পবিত্র কোরআনের আলো-বনি ইসরাইলের লোকেরা মুসা (আ.) ও হারুন (আ.)কে অমান্য করে 'শিরক'-এ লিপ্ত হয়েছিল
১৪৯. ওয়া লাম্মা ছুকি্বত্বা ফী আইদীহিম ওয়া রাআও আন্নাহুম ক্বাদ দ্বাল্লূ ক্বা-লূ লায়িন লাম ইয়ার্হামনা রাব্বুনা ওয়া ইয়াগ্ফির্লানা লানাকূনান্না মিনাল খা-ছিরীন।১৫০. ওয়া লাম্মা রাজাআ' মূছা ইলা ক্বাওমিহী গাদ্ববা-না আছিফান ক্বা-লা বি'ছামা খালাফ্তুমূনী মিম্ বা'দী; আআ'জিলতুম আমরা রাবি্বকুম; ওয়া আলক্বাল আলওয়া-হা ওয়া আখাযা বিরা'ছি আখীহি ইয়াজুর্রুহূ ইলাইহি্; ক্বা-লাব্না উম্মা ইন্নাল ক্বাওমাছ্ তাদ্বআ'ফূনী ওয়া কা-দূ ইয়াক্বতুলূনানী ফালা তুশ্মিত
বিইয়াল আ'দাআ ওয়া লা তাজআ'লনী মাআ'ল ক্বাওমিয্ যা-লিমীন।১৫১. ক্বা-লা রাবি্বগ্ফির লী ওয়া লিআখী ওয়া আদ্খিলনা ফী রাহ্মাতিকা ওয়া আনতা আরহামুর্ রা-হিমীন।
[সুরা : আল-আ'রাফ, আয়াত : ১৪৯-১৫১]
অনুবাদ
১৪৯. তারা যখন নিজ কৃতকর্মের কারণে অনুতপ্ত হলো এবং উপলব্ধি করল যে তারা বিপথগামী হয়ে গেছে, তখন তারা বলল, আল্লাহ যদি আমাদের প্রতি দয়া না করেন এবং আমাদের ক্ষমা না করেন তাহলে নিশ্চয়ই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাব।
১৫০. মুসা যখন ক্রোধ ও দুঃখভরে নিজ সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে এলেন, তখন তিনি বললেন, আমার অনুপস্থিতিতে তোমরা কত জঘন্য কাজই না করেছ! তোমরা এতটাই তাড়াহুড়া করলে যে তোমাদের প্রভুর আদেশ এসে পেঁৗছারও অপেক্ষা করলে না। এই বলে তিনি ফলকগুলো ফেলে দিলেন এবং তাঁর ভাই হারুনের মাথা ধরে নিজের দিকে টেনে নিলেন। তখন হারুন মুসাকে উদ্দেশ করে বললেন, হে আমার মায়ের পুত্র, তুমি বিশ্বাস করো, ওরা আমাকে দুর্বল ভেবেছিল এবং আমাকে প্রায় হত্যা করেই ফেলেছিল। তুমি আজ আমার সঙ্গে এমন কোনো আচরণ করো না, যা শত্রুদের কাছে আমাদের হাস্যকর করে তুলবে। আর তুমি আমাকে কখনো জালেম সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করো না।
১৫১. মুসা বললেন, হে আমার প্রভু, আমাকে ও আমার ভাইকে তুমি মাফ করে দাও এবং আমাদেরকে তোমার রহমতের মধ্যে দাখিল করে নাও। তুমিই তো সর্বোচ্চ দয়ার আধার।
ব্যাখ্যা
১৪৯ নম্বর আয়াতে বনি ইসরাইল সম্প্রদায়ের যেসব লোক তাদের পাপকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়েছিল এবং সত্যোপলব্ধি করতে পেরেছিল, তাদের কথা বলা হয়েছে। তারা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিল। ১৫০ নম্বর আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে, মুসা (আ.) যখন তুর পাহাড়ের চিল্লা থেকে ফিরে এসে তাঁর সম্প্রদায়ের বিপথগামিতা ও পাপাচার দেখলেন, তখন তিনি যে কষ্ট পেয়েছিলেন সে কথা। এখানে যে ফলকের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো তাওরাত কিতাবের ফলক, যা তিনি তুর পাহাড় থেকে নিয়ে এসেছিলেন। এখানে ফলকগুলো ফেলে দেওয়া শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। এই ফেলে দেওয়ার অর্থ প্রকৃত ফেলে দেওয়া নয়। মেজাজ খারাপ থাকা অবস্থায় জিনিসগুলো রাখার সময় এমন সশব্দে রেখেছিলেন যে আপাতদৃষ্টিতে দর্শকের মনে এমন সন্দেহ হতে পারে যে তিনি সেগুলো আছড়ে ফেলেছিলেন। হজরত মুসা (আ.) একজন নবী। তিনি আসমানি কিতাবের ফলক ছুড়ে ফেলে দিতে পারেন না। এই ফেলে দেওয়ার অর্থ তাওরাতকে কোনো প্রকার অসম্মান করা নয়। এই আয়াতের পরবর্তী অংশে আছে মুসা (আ.) তাঁর সহোদর ভাই হারুন (আ.)-এর কেশগুচ্ছ ধরে রাগতস্বরে এই প্রশ্ন করছিলেন যে তুমি আমার অনুপস্থিতিতে শৃঙ্খলা ও সুশাসন কেন বহাল রাখোনি? জবাবে হারুন (আ.) যা বলেছিলেন এর মর্মার্থ হলো, তিনি এদের অন্যায় অপকর্ম থেকে বিরত রাখার সব চেষ্টাই করেছেন, কিন্তু তিনি সফল হননি। তারা তাঁকে মেরে ফেলারই চেষ্টা করেছিল। তিনি মুসাকে এ কথা বোঝাতে চেষ্টা করেছিলেন যে মেজাজ খারাপ করে তিনি যদি কওমের অবাধ্যদের মতো তাঁর প্রতিও খারাপ ব্যবহার করেন, তাহলে পাপাচারী শত্রুরাই বরং প্রশ্রয় পাবে। পরবর্তী আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে, মুসা (আ.) নিজের জন্য ও তাঁর ভাই হারুনের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
[সুরা : আল-আ'রাফ, আয়াত : ১৪৯-১৫১]
অনুবাদ
১৪৯. তারা যখন নিজ কৃতকর্মের কারণে অনুতপ্ত হলো এবং উপলব্ধি করল যে তারা বিপথগামী হয়ে গেছে, তখন তারা বলল, আল্লাহ যদি আমাদের প্রতি দয়া না করেন এবং আমাদের ক্ষমা না করেন তাহলে নিশ্চয়ই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাব।
১৫০. মুসা যখন ক্রোধ ও দুঃখভরে নিজ সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে এলেন, তখন তিনি বললেন, আমার অনুপস্থিতিতে তোমরা কত জঘন্য কাজই না করেছ! তোমরা এতটাই তাড়াহুড়া করলে যে তোমাদের প্রভুর আদেশ এসে পেঁৗছারও অপেক্ষা করলে না। এই বলে তিনি ফলকগুলো ফেলে দিলেন এবং তাঁর ভাই হারুনের মাথা ধরে নিজের দিকে টেনে নিলেন। তখন হারুন মুসাকে উদ্দেশ করে বললেন, হে আমার মায়ের পুত্র, তুমি বিশ্বাস করো, ওরা আমাকে দুর্বল ভেবেছিল এবং আমাকে প্রায় হত্যা করেই ফেলেছিল। তুমি আজ আমার সঙ্গে এমন কোনো আচরণ করো না, যা শত্রুদের কাছে আমাদের হাস্যকর করে তুলবে। আর তুমি আমাকে কখনো জালেম সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করো না।
১৫১. মুসা বললেন, হে আমার প্রভু, আমাকে ও আমার ভাইকে তুমি মাফ করে দাও এবং আমাদেরকে তোমার রহমতের মধ্যে দাখিল করে নাও। তুমিই তো সর্বোচ্চ দয়ার আধার।
ব্যাখ্যা
১৪৯ নম্বর আয়াতে বনি ইসরাইল সম্প্রদায়ের যেসব লোক তাদের পাপকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়েছিল এবং সত্যোপলব্ধি করতে পেরেছিল, তাদের কথা বলা হয়েছে। তারা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিল। ১৫০ নম্বর আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে, মুসা (আ.) যখন তুর পাহাড়ের চিল্লা থেকে ফিরে এসে তাঁর সম্প্রদায়ের বিপথগামিতা ও পাপাচার দেখলেন, তখন তিনি যে কষ্ট পেয়েছিলেন সে কথা। এখানে যে ফলকের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো তাওরাত কিতাবের ফলক, যা তিনি তুর পাহাড় থেকে নিয়ে এসেছিলেন। এখানে ফলকগুলো ফেলে দেওয়া শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। এই ফেলে দেওয়ার অর্থ প্রকৃত ফেলে দেওয়া নয়। মেজাজ খারাপ থাকা অবস্থায় জিনিসগুলো রাখার সময় এমন সশব্দে রেখেছিলেন যে আপাতদৃষ্টিতে দর্শকের মনে এমন সন্দেহ হতে পারে যে তিনি সেগুলো আছড়ে ফেলেছিলেন। হজরত মুসা (আ.) একজন নবী। তিনি আসমানি কিতাবের ফলক ছুড়ে ফেলে দিতে পারেন না। এই ফেলে দেওয়ার অর্থ তাওরাতকে কোনো প্রকার অসম্মান করা নয়। এই আয়াতের পরবর্তী অংশে আছে মুসা (আ.) তাঁর সহোদর ভাই হারুন (আ.)-এর কেশগুচ্ছ ধরে রাগতস্বরে এই প্রশ্ন করছিলেন যে তুমি আমার অনুপস্থিতিতে শৃঙ্খলা ও সুশাসন কেন বহাল রাখোনি? জবাবে হারুন (আ.) যা বলেছিলেন এর মর্মার্থ হলো, তিনি এদের অন্যায় অপকর্ম থেকে বিরত রাখার সব চেষ্টাই করেছেন, কিন্তু তিনি সফল হননি। তারা তাঁকে মেরে ফেলারই চেষ্টা করেছিল। তিনি মুসাকে এ কথা বোঝাতে চেষ্টা করেছিলেন যে মেজাজ খারাপ করে তিনি যদি কওমের অবাধ্যদের মতো তাঁর প্রতিও খারাপ ব্যবহার করেন, তাহলে পাপাচারী শত্রুরাই বরং প্রশ্রয় পাবে। পরবর্তী আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে, মুসা (আ.) নিজের জন্য ও তাঁর ভাই হারুনের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments