উৎপাদন ও বিতরণে ২৮ শতাংশই সিস্টেম লস by রাশেদুল তুষার
দেশে বিদ্যুতের সিস্টেম লস কত? 'পিডিবির সিস্টেম লস ১৩ শতাংশ আর খুচরা বিদ্যুৎ বিক্রেতা পল্লী বিদ্যুৎ, ডেসকো, ডিপিডিসি, ওজোপাডিকোর সিস্টেম লসও কাছাকাছিই হবে। তবে দিন দিন সিস্টেম লস আরো কমছে'- অনেকটা সন্তুষ্টির সুরে ঝটপট উত্তর দিলেন পিডিবির পরিচালক (জনসংযোগ) সাইফুল হাসান চৌধুরী।
পিডিবির পরিচালকের উল্লিখিত তথ্যটি মূলত আমজনতার জন্য। যে তথ্যটি প্রকাশ করা হয় না তা হলো, বিতরণ লাইনে আসার আগেই উৎপাদিত বিদ্যুতের আরো ১৮ থেকে ২০ শতাংশ অপচয় হয়ে যায়। অর্থাৎ বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতিদিন যে পরিমাণ উৎপাদন হয় এর প্রায় ২৫ থেকে ২৮ শতাংশই গ্রাহকপর্যায়ে আসার পথে অপচয় হয়। এতে বছরে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা। অথচ এই ভয়াবহ তথ্যটি বরাবরই আড়াল করে রাখা হয় জনসাধারণ এমনকি সরকারের কাছেও।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরনো বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সঞ্চালন লাইন, ঘন ঘন ফিডার এবং সাবস্টেশনের কারণেই বেশির ভাগ বিদ্যুৎ অপচয় হয়ে যায়। এ অপচয়ের মাত্রা দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। গত কয়েক বছরে উৎপাদন বাড়লেও বিদ্যুতের অপচয় কমেনি। মূলত এ কারণে উৎপাদন বাড়লেও দেশে বিদ্যুতের লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না।
গত ২২ মার্চ এশিয়া কাপের ফাইনালের দিন দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৬০৬৫.৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। পিডিবি থেকে প্রচার করা হয়, চাহিদা ও উৎপাদনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এদিন দেশে কোথাও লোডশেডিং ছিল না। আর পিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ওই দিন তাদের বিতরণযোগ্য লোড ছিল ৫০০৬ মেগাওয়াট। অর্থাৎ এদিন বিতরণ লাইনে যাওয়ার আগেই অপচয় হয়ে গেছে ১০৬০ মেগাওয়াট! এর সঙ্গে ১৩ শতাংশ বিতরণ লস ধরলে সর্বমোট প্রায় ১৭১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সিস্টেম লসের কবলে অপচয় হয়, যা মোট উৎপাদনের প্রায় ২৮ শতাংশ। এই চিত্র শুধু একদিনের নয় বরং এনএলডিসি (ন্যাশনাল লোড ডেসপাস সেন্টার) থেকে সরবরাহকৃত পিডিবির গত আড়াই বছরের উৎপাদন, বিতরণযোগ্য লোড, চাহিদা, বিতরণ ও লোডশেডিং পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে একই ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু পিডিবির পক্ষ থেকে কখনোই ট্রান্সমিশন লস ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের অক্সিলারি কনজাম্পশন লসের (উৎপাদন ব্যয়) বিষয়টি প্রচার করা হয় না। আর বিদ্যুতের অতিরিক্ত লসের পুরো ব্যয়ভার বহন করতে হচ্ছে জনগণকে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল ইসলাম বিদ্যুৎ অপচয়ের আর্থিক ক্ষতির হিসাব তুলে ধরে বলেন, 'উৎপাদন ব্যয় সাত টাকা ধরে প্রতি মেগাওয়াটে সরকারের প্রতিদিন ব্যয় হয় প্রায় দেড় লাখ টাকা। এভাবে প্রতিদিন ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন লসে ১৩০০ থেকে ১৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ অপচয় হয়। আর এ অপচয়ের জন্য সরকারের ক্ষতি হয় বছরে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা।'
এনএলডিসির পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১০ সালের ২৩ এপ্রিল দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ৪২০২ মেগাওয়াট। বিতরণযোগ্য লোড ছিল ৩৪২২ মেগাওয়াট। অর্থাৎ উৎপাদনের পর বিতরণ উপযোগী হওয়ার আগেই অপচয় হয় ১৮.৫৬ শতাংশ বিদ্যুৎ। একইভাবে ২০১১ সালের ২৩ এপ্রিল বিতরণযোগ্য হওয়ার আগে অপচয় হয় ১৮.২৩ ভাগ। আর গত ২৩ এপ্রিল ৫০২৫ মেগাওয়াট উৎপাদনের বিপরীতে বিতরণযোগ্য বিদ্যুৎ ছিল ৪১২১ মেগাওয়াট। অর্থাৎ এ পর্যায়ে অপচয় হয়েছে ১৭.৯৯ শতাংশ বিদ্যুৎ।
ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন লস মিলিয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুতের অপচয় প্রায় ২৫ থেকে ২৮ শতাংশ। অথচ সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ে চার থেকে ছয়, যুক্তরাষ্ট্রে চার এবং ভারতে সিস্টেম লস প্রায় ২০ শতাংশ।
বিতরণের আগেই যেভাবে অপচয়
পিডিবির একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যেকোনো বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদনের সময় কিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় হিসেবে খরচ হয়ে যায়। এরপর উৎপাদিত বিদ্যুৎ প্রথমে ১৫ কেভি লাইনে, এরপর একে একে ১৩২ কেভি, ২৩০ কেভি হয়ে আবার ৩৩ কেভি এবং ১১ কেভি লাইন হয়ে গ্রাহকপর্যায়ে সরবরাহ করা হয়। প্রতিটি সঞ্চালন লাইন পরিবর্তনেও বিদ্যুৎ অপচয় হয়
পিডিবির সাবেক সদস্য (উৎপাদন) তপন কুমার চৌধুরী এ প্রসঙ্গে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'প্রতিটি লাইনে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের সময় কিছু ট্রান্সমিশন লস হয়। এ ছাড়া আমাদের এখানে বিদ্যুৎ সঞ্চালনে বাধা অনেক বেশি। কিছুদূর পর পর সাবস্টেশন, ফিডার থাকে। প্রতিটি বাধায়ই বিদ্যুতের অপচয় হয়। এই লসটা ৮ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে থাকাটা আদর্শ।'
একই কথা বলেন চট্টগ্রাম বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী বিমল কুমার হালদার। তিনি বলেন, 'অক্সিলারি কনজাম্পশন লস ও গ্রিড লাইনে চেঞ্জের সময়ও বিদ্যুৎ অপচয় হয়।'
পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বিডি রহমত উল্লাহ বিদ্যুৎ অপচয়ের আরেকটি দিক সামনে নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, 'গত কয়েক বছর শুধু বিদ্যুৎকেন্দ্র বসিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর দিকেই সরকারের নজর ছিল। কিন্তু এই বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন পুরনো আমলের। এগুলোর অধিক হারে সঞ্চালনের ক্ষমতা না থাকায় বিদ্যুতের অপচয় হয়।' তিনি বলেন, 'আরেকটি লস হচ্ছে বাণিজ্যিক। আমরা ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৫ টাকা ইউনিট ধরে বিদ্যুৎ কিনে পাঁচ টাকা দরে গ্রাহকপর্যায়ে বিক্রি করছি।' হিসাব কষে তিনি দেখান, এভাবে প্রতি ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতে মাসে দেশের ক্ষতি হয় প্রায় ২১৬ কোটি টাকা। সিস্টেম লসের ব্যাপারে পিডিবির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংশ্লিষ্টতার উল্লেখ করে বিডি রহমত উল্লাহ বলেন, 'সিস্টেম লস দুই ধরনের হতে পারে। যেমন, ডিমান্ড লস ও এনার্জি লস। অনেক সময় পিডিবির এক শ্রেণীর দুর্নীতিবাজ লোক বিদ্যুৎ চুরির সুবিধার্থে চাহিদা বাড়িয়ে দেখায়। বাড়তি বিদ্যুৎ তাঁরা অসৎ উপায়ে বিক্রি করে দেন। আর এনার্জি লস বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ পর্যায়েই হয়ে যায়। এই দুই মিলিয়ে দেশে সিস্টেম লস ২০ থেকে ২৫ শতাংশ।'
এনএলডিসি থেকে সরবরাহকৃত পরিসংখ্যানে প্রতিদিনের উৎপাদন ও বিতরণযোগ্য লোড বিশ্লেষণে ১৮ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত অপচয় দেখা গেলেও পিডিবি কর্মকর্তারা তা অস্বীকার করেন। এ প্রসঙ্গে সাইফুল হাসান চৌধুরীর দাবি, পিডিবির ট্রান্সমিশন লস খুব বেশি হলে তিন থেকে পাঁচ শতাংশ হবে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরনো বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সঞ্চালন লাইন, ঘন ঘন ফিডার এবং সাবস্টেশনের কারণেই বেশির ভাগ বিদ্যুৎ অপচয় হয়ে যায়। এ অপচয়ের মাত্রা দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। গত কয়েক বছরে উৎপাদন বাড়লেও বিদ্যুতের অপচয় কমেনি। মূলত এ কারণে উৎপাদন বাড়লেও দেশে বিদ্যুতের লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না।
গত ২২ মার্চ এশিয়া কাপের ফাইনালের দিন দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৬০৬৫.৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। পিডিবি থেকে প্রচার করা হয়, চাহিদা ও উৎপাদনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এদিন দেশে কোথাও লোডশেডিং ছিল না। আর পিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ওই দিন তাদের বিতরণযোগ্য লোড ছিল ৫০০৬ মেগাওয়াট। অর্থাৎ এদিন বিতরণ লাইনে যাওয়ার আগেই অপচয় হয়ে গেছে ১০৬০ মেগাওয়াট! এর সঙ্গে ১৩ শতাংশ বিতরণ লস ধরলে সর্বমোট প্রায় ১৭১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সিস্টেম লসের কবলে অপচয় হয়, যা মোট উৎপাদনের প্রায় ২৮ শতাংশ। এই চিত্র শুধু একদিনের নয় বরং এনএলডিসি (ন্যাশনাল লোড ডেসপাস সেন্টার) থেকে সরবরাহকৃত পিডিবির গত আড়াই বছরের উৎপাদন, বিতরণযোগ্য লোড, চাহিদা, বিতরণ ও লোডশেডিং পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে একই ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু পিডিবির পক্ষ থেকে কখনোই ট্রান্সমিশন লস ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের অক্সিলারি কনজাম্পশন লসের (উৎপাদন ব্যয়) বিষয়টি প্রচার করা হয় না। আর বিদ্যুতের অতিরিক্ত লসের পুরো ব্যয়ভার বহন করতে হচ্ছে জনগণকে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল ইসলাম বিদ্যুৎ অপচয়ের আর্থিক ক্ষতির হিসাব তুলে ধরে বলেন, 'উৎপাদন ব্যয় সাত টাকা ধরে প্রতি মেগাওয়াটে সরকারের প্রতিদিন ব্যয় হয় প্রায় দেড় লাখ টাকা। এভাবে প্রতিদিন ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন লসে ১৩০০ থেকে ১৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ অপচয় হয়। আর এ অপচয়ের জন্য সরকারের ক্ষতি হয় বছরে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা।'
এনএলডিসির পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১০ সালের ২৩ এপ্রিল দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ৪২০২ মেগাওয়াট। বিতরণযোগ্য লোড ছিল ৩৪২২ মেগাওয়াট। অর্থাৎ উৎপাদনের পর বিতরণ উপযোগী হওয়ার আগেই অপচয় হয় ১৮.৫৬ শতাংশ বিদ্যুৎ। একইভাবে ২০১১ সালের ২৩ এপ্রিল বিতরণযোগ্য হওয়ার আগে অপচয় হয় ১৮.২৩ ভাগ। আর গত ২৩ এপ্রিল ৫০২৫ মেগাওয়াট উৎপাদনের বিপরীতে বিতরণযোগ্য বিদ্যুৎ ছিল ৪১২১ মেগাওয়াট। অর্থাৎ এ পর্যায়ে অপচয় হয়েছে ১৭.৯৯ শতাংশ বিদ্যুৎ।
ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন লস মিলিয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুতের অপচয় প্রায় ২৫ থেকে ২৮ শতাংশ। অথচ সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ে চার থেকে ছয়, যুক্তরাষ্ট্রে চার এবং ভারতে সিস্টেম লস প্রায় ২০ শতাংশ।
বিতরণের আগেই যেভাবে অপচয়
পিডিবির একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যেকোনো বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদনের সময় কিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় হিসেবে খরচ হয়ে যায়। এরপর উৎপাদিত বিদ্যুৎ প্রথমে ১৫ কেভি লাইনে, এরপর একে একে ১৩২ কেভি, ২৩০ কেভি হয়ে আবার ৩৩ কেভি এবং ১১ কেভি লাইন হয়ে গ্রাহকপর্যায়ে সরবরাহ করা হয়। প্রতিটি সঞ্চালন লাইন পরিবর্তনেও বিদ্যুৎ অপচয় হয়
পিডিবির সাবেক সদস্য (উৎপাদন) তপন কুমার চৌধুরী এ প্রসঙ্গে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'প্রতিটি লাইনে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের সময় কিছু ট্রান্সমিশন লস হয়। এ ছাড়া আমাদের এখানে বিদ্যুৎ সঞ্চালনে বাধা অনেক বেশি। কিছুদূর পর পর সাবস্টেশন, ফিডার থাকে। প্রতিটি বাধায়ই বিদ্যুতের অপচয় হয়। এই লসটা ৮ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে থাকাটা আদর্শ।'
একই কথা বলেন চট্টগ্রাম বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী বিমল কুমার হালদার। তিনি বলেন, 'অক্সিলারি কনজাম্পশন লস ও গ্রিড লাইনে চেঞ্জের সময়ও বিদ্যুৎ অপচয় হয়।'
পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বিডি রহমত উল্লাহ বিদ্যুৎ অপচয়ের আরেকটি দিক সামনে নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, 'গত কয়েক বছর শুধু বিদ্যুৎকেন্দ্র বসিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর দিকেই সরকারের নজর ছিল। কিন্তু এই বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন পুরনো আমলের। এগুলোর অধিক হারে সঞ্চালনের ক্ষমতা না থাকায় বিদ্যুতের অপচয় হয়।' তিনি বলেন, 'আরেকটি লস হচ্ছে বাণিজ্যিক। আমরা ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৫ টাকা ইউনিট ধরে বিদ্যুৎ কিনে পাঁচ টাকা দরে গ্রাহকপর্যায়ে বিক্রি করছি।' হিসাব কষে তিনি দেখান, এভাবে প্রতি ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতে মাসে দেশের ক্ষতি হয় প্রায় ২১৬ কোটি টাকা। সিস্টেম লসের ব্যাপারে পিডিবির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংশ্লিষ্টতার উল্লেখ করে বিডি রহমত উল্লাহ বলেন, 'সিস্টেম লস দুই ধরনের হতে পারে। যেমন, ডিমান্ড লস ও এনার্জি লস। অনেক সময় পিডিবির এক শ্রেণীর দুর্নীতিবাজ লোক বিদ্যুৎ চুরির সুবিধার্থে চাহিদা বাড়িয়ে দেখায়। বাড়তি বিদ্যুৎ তাঁরা অসৎ উপায়ে বিক্রি করে দেন। আর এনার্জি লস বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ পর্যায়েই হয়ে যায়। এই দুই মিলিয়ে দেশে সিস্টেম লস ২০ থেকে ২৫ শতাংশ।'
এনএলডিসি থেকে সরবরাহকৃত পরিসংখ্যানে প্রতিদিনের উৎপাদন ও বিতরণযোগ্য লোড বিশ্লেষণে ১৮ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত অপচয় দেখা গেলেও পিডিবি কর্মকর্তারা তা অস্বীকার করেন। এ প্রসঙ্গে সাইফুল হাসান চৌধুরীর দাবি, পিডিবির ট্রান্সমিশন লস খুব বেশি হলে তিন থেকে পাঁচ শতাংশ হবে।
No comments