তৃতীয় অর্থনৈতিক শুমারির প্রাক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে ফেব্রুয়ারিতে-প্রাথমিক প্রতিবেদন তিন মাসের মধ্যে by আরিফুর রহমান
আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে তৃতীয় অর্থনৈতিক শুমারির প্রাক কার্যক্রম। আর মূল শুমারি শুরু হবে ২০১৩ সালের মার্চে। কৃষি ছাড়া অর্থনীতির উদীয়মান সব কর্মকাণ্ড এ শুমারিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সারা দেশে শুমারি পরিচালনা করবে। শুমারি পরিচালনার জন্য দুই লাখ ২৫ হাজার গণনাকারী, ৩৪ হাজার সুপারভাইজর ও তিন হাজার ৭০০ জন জোনাল অফিসার নিয়োগ দেওয়া হবে।
শুমারি মনিটরিংয়ের জন্য থাকবে স্টিয়ারিং কমিটি। শুমারি শুরুর তিন মাসের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন দেওয়া হবে। আর দুই বছরের মধ্যে প্রকাশ করা হবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন। সব মিলিয়ে ২০১৬ সালে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে। বিবিএস সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
তৃতীয় অর্থনৈতিক শুমারির প্রকল্প পরিচালক আইনুল কবীর কালের কণ্ঠকে বলেন, 'অর্থনৈতিক শুমারির আওতায় কৃষি ছাড়া সব ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য সংগ্রহ করা হবে।' এতে ১০ বা ততোধিক লোক কর্মরত প্রতিষ্ঠানের তালিকা, কোন পেশায় কত লোক রয়েছে তার তালিকা তৈরি করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'লেখক, কবি, শিক্ষক, সাংবাদিক, শিল্পী, উকিল, ব্যারিস্টার, ডাক্তারের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে। এ ছাড়া হোটেল, ট্যুরিজম, আবাসন প্রতিষ্ঠানের সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করা হবে।' তাঁত শিল্পের সংখ্যা, এর সঙ্গে জড়িত লোকবল ও বিনিয়োগের পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতাল, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ও ম্যানুফ্যাকচারিং বিষয়ও অর্থনৈতিক শুমারিতে অন্তর্ভুক্ত হবে। শুমারি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য মাঠপর্যায়ে নিয়োগপ্রাপ্তদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। বিবিএস সূত্রে জানা গেছে, আদমশুমারির মতো প্রতি ১০ বছর পর অর্থনৈতিক শুমারি করা হয়। এর আগে ১৯৮৬ সালে প্রথমবার এবং ১৯৯১ সালে সর্বশেষ এ শুমারি হয়েছিল। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক শুমারিতে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পল্লী এলাকার শুধু প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। কিন্তু অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়নি। বাংলাদেশে গত কয়েক দশকে বিভিন্ন ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মকাণ্ড সৃষ্টি হয়েছে, যা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তৃতীয় অর্থনৈতিক শুমারির মাধ্যমে অর্থনৈতিক খাতগুলোর কাঠামোগত যে বিবর্তন ঘটেছে, তা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এতে কৃষি-বহির্ভূত সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ, তথ্যভাণ্ডার তৈরি ও তথ্য সংরক্ষণ করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ নভেম্বর অর্থনৈতিক শুমারি প্রকল্পের মূল্যায়ন সভা (পিইসি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ২৩৮ কোটি টাকা থেকে ১৫ কোটি টাকা কমিয়ে ২২০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক শুমারি প্রকল্পের ব্যয় উন্নয়ন সহযোগীর ঋণে জোগান দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিশনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, পরিসংখ্যান বিভাগ চলতি অর্থবছরে এ প্রকল্পের বিপরীতে ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে। কিন্তু মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর (এমটিবিএফ) আওতায় এ প্রকল্পে বরাদ্দ আছে মাত্র দুই কোটি টাকা। সরকারি কোষাগারে এ মুহূর্তে অর্থসংকট থাকায় প্রকল্পটি উন্নয়ন সহযোগীর ঋণে বাস্তবায়ন করতে পরিসংখ্যান বিভাগকে সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু উন্নয়ন সহযোগীর ঋণ পাওয়া নিশ্চিত করতে না পারলে সরকারি অর্থায়নেই প্রকল্পের কাজ শুরু করতে হবে বলে তিনি জানান। এ ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত ডিপিপিতে বছরভিত্তিক বরাদ্দ পুনর্নির্ধারণ করতে পরিসংখ্যান বিভাগকে সুপারিশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, 'বিশ্বে এ মুহূর্তে অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছে। তাই এ প্রকল্পে উন্নয়ন সহযোগীর ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তবুও বৈদেশিক ঋণ পেতে পরিসংখ্যান বিভাগকে কিছু সময় দেওয়া হয়েছে।' উন্নয়ন সহযোগীর ঋণ নিশ্চিত করতে না পারলেও আগামী মাসেই প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উত্থাপন করা হবে এবং পরিসংখ্যান বিভাগ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারবে বলে তিনি জানান।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিসংখ্যান বিভাগের সচিব রীতি ইব্রাহীম বলেন, 'তৃতীয় অর্থনৈতিক শুমারি বাস্তবায়নে বৈদেশিক ঋণ পেতে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে এখনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি।' শেষ পর্যন্ত আশ্বাস না পেলে সরকারি অর্থায়নে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করতে হবে বলে তিনি জানান।
তৃতীয় অর্থনৈতিক শুমারির প্রকল্প পরিচালক আইনুল কবীর কালের কণ্ঠকে বলেন, 'অর্থনৈতিক শুমারির আওতায় কৃষি ছাড়া সব ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য সংগ্রহ করা হবে।' এতে ১০ বা ততোধিক লোক কর্মরত প্রতিষ্ঠানের তালিকা, কোন পেশায় কত লোক রয়েছে তার তালিকা তৈরি করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'লেখক, কবি, শিক্ষক, সাংবাদিক, শিল্পী, উকিল, ব্যারিস্টার, ডাক্তারের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে। এ ছাড়া হোটেল, ট্যুরিজম, আবাসন প্রতিষ্ঠানের সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করা হবে।' তাঁত শিল্পের সংখ্যা, এর সঙ্গে জড়িত লোকবল ও বিনিয়োগের পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতাল, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ও ম্যানুফ্যাকচারিং বিষয়ও অর্থনৈতিক শুমারিতে অন্তর্ভুক্ত হবে। শুমারি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য মাঠপর্যায়ে নিয়োগপ্রাপ্তদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। বিবিএস সূত্রে জানা গেছে, আদমশুমারির মতো প্রতি ১০ বছর পর অর্থনৈতিক শুমারি করা হয়। এর আগে ১৯৮৬ সালে প্রথমবার এবং ১৯৯১ সালে সর্বশেষ এ শুমারি হয়েছিল। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক শুমারিতে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পল্লী এলাকার শুধু প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। কিন্তু অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়নি। বাংলাদেশে গত কয়েক দশকে বিভিন্ন ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মকাণ্ড সৃষ্টি হয়েছে, যা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তৃতীয় অর্থনৈতিক শুমারির মাধ্যমে অর্থনৈতিক খাতগুলোর কাঠামোগত যে বিবর্তন ঘটেছে, তা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এতে কৃষি-বহির্ভূত সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ, তথ্যভাণ্ডার তৈরি ও তথ্য সংরক্ষণ করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ নভেম্বর অর্থনৈতিক শুমারি প্রকল্পের মূল্যায়ন সভা (পিইসি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ২৩৮ কোটি টাকা থেকে ১৫ কোটি টাকা কমিয়ে ২২০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক শুমারি প্রকল্পের ব্যয় উন্নয়ন সহযোগীর ঋণে জোগান দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিশনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, পরিসংখ্যান বিভাগ চলতি অর্থবছরে এ প্রকল্পের বিপরীতে ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে। কিন্তু মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর (এমটিবিএফ) আওতায় এ প্রকল্পে বরাদ্দ আছে মাত্র দুই কোটি টাকা। সরকারি কোষাগারে এ মুহূর্তে অর্থসংকট থাকায় প্রকল্পটি উন্নয়ন সহযোগীর ঋণে বাস্তবায়ন করতে পরিসংখ্যান বিভাগকে সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু উন্নয়ন সহযোগীর ঋণ পাওয়া নিশ্চিত করতে না পারলে সরকারি অর্থায়নেই প্রকল্পের কাজ শুরু করতে হবে বলে তিনি জানান। এ ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত ডিপিপিতে বছরভিত্তিক বরাদ্দ পুনর্নির্ধারণ করতে পরিসংখ্যান বিভাগকে সুপারিশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, 'বিশ্বে এ মুহূর্তে অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছে। তাই এ প্রকল্পে উন্নয়ন সহযোগীর ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তবুও বৈদেশিক ঋণ পেতে পরিসংখ্যান বিভাগকে কিছু সময় দেওয়া হয়েছে।' উন্নয়ন সহযোগীর ঋণ নিশ্চিত করতে না পারলেও আগামী মাসেই প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উত্থাপন করা হবে এবং পরিসংখ্যান বিভাগ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারবে বলে তিনি জানান।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিসংখ্যান বিভাগের সচিব রীতি ইব্রাহীম বলেন, 'তৃতীয় অর্থনৈতিক শুমারি বাস্তবায়নে বৈদেশিক ঋণ পেতে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে এখনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি।' শেষ পর্যন্ত আশ্বাস না পেলে সরকারি অর্থায়নে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করতে হবে বলে তিনি জানান।
No comments