বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে গোপালগঞ্জ ছাত্রলীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ, আহত ২০
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নবগঠিত কার্যনির্বাহী পরিষদের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে গোপালগঞ্জ জেলার ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সংঘর্ষে ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসেন। তাঁদের পরে কোন স্থানীয় সংগঠনটি বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে নৈবেদ্য দেবে_এই নিয়ে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতির জের ধরে এই সংঘর্ষ ঘটে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
একাধিক ছাত্রলীগ নেতা জানিয়েছেন, নবগঠিত ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি এ এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুলের নেতৃত্বে ২২০ সদস্যের কমিটি গতকাল টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে এসে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। কেন্দ্রীয় কমিটির মাল্যদান করার পর জেলা না উপজেলা ছাত্রলীগ আগে মালা দেবে, এ নিয়ে উভয় সংগঠনের নেতাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। ওই সময় জেলা থেকে যাওয়া ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের হাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের এক কর্মী প্রহৃত হন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা তখন উভয় পক্ষকে নিবৃত্ত করেন। এর কিছুক্ষণ পর টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে সমাধিসৌধের সামনের রাস্তায় জেলা নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেন। এতে উভয় পক্ষে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে সমাধিসৌধে ঢুকে পড়েন এবং সব গেটে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। সেখানে তাঁরা জেলা নেতা-কর্মীদের খুঁজতে থাকেন। ফলে বাধ্য হয়ে জেলা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা দ্রুত সমাধি এলাকা ত্যাগ করেন। কেন্দ্রীয় নেতারা তখনো ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিলেন।
আহত জেলা ছাত্রলীগের কর্মী জুয়েল বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, 'ওই সময় টুঙ্গিপাড়া ছাত্রলীগের কর্মীরা অপরিচিত যাকে পেয়েছে তাকে পিটিয়েছে। আমার সামনে বাবু, তরিকুল, কুতুব সিকদারসহ জেলা ছাত্রলীগের অনেককে মারধর করেছে।'
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে কেন্দ্রীয় নেতারা এলেও জেলা কমিটি তাদের কিছু জানায়নি। কোনো কাজের সঙ্গে তাঁদের সম্পৃক্ত করা হয়নি। এ কারণে বিক্ষুব্ধরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলার চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সোলায়মান বিশ্বাস বলেন, যা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর সমাধির বাইরে হয়েছে, ভেতরে কিছু হয়নি।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বি এম তৌফিক ইসলাম বলেন, 'জেলা ও উপজেলা নেতারা ১ নম্বর গেটে অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু নেতারা ২ নম্বর গেট দিয়ে ঢুকে পড়ায় ভুল বোঝাবুঝি থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। আপার কানে (প্রধানমন্ত্রী) যাতে বিষয়টি না যায়, সে জন্য আমরা বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে মিটিয়ে ফেলেছি।'
আহত জেলা ছাত্রলীগের কর্মী জুয়েল বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, 'ওই সময় টুঙ্গিপাড়া ছাত্রলীগের কর্মীরা অপরিচিত যাকে পেয়েছে তাকে পিটিয়েছে। আমার সামনে বাবু, তরিকুল, কুতুব সিকদারসহ জেলা ছাত্রলীগের অনেককে মারধর করেছে।'
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে কেন্দ্রীয় নেতারা এলেও জেলা কমিটি তাদের কিছু জানায়নি। কোনো কাজের সঙ্গে তাঁদের সম্পৃক্ত করা হয়নি। এ কারণে বিক্ষুব্ধরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলার চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সোলায়মান বিশ্বাস বলেন, যা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর সমাধির বাইরে হয়েছে, ভেতরে কিছু হয়নি।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বি এম তৌফিক ইসলাম বলেন, 'জেলা ও উপজেলা নেতারা ১ নম্বর গেটে অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু নেতারা ২ নম্বর গেট দিয়ে ঢুকে পড়ায় ভুল বোঝাবুঝি থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। আপার কানে (প্রধানমন্ত্রী) যাতে বিষয়টি না যায়, সে জন্য আমরা বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে মিটিয়ে ফেলেছি।'
No comments