিষ্ঠান তথা র্যাব-পুলিশ-আদালত-প্রশাসন এবং সরকারদলীয় সংগঠনগুলোর আচরণকে সংযত করতে না পারে। দুর্নীতির মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনও অন্যতম জাতীয় সমস্যা। মনে রাখা চাই, পেটের মারের চেয়ে অনেক সময় পিঠের মার বেশি অসহনীয়। ক্রমাগত মানবাধিকার লঙ্ঘন সে রকমই এক নাজুক বিষয়, যার অবসান হওয়া জরুরি।
No comments