অচলাবস্থার মুখে পড়তে পারে ডিসিসির নাগরিক সেবা
ঢাকা সিটি করপোরেশন বিভক্তি ইস্যুতে নাগরিক সেবা অচলাবস্থার মুখে পড়তে যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহে নগর ভবনে কোনো নাগরিকই দাপ্তরিক সেবা পাননি। কর্মকর্তা-কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ ৬ ডিসেম্বর থেকে রাজধানীতে নাগরিক সেবা বন্ধ করে সর্বাত্মক ধর্মঘটের প্রস্তুতি নিচ্ছে। অন্যদিকে শ্রমিক-কর্মচারী লীগের একাংশ নগর ভবনে বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে সমন্বয় পরিষদকে মিছিল না করার আহ্বান জানিয়েছে। এদিকে ঢাকা সিটি করপোরেশন বিভক্তির সিদ্ধান্ত
আত্মঘাতী বলে উল্লেখ করেছেন প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল পিডিপি এবং গণফোরাম। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতি নামে একটি সংগঠন ঢাকা বিভক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে।
গতকাল শনিবার কর্মকর্তা-কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন মিলন বলেন, ডিসিসির ৯৮ শতাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের সমর্থক। শ্রমিক-কর্মচারী লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী আমাদের সঙ্গে একমত। বহিরাগত ও পুলিশ না থাকলে ৯৮ শতাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনুভূতির বিরুদ্ধে যাওয়ার সাহস দেখাত না বিভক্তি মেনে নেওয়া গুটিকতক মানুষ। তিনি বলেন, ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেখব। প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসব। ডিসিসি পুনরেকত্রীকরণের দাবি মানা না হলে ৬ ডিসেম্বর থেকে রাজধানীতে সব ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধ করে ধর্মঘট চলবে। নগর ভবনে মিছিল-সমাবেশে বাধা দেওয়া হলেও ধর্মঘট চলবে রাজধানীজুড়ে। সূত্র জানায়, সর্বাত্মক ধর্মঘট শুরু হলে রাজধানীতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, সড়কে বাতি জ্বালানো প্রভৃতি জরুরি নাগরিক সেবামূলক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
অন্য একটি সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার সংঘর্ষের পর মামলার কারণে সমন্বয় পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নগর ভবনে বৈঠক করছেন না। তারা নগর ভবনের বাইরে প্রতিদিন বৈঠক করেন। আজ রোববারের মিছিল কর্মসূচিও হবে না।
অন্যদিকে শ্রমিক-কর্মচারী লীগের একাংশের নেতারা আজ রোববার থেকে নগর ভবনে আরও শক্ত অবস্থান নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। শ্রমিক-কর্মচারী লীগের এক নেতা জানান, নগর ভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারী সমন্বয় পরিষদকে মিছিল করতে দেওয়া হবে না। তিনি অবশ্য বলেন, ধর্মঘট শুরু হলে তা ঠেকানোর মতো শক্তি এককভাবে শ্রমিক-কর্মচারী লীগের নেই। এদিকে গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল পিডিপির চেয়ারম্যান ফেরদৌস আহমদ কোরেশী বলেছেন, সরকারি দলের দু'চার জন ছাড়া আর কেউ ডিসিসি ভাগের সিদ্ধান্তের পক্ষে নেই। আগামী ৭ ডিসেম্বর রাজধানীতে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে পিডিবি। অন্যদিকে গণফোরামের চতুর্থ কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের প্রস্তুতি সভায় ডিসিসি বিভক্তির সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সভায় বক্তারা বলেন, তড়িঘড়ি করে কয়েক মিনিটের মধ্যে বিল পাস করার মধ্য দিয়ে সরকার প্রমাণ করেছে আইনটি জনকল্যাণে হয়নি। ডিসিসি বিভক্তির প্রতিবাদে আগামী ৭ ডিসেম্বর প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
গতকাল শনিবার কর্মকর্তা-কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন মিলন বলেন, ডিসিসির ৯৮ শতাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের সমর্থক। শ্রমিক-কর্মচারী লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী আমাদের সঙ্গে একমত। বহিরাগত ও পুলিশ না থাকলে ৯৮ শতাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনুভূতির বিরুদ্ধে যাওয়ার সাহস দেখাত না বিভক্তি মেনে নেওয়া গুটিকতক মানুষ। তিনি বলেন, ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেখব। প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসব। ডিসিসি পুনরেকত্রীকরণের দাবি মানা না হলে ৬ ডিসেম্বর থেকে রাজধানীতে সব ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধ করে ধর্মঘট চলবে। নগর ভবনে মিছিল-সমাবেশে বাধা দেওয়া হলেও ধর্মঘট চলবে রাজধানীজুড়ে। সূত্র জানায়, সর্বাত্মক ধর্মঘট শুরু হলে রাজধানীতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, সড়কে বাতি জ্বালানো প্রভৃতি জরুরি নাগরিক সেবামূলক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
অন্য একটি সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার সংঘর্ষের পর মামলার কারণে সমন্বয় পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নগর ভবনে বৈঠক করছেন না। তারা নগর ভবনের বাইরে প্রতিদিন বৈঠক করেন। আজ রোববারের মিছিল কর্মসূচিও হবে না।
অন্যদিকে শ্রমিক-কর্মচারী লীগের একাংশের নেতারা আজ রোববার থেকে নগর ভবনে আরও শক্ত অবস্থান নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। শ্রমিক-কর্মচারী লীগের এক নেতা জানান, নগর ভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারী সমন্বয় পরিষদকে মিছিল করতে দেওয়া হবে না। তিনি অবশ্য বলেন, ধর্মঘট শুরু হলে তা ঠেকানোর মতো শক্তি এককভাবে শ্রমিক-কর্মচারী লীগের নেই। এদিকে গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল পিডিপির চেয়ারম্যান ফেরদৌস আহমদ কোরেশী বলেছেন, সরকারি দলের দু'চার জন ছাড়া আর কেউ ডিসিসি ভাগের সিদ্ধান্তের পক্ষে নেই। আগামী ৭ ডিসেম্বর রাজধানীতে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে পিডিবি। অন্যদিকে গণফোরামের চতুর্থ কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের প্রস্তুতি সভায় ডিসিসি বিভক্তির সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সভায় বক্তারা বলেন, তড়িঘড়ি করে কয়েক মিনিটের মধ্যে বিল পাস করার মধ্য দিয়ে সরকার প্রমাণ করেছে আইনটি জনকল্যাণে হয়নি। ডিসিসি বিভক্তির প্রতিবাদে আগামী ৭ ডিসেম্বর প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
No comments