মামলা আছে সবার বিরুদ্ধে সম্পদে কেউ পিছিয়ে নেই by মাসুক আলতাফ চৌধুরী,
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে আলোচিত পাঁচ প্রার্থীর নামেই মামলা রয়েছে। সম্পদেও তারা কেউ কারও চেয়ে পিছিয়ে নেই। শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণী থেকে গ্র্যাজুয়েট। এই পাঁচ প্রার্থী হলেন_ আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট আফজল খান, বিএনপির মনিরুল হক সাক্কু, জাতীয় পার্টির এয়ার আহমেদ সেলিম, আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থী নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম ও অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান মিঠু।
মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় হলফনামা আকারে তারা নিজেরাই নিজেদের আমলনামা জমা দিয়েছেন। এতে দেখা যায়, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই মামলা হয়েছে। আফজল খানের বিরুদ্ধে ৩টি ও সাক্কুর বিরুদ্ধে দুটি মামলা বর্তমানে চলমান। সেলিমের বিরুদ্ধে অবশ্য বর্তমানে কোনো মামলা চলমান নেই। আওয়ামী লীগের অপর দুই বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে তানিমের বিরুদ্ধে সর্বাধিক ১৫টি মামলা হয়েছে। বর্তমানে জননিরাপত্তা আইনে একটি মামলা চলমান রয়েছে। অপর প্রার্থী আনিছুর রহমান মিঠুর বিরুদ্ধে ৭টি মামলা হয়েছে। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে কোনো
মামলা চলমান নেই। আফজল খানের বিরুদ্ধে বর্তমানে চলমান ৩টিই মামলাই দুর্নীতির। সাক্কুর বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতি ও একটি আয়কর ফাঁকির মামলা চলমান রয়েছে।
এ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে আফজল খানের বিরুদ্ধে হত্যা ও দুর্নীতির ২টি মামলা ও সাক্কুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, আগুন লাগানো, হত্যা, দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও মারামারির ৭টি মামলা ছিল। আফজল খান ওই ২টি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। আর মনিরুল হক সাক্কুও ওই ৭টি মামলার ২টির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল, ৩টি থেকে অব্যাহতি ও বাকি ২টি থেকে খালাস পেয়েছেন।
বিভিন্ন সময়ে মেয়র প্রার্থী তানিমের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ১৪টি মামলার মধ্যে রয়েছে_ দাঙ্গা-হাঙ্গামার ৬টি, একটি হত্যা মামলা, একটি অস্ত্র আইনে, একটি অপহরণ, ৪টি মারামারির ও একটি জননিরাপত্তা আইনে মামলা থেকে অব্যাহতি; খালাস ও চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। আনিছুর রহমান মিঠুর ৭টি মামলার মধ্যে ৫টি মারামারি, একটি মারামারি ও বিস্টেম্ফারক আইনে এবং অন্যটি অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলা। সব ক'টি মামলা থেকে তিনি খালাস ও অব্যাহতি পেয়েছেন।
আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা অ্যাডভোকেট আফজল খান বিএ এলএলবি, বিএনপির মনিরুল হক সাক্কু এসএসসি পাস, জাপার এয়ার আহমেদ সেলিম অষ্টম শ্রেণী পাস বলে হলফনামায় উল্কেম্নখ করেছেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী দুই প্রার্থীর মধ্যে তানিম বিএসএস ও মিঠু বিএ এলএলবি পাস বলে হলফনামায় উল্লেখ করেন। হলফনামা পর্যালোচনা করে মামলা, আয়, সম্পদ, দায় নিয়ে বিস্তারিত এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতা :আওয়ামী লীগের আফজল খান গ্র্যাজুয়েট। তদুপরি তিনি এলএলবি করেছেন। তার জন্ম ১৯৪৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। বয়স ৬৬ বছর। বিএনপির মনিরুল হক সাক্কু এসএসসি পাস। তার জন্ম ১৯৬২ সালের ১১ ডিসেম্বর। বয়স ৪৮ বছর। জাপার এয়ার আহমেদ সেলিম অষ্টম শ্রেণী পাস। জন্ম ১৯৫১ সালের ৩ জুলাই। বয়স ৬০ বছর। নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম বিএসএস পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। তার জন্ম ১৯৬৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। বয়স ৪২ বছর। অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান মিঠু বিএ এলএলবি। জন্ম ১৯৭২ সালের ১ নভেম্বর। বয়স ৩৯ বছর।
পেশা : আফজল খান, মনিরুল হক সাক্কু, তানিম ও এয়ার আহমেদ সেলিম পেশায় ব্যবসায়ী। তারা একই সঙ্গে ঠিকাদার ও সরবরাহকারী। মিঠুও পেশায় ব্যবসায়ী। একই সঙ্গে আইনজীবী।
আফজল খানের আয় ও সম্পদ : আফজল খান আয়ের উৎস হিসেবে ২০১১-১২ অর্থবছরের কর বিবরণী অনুযায়ী কৃষি থেকে বছরে ২৭ হাজার টাকা, বাড়ি ও দোকান ভাড়া থেকে ৭৫ হাজার ৬০০ টাকা, ব্যবসা থেকে ৯ লাখ ৬৬ টাকা ও ব্যাংক থেকে সুদ ও লভ্যাংশ হিসেবে এক লাখ ৪০ হাজার ২৫০ টাকা বছরে আয় করে থাকেন। তার ওপর নির্ভরশীলরা কৃষি, ব্যবসা ও অন্য পেশা থেকে ৩০ লাখ ৮ হাজার ৪৭২ টাকা আয় করেন। এ ছাড়াও তার কাছে নগদ ৫০ হাজার টাকা, স্ত্রীর কাছে ২০ হাজার টাকা ও নির্ভরশীলের কাছে ৫০ হাজার টাকা রয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজ নামে ৩৫ লাখ ৫৮ হাজার ৯২৬ টাকা, স্ত্রীর নামে ৮ লাখ ২২ হাজার ৭৮৩ টাকা ও নির্ভরশীলের নামে ৪০ হাজার ৫১১ টাকা জমা রয়েছে। তার নিজের একটি জিপ গাড়ি, স্ত্রীর একটি মাইক্রোবাস ও নির্ভরশীলের নামে একটি হোন্ডা রয়েছে। নিজ নামে ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, স্ত্রীর নামে ২০ ভরি ও নির্ভরশীলের নামে ৫০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার আছে। তার নিজ নামে টিভি, ফ্রিজ, খাট, সোফাসেট, স্ত্রীর নামে এয়ারকুলার, ডাইনিং টেবিল, আলমারি ও নির্ভরশীলের নামেও টিভি, ফ্রিজ, খাট, আলমারি ইত্যাদি রয়েছে।
আফজল খান স্থাবর সম্পদ হিসেবে ৫ দশমিক ৬৮ একর কৃষি জমি, এক দশমিক সাড়ে ৩২ একর ও ৫ কাঠা অকৃষি জমি, তিনতলা বাড়ি, ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট, এক দশমিক ৫৫ একরে মৎস্য খামার, ১ দশমিক ৬০ একরে পুকুর, ২৫ দশমিক ১৭ একর অন্যান্য স্থাবর সম্পদের কথা উল্লেখ করেছেন। স্ত্রীর নামে প্রায় ২ দশমিক ১৮ একর অকৃষি জমি, ১৫ দশমিক ১০ একর অন্যান্য জমি এবং নির্ভরশীলের নামে ২ দশমিক ৩৩ একর কৃষি ও ৩ দশমিক ৩৬ একর অন্যান্য জমি রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।
তবে তিনি, তার স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের নামে কোনো দায়দেনা নেই। তিনি একক, যৌথ নামে এবং তার নির্ভরশীল কেউ কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণ করেননি বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।
মনিরুল হক সাক্কুর আয় ও সম্পদ এবং দায় : কর বিবরণী অনুযায়ী মনিরুল হক সাক্কু বাড়ি ও দোকান ভাড়া থেকে ৪৫ হাজার ৬০০ টাকা ও ব্যাংকের এফডিআর থেকে ২ লাখ ৩৫ হাজার ৫৭৫ টাকা সুদ হিসেবে বছরে আয় করে থাকেন। নির্ভরশীলরা কোনো আয় করেন না। তার নিজ নামে প্রায় এক কোটি ১১ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭৫ টাকা ও স্ত্রীর নামে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৭৯৮ টাকা নগদে রয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজ নামে প্রায় ৭ হাজার ৭৬৫ টাকা ও স্ত্রীর নামে ১৭ লাখ ৭৪ হাজার ২৮২ টাকা জমা রয়েছে। নিজ নামে ২ লাখ টাকার বন্ড এবং ৩০ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৭ টাকার স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ও স্ত্রীর নামে ১৯ লাখ ১৫ হাজার ১২১ টাকা স্থায়ী বিনিয়োগ রয়েছে। তার নিজ নামে ২টি প্রাইভেটকার আছে। নিজ নামে ১০ তোলা স্বর্ণালঙ্কার, স্ত্রীর নামে একই পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার ও নিজ নামে ৪৭ হাজার টাকা সমমূল্যের ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও আসবাবপত্র রয়েছে বলে অস্থাবর সম্পদ তালিকায় দেখানো হয়েছে। স্থাবর সম্পদ তালিকায় যৌথ মালিকানাধীন ৬ একর কৃষি জমি (নিজ অংশ ১৭ ভাগের ২ ভাগ), ৩ কাঠার একটি ও ৫ কাঠার ৩টি প্লট, দশমিক শূন্য ১৬ একর, দশমিক ৪১৯৯ একর ও দশমিক শূন্য ৯২৩ একর অকৃষি জমি, স্ত্রীর নামে ৩ কাঠা প্লট, দশমিক শূন্য ৫ একর, দশমিক ১৩০২ একর ও দশমিক ২৩০০৪ একর অকৃষি জমি রয়েছে। এ ছাড়াও স্ত্রীর নামে ৩টি বাণিজ্যিক দোকান, ১৮২৬ বর্গফুটের অ্যাপার্টমেন্ট, নিজ নামে যৌথ মালিকানায় দশমিক শূন্য ৪ একর দালান, দশমিক ৩৬৫০ একর যৌথ মালিকানাধীন অ্যাপার্টমেন্ট (নিজ অংশ ১৭ ভাগের ২ ভাগ) ও নিজ নামে ৭ লাখ টাকার মূল্যের দোকানঘর পজেশন নেওয়া হয়েছে বলে স্থাবর সম্পদ তালিকায় দেখানো হয়েছে।
তার নামে গাড়ির ঋণ বাবদ ৫ লাখ ৮৩ হাজার ৯১৪ টাকা ও স্ত্রীর নামে ৪২ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যক্তিগত ঋণ রয়েছে। যা দায় হিসেবে দেখানো হয়েছে। একই সঙ্গে ১৪ লাখ টাকা ব্যাংক ঋণ পৃথকভাবে গাড়ির ঋণ হিসেবে নেওয়া হয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এয়ার আহমেদ সেলিমের আয় ও সম্পদ এবং দায় : জাপা প্রার্থী এয়ার আহমেদ সেলিম কৃষি খাত থেকে বছরে ১০ হাজার টাকা ও ব্যবসা থেকে ৩৫ লাখ ৯৩ হাজার ৪০৪ টাকা আয় করেন। কর বিবরণী অনুযায়ী নির্ভরশীলরা ব্যবসা থেকে ২ লাখ টাকা ও চাকরি থেকে ৩ লাখ টাকা বছরের আয় করেন। অস্থাবর সম্পদ তালিকায় তার কাছে ২ লাখ টাকা, স্ত্রীর কাছে ৭০ হাজার টাকা ও নির্ভরশীলের কাছে ৫০ হাজার নগদে রয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার নামে ৩ লাখ টাকা জমা রয়েছে। নিজ নামে একটি প্রাইভেটকার, ফ্রিজ, টিভি, এয়ারকন্ডিশনার, সোফা সেট, খাট, আলমারি ও ব্যবসার মূলধন হিসেবে ৩৪ লাখ টাকা রয়েছে। স্ত্রীর নামে ৩০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নির্ভরশীলের নামে ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার অস্থাবর সম্পদ তালিকা দেখানো হয়েছে। তার নিজ নামে ৮০ শতক কৃষি জমি, ১০ শতক অকৃষি জমি, তিনতলা একটি আবাসিক দালান ও স্ত্রীর নামে একটি নির্মাণাধীন একতলা দালান রয়েছে। তার নামে ব্যাংকে ৬০ লাখ টাকা ঋণ দায় হিসেবে হলফনামায় দেখানো হয়েছে।
নূর উর রহমান মাহমুদ তানিমের আয় ও সম্পদ এবং দায় : আয়কর বিবরণী অনুযায়ী তানিম হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তিনি বছরে ব্যবসা থেকে ২৮ লাখ টাকা আয় করেছেন। এ ছাড়া তিনি ও তার নির্ভরশীলদের কোনো আয় উল্লেখ করা হয়নি। অস্থাবর সম্পদ হিসেবে তার নিজ নামে, স্ত্রী ও নির্ভরশীলের নামে কোনো নগদ টাকা দেখানো হয়নি। তবে নিজ নামে একটি প্রাইভেটকার, টিভি, ফ্রিজ, খাট, সোফা, শোকেস রয়েছে। স্ত্রীর নামে ৫৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে। একইভাবে নিজ, স্ত্রী বা নির্ভরশীলের নামে কোনো জমি, বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট নেই। তবে দায় হিসেবে দুই ব্যাংকে ১৭ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে।
অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান মিঠুর আয় ও সম্পদ : হলফনামায় মিঠু উল্লেখ করেছেন শুধু ব্যবসা থেকে তিনি ৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৮০ টাকা এ বছর আয় করেছেন। এ ছাড়া তার আর আয়ের উৎস নেই। অস্থাবর সম্পদ তালিকায় নিজ নামে নগদ এক লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে ৫ হাজার টাকা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজ নামে ৬ লাখ টাকা জমা আছে। এ ছাড়া নিজ নামে ৯ তোলা স্বর্ণালঙ্কার, স্ত্রীর নামে ৩০ তোলা স্বর্ণালঙ্কার, নিজ নামে টিভি, ফ্রিজ, সোফা, ডাইনিং টেবিল সেট ও স্ত্রীর নামে এসি, আলমারি, সোফা, ওয়ার্ডরোব ইত্যাদি রয়েছে। স্থাবর সম্পদ তালিকায় যৌথ মালিকানায় ৯ গণ্ডা অকৃষি জমি (৯ ভাগের ২ ভাগ নিজের), একটি টিনশেড দালান (৯ ভাগের ২ ভাগ নিজের) ও স্ত্রীর নামে একটি ফ্ল্যাট থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মিঠুর নামে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোনো ঋণ বা দায় নেই।
নির্বাচনী খরচ : আফজল খান নির্বাচনে ১৫ লাখ টাকা ব্যয় করবেন। যার ১০ লাখ টাকা নিজ ব্যবসার আয় থেকে ও ৫ লাখ টাকা স্ত্রীর ব্যবসা ও পেশার আয় থেকে খরচ করবেন। মনিরম্নর হক সাক্কুও নির্বাচনে ১৫ লাখ টাকা খরচ করবেন। যার ১৩ লাখ টাকা নিজ ব্যবসার আয় থেকে ও আইনজীবী ভাইয়ের আয় থেকে বাকি ২ লাখ টাকা খরচ করবেন। এয়ার আহমেদ সেলিম নির্বাচনী ব্যয় ১৫ লাখ টাকা নিজ ব্যবসার আয় থেকে খরচ করবেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী দুই প্রার্থীর মধ্যে নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম নির্বাচনী ব্যয়ের ১৫ লাখ টাকা নিজ ব্যবসার আয় থেকে খরচ করবেন। আর অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান মিঠু নির্বাচনে ১১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয় করবেন। এর মধ্যে ৬০ হাজার টাকা নিজ ব্যবসার আয় হতে, বাকি ১১ লাখ টাকা প্রবাসী শ্বশুর, স্ত্রীর বড় ভাই ও ভায়রা থেকে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত দান হিসেবে নিয়ে খরচ করবেন।
No comments