৬১তম বন্দর দিবসে খুসিক মেয়র-সরকারের উন্নয়ন পদক্ষেপে ঘুরে দাঁড়িয়েছে মংলা বন্দর by সুনীল দাস,
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মংলাকে গতিশীল ও আধুনিকায়নে বর্তমান সরকার নানামুখী উদ্যোগ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এতে বন্দরটি ইমেজ সংকট আর লোকসান কাটিয়ে সম্ভাবনার পথে ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এ বন্দরের সম্ভাবনা নিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের মধ্যে নতুন আশা জেগেছে। টানা আট বছরের ধারাবাহিক লোকসানের দুর্নাম ঘুচিয়ে গত অর্থবছরে মংলা বন্দর ৯ কোটি ৯২ লাখ ৯২ হাজার টাকা লাভ করেছে।
একই সঙ্গে বন্দরে দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ আমদানি-রপ্তানি বেড়েছে। বন্দর উন্নয়নে গৃহীত সব পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে রাজস্ব আয় আরো কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। উন্মোচিত হবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দ্বার। গত বৃহস্পতিবার ৬১তম মংলা বন্দর দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খুলনার মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক এসব কথা বলেন।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে মংলা বন্দরের চেয়ারম্যান কমডোর এম আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন মহিলা সংসদ সদস্য নূর আফরোজ আলী, বিএনএস তিতুমীরের কমডোর কমান্ডিং খন্দকার তৌফিকুজ্জামান (সি), খুলনা শিপইয়ার্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কমডোর আর ইউ আহমেদ, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) কামরুল হক, সদস্য (অর্থ) মো. আবদুল মান্নান প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে সিটি মেয়র কেক কেটে এ দিবসের উদ্বোধন করেন।
আলোচনায় বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শুরু থেকে নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত মংলা বন্দর আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকারের রাজস্ব আয়ে ব্যাপক অবদান রাখে। পরে নানা সংকটের আবর্তে বাণিজ্যিকভাবে এ বন্দর তার জৌলুস হারাতে থাকে। নব্বইয়ের দশক থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত আয়-ব্যয়ের ক্ষেত্রে এ বন্দর স্থিতিশীল ছিল। এর পর ২০০১-০২ সাল থেকেই অর্থনৈতিক অবস্থায় টানাপড়েন শুরু হয়। বন্দরে জাহাজ আগমন কমে যাওয়াসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, ওভারটাইম, জ্বালানি-বিদ্যুৎ খরচ, অন্যান্য ভাতা ও অপ্রয়োজনীয় খরচের কারণে মংলা বন্দর ধারাবাহিক লোকসানের মুখে পড়ে। বিগত বছরগুলোয় বন্দরটির আশঙ্কাজনকভাবে আয় কমে যাওয়ার নেপথ্যের কারণ হিসেবে সূত্রটি বলছে, জাহাজ আগমন ও মালামাল উঠানো-নামানোর পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণেই বন্দরের এ বেহাল দশা অব্যাহত ছিল। মংলা বন্দরের বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধার মধ্যে রয়েছে_একসঙ্গে ৩৩টি জাহাজ খালাস ও বোঝাই, সমুদ্রগামী জাহাজ বন্দরে নিরাপদে আগমন-নির্গমন এবং বার্থিং কাজে সহযোগিতা দেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের ৩৫টি জলযান। বছরে ৬৫ লাখ টন মালামাল এই বন্দরের মাধ্যমে ওঠা-নামা সম্ভব। বন্দরে চারটি ট্রানজিট শেড, দুটি ওয়্যারহাউসের মাধ্যমে একই সঙ্গে প্রায় ৬০ হাজার টন মালামাল গুদামজাত করা যায়। বিদ্যমান সুবিধার মাধ্যমে বছরে প্রায় ৫০ হাজার টিইইউএস কনটেইনার ওঠা-নামা করানো যায়। বন্দরে আধুনিক সুবিধাসহ একসঙ্গে ৪১টি জাহাজ বার্থিং সুবিধা রয়েছে।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে মংলা বন্দরের চেয়ারম্যান কমডোর এম আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন মহিলা সংসদ সদস্য নূর আফরোজ আলী, বিএনএস তিতুমীরের কমডোর কমান্ডিং খন্দকার তৌফিকুজ্জামান (সি), খুলনা শিপইয়ার্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কমডোর আর ইউ আহমেদ, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) কামরুল হক, সদস্য (অর্থ) মো. আবদুল মান্নান প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে সিটি মেয়র কেক কেটে এ দিবসের উদ্বোধন করেন।
আলোচনায় বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শুরু থেকে নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত মংলা বন্দর আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকারের রাজস্ব আয়ে ব্যাপক অবদান রাখে। পরে নানা সংকটের আবর্তে বাণিজ্যিকভাবে এ বন্দর তার জৌলুস হারাতে থাকে। নব্বইয়ের দশক থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত আয়-ব্যয়ের ক্ষেত্রে এ বন্দর স্থিতিশীল ছিল। এর পর ২০০১-০২ সাল থেকেই অর্থনৈতিক অবস্থায় টানাপড়েন শুরু হয়। বন্দরে জাহাজ আগমন কমে যাওয়াসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, ওভারটাইম, জ্বালানি-বিদ্যুৎ খরচ, অন্যান্য ভাতা ও অপ্রয়োজনীয় খরচের কারণে মংলা বন্দর ধারাবাহিক লোকসানের মুখে পড়ে। বিগত বছরগুলোয় বন্দরটির আশঙ্কাজনকভাবে আয় কমে যাওয়ার নেপথ্যের কারণ হিসেবে সূত্রটি বলছে, জাহাজ আগমন ও মালামাল উঠানো-নামানোর পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণেই বন্দরের এ বেহাল দশা অব্যাহত ছিল। মংলা বন্দরের বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধার মধ্যে রয়েছে_একসঙ্গে ৩৩টি জাহাজ খালাস ও বোঝাই, সমুদ্রগামী জাহাজ বন্দরে নিরাপদে আগমন-নির্গমন এবং বার্থিং কাজে সহযোগিতা দেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের ৩৫টি জলযান। বছরে ৬৫ লাখ টন মালামাল এই বন্দরের মাধ্যমে ওঠা-নামা সম্ভব। বন্দরে চারটি ট্রানজিট শেড, দুটি ওয়্যারহাউসের মাধ্যমে একই সঙ্গে প্রায় ৬০ হাজার টন মালামাল গুদামজাত করা যায়। বিদ্যমান সুবিধার মাধ্যমে বছরে প্রায় ৫০ হাজার টিইইউএস কনটেইনার ওঠা-নামা করানো যায়। বন্দরে আধুনিক সুবিধাসহ একসঙ্গে ৪১টি জাহাজ বার্থিং সুবিধা রয়েছে।
No comments