'রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পাওয়া' নেতাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
১৯ বছর আগে 'রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পাওয়া' কক্সবাজারের বিএনপির নেতা সারোয়ার কামালকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে ওই জেলার সহকারী দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও শেখ মো. জাকির হোসেনের বেঞ্চ গতকাল বুধবার এক রায়ে এ নির্দেশ দেন।
'পলাতক ব্যক্তি প্রতিকার পেতে পারে না'- এ যুক্তি দেখিয়ে হাইকোর্ট কামালের আবেদন খারিজ করে তাঁকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। হাইকোর্টে কামালের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এস এম জাফর সাদিক। সরকারপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল গাজী মামুনুর রশীদ।
টেকনাফে পিটুনির পর এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় ১৯৮১ সালের ২৫ জুলাই সারোয়ার কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। বিচারিক আদালত ১৯৮৯ সালের ২৬ জুলাই ওই মামলায় কামালকে ১০ বছরের সাজা দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করলে ১৯৯১ সালের ২৮ অগাস্ট হাইকোর্ট তাঁর আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন কামাল। ওই আপিল আবেদনের নিষ্পত্তি করে ১৯৯২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট কামালের দণ্ড কমিয়ে আট বছরের সাজা এবং তাঁকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন।
হাইকোর্টের রায়ের আগেই কামালের স্ত্রী ১৯৯১ সালের ১৩ জুন রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে একটি আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি সরকার আমলের রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস ১৯৯৩ সালের ১২ এপ্রিল তাঁর সাজা মওকুফ করে দেন।
কিন্তু হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের নথি পাওয়ার পর কক্সবাজারের বিচারিক আদালত ১৯৯৭ সালের ৩০ জুন কামালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আবেদন করলে বিচারিক আদালত তা খারিজ করে দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে কামাল হাইকোর্টে আবেদন করেন।
টেকনাফে পিটুনির পর এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় ১৯৮১ সালের ২৫ জুলাই সারোয়ার কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। বিচারিক আদালত ১৯৮৯ সালের ২৬ জুলাই ওই মামলায় কামালকে ১০ বছরের সাজা দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করলে ১৯৯১ সালের ২৮ অগাস্ট হাইকোর্ট তাঁর আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন কামাল। ওই আপিল আবেদনের নিষ্পত্তি করে ১৯৯২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট কামালের দণ্ড কমিয়ে আট বছরের সাজা এবং তাঁকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন।
হাইকোর্টের রায়ের আগেই কামালের স্ত্রী ১৯৯১ সালের ১৩ জুন রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে একটি আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি সরকার আমলের রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস ১৯৯৩ সালের ১২ এপ্রিল তাঁর সাজা মওকুফ করে দেন।
কিন্তু হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের নথি পাওয়ার পর কক্সবাজারের বিচারিক আদালত ১৯৯৭ সালের ৩০ জুন কামালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আবেদন করলে বিচারিক আদালত তা খারিজ করে দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে কামাল হাইকোর্টে আবেদন করেন।
No comments