ঐতিহ্য-জিঞ্জিরা প্রাসাদের দখল ঠেকানোর কেউ নেই! by নওশাদ জামিল
বুড়িগঙ্গার দক্ষিণ তীরে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে এক প্রাচীন প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ। এখন আর বোঝার উপায় নেই, এখানে একসময় ছিল সুরম্য প্রাসাদ। স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞেস করে, অনেক খোঁজাখুঁজির পর দেখা মেলে ওই প্রাসাদের। জিঞ্জিরা প্রাসাদ ও জিঞ্জিরার হাম্মামখানা হিসেবে পরিচিত এ স্থাপনা মোগল আমলের বেদনাবিধুর ইতিহাসের সাক্ষী। বাংলার শেষ নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার পরিবারের স্মৃতিঘেরা ঐতিহাসিক সেই জিঞ্জিরা
প্রাসাদ এখন বেদখলে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধিভুক্ত স্থাপনা হওয়া সত্ত্বেও কোনো সংস্কার বা অবৈধ দখলুমক্ত করা হয়নি ঐতিহাসিক এ স্থাপনা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অবহেলার কারণে ধীরে ধীরে মাটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে এ প্রত্ন-নিদর্শন।
এ বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. শফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'জিঞ্জিরা প্রাসাদের জায়াগা স্থানীয় প্রভাবশালীরা দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছে। আমরা কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েও দখল ঠেকাতে পারিনি।' তিনি আরো বলেন, 'আমরা স্থানীয় লোকদের সচেতনতা বাড়াতে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছি। তবে তাদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া পায়নি।'
মোগল আমলে ঢাকার দ্বিতীয় গভর্নর ইব্রাহীম খান তাঁর প্রমোদকেন্দ্র হিসেবে জিঞ্জিরা প্রাসাদ নির্মাণ করেন ১৬৮৯-১৬৯৭ সালে। নিরিবিলি পরিবেশে নির্মিত চারদিকে উঁচু প্রাচীরবেষ্টিত এ প্রাসাদে ছিল নাচঘর, গুপ্ত কক্ষ, বিশ্রাম কক্ষ, হাম্মামখানা প্রহরী কক্ষ এবং উঁচু একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। ইব্রাহীম খাঁর মৃত্যুর পর ঢাকার সুবেদার ও ফৌজদাররা অবকাশ যাপনের জন্য ব্যবহার করতেন এ প্রাসাদটি। পরে এটি মোগল ও ইংরেজ আমলে কয়েদখানা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রায় পৌনে ৪০০ বছরের পুরনো এ প্রাসাদটির কিছু অংশ এখন টিকে আছে পীর মোহাম্মদ বালিকা বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে এবং জিঞ্জিরা বাস রোডের দক্ষিণ পাশে হাউলী মহল্লায়।
ইতিহাসবিদরা জানান, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার পতনের পর তাঁর মা আমেনা বেগম, খালা ঘসেটি বেগম, স্ত্রী লুৎফুন্নেছা বেগম এবং মেয়ে কুদসিয়া ওরফে উম্মে জোহরাসহ ৭২ জনকে জিঞ্জিরা প্রাসাদেই বন্দি করে রাখা হয়েছিল। মীর জাফরের ছেলে মীরনের নির্দেশে ঘসেটি বেগম ও আমেনা বেগমকে এ প্রাসাদ থেকে তুলে নিয়ে নৌকায় করে ধলেশ্বরী নদীতে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়। কথিত আছে, নবাব পরিবারের সদস্যদের শিকল (জিঞ্জির) পরা অবস্থায় রাখা হয়েছিল। জিঞ্জিরা নামটি সেখান থেকেই পরিচিতি পায়।
ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, জিঞ্জিরা প্রাসাদের সঙ্গে অষ্টাদশ শতাব্দীর বাংলার ইতিহাসের এক বিষাদময় স্মৃতি জড়িত। তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে পুরাকীর্তি সংরক্ষণে কোনো সরকারই এগিয়ে আসেনি।
ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে এ প্রাসাদের সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে দেশের বাইরেও। বিশ্ববিখ্যাত অনেক ইতিহাসবিদ ছুটে আসেন প্রাচীনতম এ প্রাসাদের রহস্য উদ্ঘাটন করতে। কিন্তু এখন ওই জিঞ্জিরা প্রাসাদ শুধুই স্মৃতি। জিঞ্জিরা প্রাসাদ নেই, আছে একটি ছোট্ট কুঠুরি। অনেকে বলেন, গোলাকৃতির এ স্থানটি ছিল নৃত্যশালা, আবার কেউ বলেন, এটা ছিল ফাঁসির মঞ্চ। মোগল ও ইংরেজ আমলে এখানে বিদ্রোহীদের ফাঁসি দেওয়া হতো। বুড়িগঙ্গার পাড়ে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গড়ে ওঠা জিঞ্জিরা প্রাসাদের দখল ঠেকাতে পারেনি কোনো সরকার। প্রাসাদের জমিতে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় বহুতল ভবনসহ কয়েক শ স্থাপনা।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, জিঞ্জিরা প্রাসাদের বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। অবৈধ দখলদারদের আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে এটি। প্রাসাদটির মাঝের একটি কক্ষ ধ্বংস করে নির্মাণ করা হয়েছে রাস্তা। ধ্বংস হওয়া ভবনের ওপর নতুন করে ভবন তৈরি করে বসবাস করছে কেউ কেউ। সংস্কারের অভাবে শ্যাওলা, নোনা, বড় বড় পাকুড় ও বটগাছসহ ঝোপঝাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। প্রাসাদের বিভিন্ন কক্ষ ময়লা ফেলার ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করছে স্থানীয় লোকজন।
প্রাসাদে বসবাস করেন আনোয়ার হোসেন, মা আনোয়ারা খাতুন ও তাঁর স্ত্রী। আনোয়ারের বাবা চান মিয়া। ভবনে যাওয়ার পথটি অত্যন্ত সরু। ভবনে ঢোকার দরজার পাশে লোহার সিঁড়ি। এটি বেয়ে ছাদে উঠে দেখা যায় পরগাছায় ছেয়ে গেছে ভবনের ছাদ। এর মাঝ দিয়ে ছোট দুটি গম্বুজের মতো দেখা যায়। সুড়ঙ্গপথ দেখতে চাইলে ভূত-প্রেতের গল্প শোনালেন কয়েকজন ভাড়াটে এবং তাঁদের ছেলেমেয়েরা। সুড়ঙ্গপথে বড় বড় সাপ আছে বলে তাঁদের বিশ্বাস। তবে এগুলো কোনো ক্ষতি করে না বলে জানান তাঁরা। স্থানীয় কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, জিঞ্জিরা প্রাসাদে অনেক কক্ষ ছিল। এর মধ্যে সদর কক্ষ, বিশ্রাম কক্ষ, পানি সংরক্ষণ কক্ষ, কূপ কক্ষ, বিচারালয়সহ সাত-আটটি ভবন ছিল। এগুলোর মধ্যে তিনটি ছিল মূল ভবন ও একটি ছিল হাম্মাম। এসব ভবনের কয়েকটি ভেঙে দখলদাররা নতুন করে বাণিজ্যিক ভবন তুলেছে। স্থানীয় আবদুস সাত্তার মাস্টার, স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা লাজিজুর রহমান, কালাম, হাসান, হাজী ইউসুফ ও সামসু মিয়ার বিরুদ্ধে প্রাসাদের জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হকের তত্ত্বাবধানে ঢাকার ৩১টি প্রত্নস্থাপনার ওপর যে গবেষণা হয়েছে, তার মধ্যে জিঞ্জিরা প্রাসাদ ও জিঞ্জিরা হাম্মাম অন্যতম। দর্শনার্থীদের মধ্যে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বেশি। পর্যটক ও সাংবাদিকদের দেখামাত্র দখলদাররা গা-ঢাকা দেয়। সাংবাদিকদের সামনে পড়ে গেলে তারা পরিচয় গোপন করে।
বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম বলেন, জিঞ্জিরা প্রাসাদকে ঘিরে যে কিংবদন্তিই থাক, এটি মোগল ইতিহাসের একটি অমূল্য সম্পদ, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি বলেন, এ অমূল্য পুরাকীর্তির জমি দখল করে নিয়েছে স্থানীয় ব্যক্তিরা। আংশিক যে স্থাপনাটুকু রয়েছে তাও ক্রমেই ক্ষয়ে পড়ছে। জরুরি ভিত্তিতে জিঞ্জিরা প্রাসাদের জমি উদ্ধার ও ইতিহাসের গৌরবময় এই পুরাকীর্তিটি সংরক্ষণে সরকার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসতে হবে।
এ বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. শফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'জিঞ্জিরা প্রাসাদের জায়াগা স্থানীয় প্রভাবশালীরা দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছে। আমরা কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েও দখল ঠেকাতে পারিনি।' তিনি আরো বলেন, 'আমরা স্থানীয় লোকদের সচেতনতা বাড়াতে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছি। তবে তাদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া পায়নি।'
মোগল আমলে ঢাকার দ্বিতীয় গভর্নর ইব্রাহীম খান তাঁর প্রমোদকেন্দ্র হিসেবে জিঞ্জিরা প্রাসাদ নির্মাণ করেন ১৬৮৯-১৬৯৭ সালে। নিরিবিলি পরিবেশে নির্মিত চারদিকে উঁচু প্রাচীরবেষ্টিত এ প্রাসাদে ছিল নাচঘর, গুপ্ত কক্ষ, বিশ্রাম কক্ষ, হাম্মামখানা প্রহরী কক্ষ এবং উঁচু একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। ইব্রাহীম খাঁর মৃত্যুর পর ঢাকার সুবেদার ও ফৌজদাররা অবকাশ যাপনের জন্য ব্যবহার করতেন এ প্রাসাদটি। পরে এটি মোগল ও ইংরেজ আমলে কয়েদখানা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রায় পৌনে ৪০০ বছরের পুরনো এ প্রাসাদটির কিছু অংশ এখন টিকে আছে পীর মোহাম্মদ বালিকা বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে এবং জিঞ্জিরা বাস রোডের দক্ষিণ পাশে হাউলী মহল্লায়।
ইতিহাসবিদরা জানান, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার পতনের পর তাঁর মা আমেনা বেগম, খালা ঘসেটি বেগম, স্ত্রী লুৎফুন্নেছা বেগম এবং মেয়ে কুদসিয়া ওরফে উম্মে জোহরাসহ ৭২ জনকে জিঞ্জিরা প্রাসাদেই বন্দি করে রাখা হয়েছিল। মীর জাফরের ছেলে মীরনের নির্দেশে ঘসেটি বেগম ও আমেনা বেগমকে এ প্রাসাদ থেকে তুলে নিয়ে নৌকায় করে ধলেশ্বরী নদীতে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়। কথিত আছে, নবাব পরিবারের সদস্যদের শিকল (জিঞ্জির) পরা অবস্থায় রাখা হয়েছিল। জিঞ্জিরা নামটি সেখান থেকেই পরিচিতি পায়।
ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, জিঞ্জিরা প্রাসাদের সঙ্গে অষ্টাদশ শতাব্দীর বাংলার ইতিহাসের এক বিষাদময় স্মৃতি জড়িত। তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে পুরাকীর্তি সংরক্ষণে কোনো সরকারই এগিয়ে আসেনি।
ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে এ প্রাসাদের সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে দেশের বাইরেও। বিশ্ববিখ্যাত অনেক ইতিহাসবিদ ছুটে আসেন প্রাচীনতম এ প্রাসাদের রহস্য উদ্ঘাটন করতে। কিন্তু এখন ওই জিঞ্জিরা প্রাসাদ শুধুই স্মৃতি। জিঞ্জিরা প্রাসাদ নেই, আছে একটি ছোট্ট কুঠুরি। অনেকে বলেন, গোলাকৃতির এ স্থানটি ছিল নৃত্যশালা, আবার কেউ বলেন, এটা ছিল ফাঁসির মঞ্চ। মোগল ও ইংরেজ আমলে এখানে বিদ্রোহীদের ফাঁসি দেওয়া হতো। বুড়িগঙ্গার পাড়ে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গড়ে ওঠা জিঞ্জিরা প্রাসাদের দখল ঠেকাতে পারেনি কোনো সরকার। প্রাসাদের জমিতে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় বহুতল ভবনসহ কয়েক শ স্থাপনা।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, জিঞ্জিরা প্রাসাদের বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। অবৈধ দখলদারদের আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে এটি। প্রাসাদটির মাঝের একটি কক্ষ ধ্বংস করে নির্মাণ করা হয়েছে রাস্তা। ধ্বংস হওয়া ভবনের ওপর নতুন করে ভবন তৈরি করে বসবাস করছে কেউ কেউ। সংস্কারের অভাবে শ্যাওলা, নোনা, বড় বড় পাকুড় ও বটগাছসহ ঝোপঝাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। প্রাসাদের বিভিন্ন কক্ষ ময়লা ফেলার ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করছে স্থানীয় লোকজন।
প্রাসাদে বসবাস করেন আনোয়ার হোসেন, মা আনোয়ারা খাতুন ও তাঁর স্ত্রী। আনোয়ারের বাবা চান মিয়া। ভবনে যাওয়ার পথটি অত্যন্ত সরু। ভবনে ঢোকার দরজার পাশে লোহার সিঁড়ি। এটি বেয়ে ছাদে উঠে দেখা যায় পরগাছায় ছেয়ে গেছে ভবনের ছাদ। এর মাঝ দিয়ে ছোট দুটি গম্বুজের মতো দেখা যায়। সুড়ঙ্গপথ দেখতে চাইলে ভূত-প্রেতের গল্প শোনালেন কয়েকজন ভাড়াটে এবং তাঁদের ছেলেমেয়েরা। সুড়ঙ্গপথে বড় বড় সাপ আছে বলে তাঁদের বিশ্বাস। তবে এগুলো কোনো ক্ষতি করে না বলে জানান তাঁরা। স্থানীয় কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, জিঞ্জিরা প্রাসাদে অনেক কক্ষ ছিল। এর মধ্যে সদর কক্ষ, বিশ্রাম কক্ষ, পানি সংরক্ষণ কক্ষ, কূপ কক্ষ, বিচারালয়সহ সাত-আটটি ভবন ছিল। এগুলোর মধ্যে তিনটি ছিল মূল ভবন ও একটি ছিল হাম্মাম। এসব ভবনের কয়েকটি ভেঙে দখলদাররা নতুন করে বাণিজ্যিক ভবন তুলেছে। স্থানীয় আবদুস সাত্তার মাস্টার, স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা লাজিজুর রহমান, কালাম, হাসান, হাজী ইউসুফ ও সামসু মিয়ার বিরুদ্ধে প্রাসাদের জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হকের তত্ত্বাবধানে ঢাকার ৩১টি প্রত্নস্থাপনার ওপর যে গবেষণা হয়েছে, তার মধ্যে জিঞ্জিরা প্রাসাদ ও জিঞ্জিরা হাম্মাম অন্যতম। দর্শনার্থীদের মধ্যে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বেশি। পর্যটক ও সাংবাদিকদের দেখামাত্র দখলদাররা গা-ঢাকা দেয়। সাংবাদিকদের সামনে পড়ে গেলে তারা পরিচয় গোপন করে।
বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম বলেন, জিঞ্জিরা প্রাসাদকে ঘিরে যে কিংবদন্তিই থাক, এটি মোগল ইতিহাসের একটি অমূল্য সম্পদ, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি বলেন, এ অমূল্য পুরাকীর্তির জমি দখল করে নিয়েছে স্থানীয় ব্যক্তিরা। আংশিক যে স্থাপনাটুকু রয়েছে তাও ক্রমেই ক্ষয়ে পড়ছে। জরুরি ভিত্তিতে জিঞ্জিরা প্রাসাদের জমি উদ্ধার ও ইতিহাসের গৌরবময় এই পুরাকীর্তিটি সংরক্ষণে সরকার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসতে হবে।
No comments