'ডিসিসি ভাঙলে তো ফাটল দেখা যেত'
ক্ষমতায় থেকে দুর্নীতি ও লুটপাট করার সুযোগ না পাওয়ার মনোবেদনায় বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া দেশের অর্থনীতিতে দেউলিয়াপনা দেখছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খালেদা জিয়া নিজের দেউলিয়াপনা ও ব্যক্তিগত দুঃখ-কষ্টের দায়ভার দেশের ওপর দিয়ে চালিয়ে দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের সূচনা
বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি তাঁর বক্তব্যে ঢাকা সিটি করপোরেশন ভাগ নিয়ে সমালোচনা এবং সংবাদ সম্মেলনে বিরোধীদলীয় নেতার তোলা বিভিন্ন অভিযোগের জবাব দেন।
ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগ করা নিয়ে সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'কোথায় ঢাকা ভাঙা হলো? ভাঙলে তো ফাটল দেখা যেত। সরকার ঢাকা ভাঙা হয়নি, প্রশাসনিকভাবে ঢাকাকে ভাগ করা হয়েছে।' সরকারের কাজ মানুষের কাছে সেবা পেঁৗছে দেওয়া মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, 'সব নাগরিকের কাছে নাগরিক সেবা পেঁৗছে দিতে ঢাকাকে ভাগ করা হয়েছে। ঢাকা সিটি করপোরশনকে দুই ভাগে বিভক্ত করে প্রশাসনিক কাজের সম্প্রসারণ করেছি মাত্র।'
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে যুদ্ধাপরাধী ও একাত্তরের ঘাতকদের রক্ষায় মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তাঁর আন্দোলন-হরতাল সবই যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায়। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলেই বিরোধীদলীয় নেত্রী অশান্তিতে ভুগছেন। দেশের মানুষ শান্তিতে থাকলে, ভালো থাকলে খালেদা জিয়া অশান্তিতে ভোগেন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, 'দেশের মানুষ কষ্টে থাকলে উনার (খালেদা) মন ভালো থাকে।'
'দেশের অর্থনীতি দেউলিয়া'_সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার এ বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে ক্ষমতাসীন দলের সভাপতি বলেন, 'অর্থনীতিসহ সবদিক থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে রেকর্ড পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে, রেমিট্যান্স বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি এসেছে, দেশে যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য মজুদ রয়েছে। বিশ্বমন্দার মধ্যেও দেশের অর্থনীতি সচল ও শক্তিশালী রয়েছে এবং প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭ ভাগ অর্জিত হয়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২২ মার্কিন ডলারে। তবে দেশের অর্থনীতি দেউলিয়া হয় কীভাবে?'
ডিসিসি ভাগ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, 'ঢাকা মহানগরীর এখন ৯০টি ওয়ার্ড ও ১৭টি ইউনিয়ন মিলিয়ে মোট ১০৭ ভাগে বিভক্ত রয়েছে। তবে ঢাকা ভেঙে খান খান হয়েছে? ঢাকা মহানগরীর আসন ভেঙে যদি ১৫টি করা যায়, তবে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগে ভাগ করা যাবে না কেন?'
অর্থ থাকলে ডিসিসিকে চারভাগে উন্নীত করার কথা পুনর্বার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, রাজধানীতে জনসংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে, আয়তনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন একটি মাত্র জায়গা থেকে বিশাল এ আয়তনের নগরীর নাগরিক সেবা প্রদান কোনোভাবেই সম্ভব নয়। বিশ্বের বিভিন্ন শহরে একাধিক সিটি মেয়র থাকার উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রকৃত ঢাকা যেভাবে ছিল তা অটুট রয়েছে। অর্থাৎ প্রকৃত ঢাকাকে দক্ষিণ এবং বর্ধিতাংশকে উত্তর অংশে বিভক্ত করা হয়েছে।
সিটি করপোরেশনের মানুষ নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, টাকা থাকলে ঢাকাকে চার ভাগ করে দিতাম, তাহলে মানুষ আরো বেশি নাগরিক সুবিধা পেত। 'এটা নিয়ে কিছু মানুষ ব্যাকুল হয়ে যাচ্ছে' মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাঁরা ব্যাকুল হচ্ছেন, তাঁরা কি চান না, মানুষ নাগরিক সুবিধা পাক?
ভারতের টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'বাংলাদেশের ক্ষতি হোক এমন কোনো কাজ কাউকে করতে দেব না।' টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ নিয়ে দিলি্লর সঙ্গে প্রতিনিয়ত সরকার যোগাযোগ করছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমার দুই জন উপদেষ্টা ভারতে গিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা দেশে ফিরে এসে রিপোর্ট দিলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।' টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে সরকারে থাকাবস্থায় খালেদা জিয়া কোনো কথা বলেননি কেন_এমন প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, 'আমরা গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করেছি। স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের ভৌগোলিক সীমারেখা জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়া নিষ্পত্তি করতে পারেনি। আমরা এবার ক্ষমতায় এসেই দেশের ভৌগোলিক সীমারেখা চূড়ান্ত করেছি।' তিনি বলেন, 'কার কত দেশপ্রেম আছে তা দেশের মানুষ জানে। যিনি (খালেদা জিয়া) এতিমের টাকা মেরে খান তিনি দেশকে কী দেবেন?'
ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগ করা নিয়ে সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'কোথায় ঢাকা ভাঙা হলো? ভাঙলে তো ফাটল দেখা যেত। সরকার ঢাকা ভাঙা হয়নি, প্রশাসনিকভাবে ঢাকাকে ভাগ করা হয়েছে।' সরকারের কাজ মানুষের কাছে সেবা পেঁৗছে দেওয়া মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, 'সব নাগরিকের কাছে নাগরিক সেবা পেঁৗছে দিতে ঢাকাকে ভাগ করা হয়েছে। ঢাকা সিটি করপোরশনকে দুই ভাগে বিভক্ত করে প্রশাসনিক কাজের সম্প্রসারণ করেছি মাত্র।'
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে যুদ্ধাপরাধী ও একাত্তরের ঘাতকদের রক্ষায় মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তাঁর আন্দোলন-হরতাল সবই যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায়। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলেই বিরোধীদলীয় নেত্রী অশান্তিতে ভুগছেন। দেশের মানুষ শান্তিতে থাকলে, ভালো থাকলে খালেদা জিয়া অশান্তিতে ভোগেন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, 'দেশের মানুষ কষ্টে থাকলে উনার (খালেদা) মন ভালো থাকে।'
'দেশের অর্থনীতি দেউলিয়া'_সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার এ বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে ক্ষমতাসীন দলের সভাপতি বলেন, 'অর্থনীতিসহ সবদিক থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে রেকর্ড পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে, রেমিট্যান্স বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি এসেছে, দেশে যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য মজুদ রয়েছে। বিশ্বমন্দার মধ্যেও দেশের অর্থনীতি সচল ও শক্তিশালী রয়েছে এবং প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭ ভাগ অর্জিত হয়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২২ মার্কিন ডলারে। তবে দেশের অর্থনীতি দেউলিয়া হয় কীভাবে?'
ডিসিসি ভাগ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, 'ঢাকা মহানগরীর এখন ৯০টি ওয়ার্ড ও ১৭টি ইউনিয়ন মিলিয়ে মোট ১০৭ ভাগে বিভক্ত রয়েছে। তবে ঢাকা ভেঙে খান খান হয়েছে? ঢাকা মহানগরীর আসন ভেঙে যদি ১৫টি করা যায়, তবে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগে ভাগ করা যাবে না কেন?'
অর্থ থাকলে ডিসিসিকে চারভাগে উন্নীত করার কথা পুনর্বার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, রাজধানীতে জনসংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে, আয়তনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন একটি মাত্র জায়গা থেকে বিশাল এ আয়তনের নগরীর নাগরিক সেবা প্রদান কোনোভাবেই সম্ভব নয়। বিশ্বের বিভিন্ন শহরে একাধিক সিটি মেয়র থাকার উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রকৃত ঢাকা যেভাবে ছিল তা অটুট রয়েছে। অর্থাৎ প্রকৃত ঢাকাকে দক্ষিণ এবং বর্ধিতাংশকে উত্তর অংশে বিভক্ত করা হয়েছে।
সিটি করপোরেশনের মানুষ নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, টাকা থাকলে ঢাকাকে চার ভাগ করে দিতাম, তাহলে মানুষ আরো বেশি নাগরিক সুবিধা পেত। 'এটা নিয়ে কিছু মানুষ ব্যাকুল হয়ে যাচ্ছে' মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাঁরা ব্যাকুল হচ্ছেন, তাঁরা কি চান না, মানুষ নাগরিক সুবিধা পাক?
ভারতের টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'বাংলাদেশের ক্ষতি হোক এমন কোনো কাজ কাউকে করতে দেব না।' টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ নিয়ে দিলি্লর সঙ্গে প্রতিনিয়ত সরকার যোগাযোগ করছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমার দুই জন উপদেষ্টা ভারতে গিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা দেশে ফিরে এসে রিপোর্ট দিলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।' টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে সরকারে থাকাবস্থায় খালেদা জিয়া কোনো কথা বলেননি কেন_এমন প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, 'আমরা গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করেছি। স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের ভৌগোলিক সীমারেখা জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়া নিষ্পত্তি করতে পারেনি। আমরা এবার ক্ষমতায় এসেই দেশের ভৌগোলিক সীমারেখা চূড়ান্ত করেছি।' তিনি বলেন, 'কার কত দেশপ্রেম আছে তা দেশের মানুষ জানে। যিনি (খালেদা জিয়া) এতিমের টাকা মেরে খান তিনি দেশকে কী দেবেন?'
No comments