ওদের কিছুই বদলায় না! by ইশতিয়াক হুসাইন
বৃহস্পতিবার রাত ১২: ৪৫ মিনিট। স্থান কারওয়ান বাজার। একটি সংস্থার পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। কয়েকজনকে কম্বল দেওয়া হলো। কিন্তু কারওয়ান বাজারে ট্রাকের জটলার মুখে পড়ে কম্বল বিতরণ করা মাইক্রোবাসটি সেখানে দাঁড়াতে পারলো না। আর তাই নিজেদের জন্য একটা কম্বল জুটল না পথ শিশু সুমন, শাওন, বিজয়, নাহিদদের।
প্রকৃতির নিয়মে ঋতুর পালাবদল হয়। কিন্তু শাওন, সুমন, বিজয় ও নাহিদের মতো ফুটপাতের শিশুদের জীবনের কোনো কিছুই বদলায় না। তাইতো হাড়কাঁপানো শীতেও এসব শিশুকে ফুটপাতে, খোলা আকাশের নিচে শীতবস্ত্র ছাড়াই রাতযাপন করতে হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে কারওয়ান বাজার এলাকার ফুটপাতের এসব পথ শিশুর সঙ্গে কথা হয়। স্পষ্টই দেখা যাচ্ছিল তাদের শীতের কষ্ট। সামান্য পাতলা একটি কাপড়ে ওরা যেন কাঁপছিল।
শীতের কষ্ট, শিশু সন্তানদের শীতের কাঁপড় দিতে না পারার কষ্ট যেন কুঁড়েকুড়ে যাচ্ছিল এদের অভিভাবকদের। শাওনের মা মাজেদা বেগম জানান, সারাদিন কাওরান বাজারে শাকসবজি টোকান। এই দিয়ে দু’বেলা ভাতও খেতে পারেন না। ছেলে-মেয়েকে কাপড় দেবেন কিভাবে।
মাজেদার বিয়ে হয় ১২ বছর বয়সে। তিন সন্তান হওয়ার পর স্বামী তাকে ছেড়ে আরেকটি বিয়ে করেন। এরপর থেকে তিন সন্তানকে নিয়ে কারওয়ান বাজার এলাকার ফুটপাতে থাকেন। জরিনাও থাকেন ফুটপাতে। তার স্বামী থাকলেও কোনো কাজ করে না। তাইতো চার সন্তানের ভরণ-পোষণের সব দায়িত্ব তার। সন্তানদের খেতেই দিতে পারেন না তিনি, পোশাক দেবেন কোত্থেকে।
সিলেটের বালুরচর থেকে ঢাকায় আসা আমেনার শীত সহ্য হয় না। তীব্র শৈত্যপ্রবাহে ন্যূনতম শীতবস্ত্র নেই তারও। স্বামী অসুস্থ। নিজেকেই আয় করে স্বামী-সন্তানের খাবারের ব্যবস্থা করতে হয়।
আমেনা বললেন, ‘স্বামী-সন্তান নিয়ে আমার কষ্ট খালি শীতকালেই না, বর্ষাকালেও। বর্ষাকালে বৃষ্টিতে বেজতে অয়। আর অহন ঘুমাইতে না পারলেও শুইতে পারি। খালি শীতে কষ্ট অয়।’
বৃহস্পতিবার রাতে কারওয়ান বাজার এলাকার ফুটপাতের এসব পথ শিশুর সঙ্গে কথা হয়। স্পষ্টই দেখা যাচ্ছিল তাদের শীতের কষ্ট। সামান্য পাতলা একটি কাপড়ে ওরা যেন কাঁপছিল।
শীতের কষ্ট, শিশু সন্তানদের শীতের কাঁপড় দিতে না পারার কষ্ট যেন কুঁড়েকুড়ে যাচ্ছিল এদের অভিভাবকদের। শাওনের মা মাজেদা বেগম জানান, সারাদিন কাওরান বাজারে শাকসবজি টোকান। এই দিয়ে দু’বেলা ভাতও খেতে পারেন না। ছেলে-মেয়েকে কাপড় দেবেন কিভাবে।
মাজেদার বিয়ে হয় ১২ বছর বয়সে। তিন সন্তান হওয়ার পর স্বামী তাকে ছেড়ে আরেকটি বিয়ে করেন। এরপর থেকে তিন সন্তানকে নিয়ে কারওয়ান বাজার এলাকার ফুটপাতে থাকেন। জরিনাও থাকেন ফুটপাতে। তার স্বামী থাকলেও কোনো কাজ করে না। তাইতো চার সন্তানের ভরণ-পোষণের সব দায়িত্ব তার। সন্তানদের খেতেই দিতে পারেন না তিনি, পোশাক দেবেন কোত্থেকে।
সিলেটের বালুরচর থেকে ঢাকায় আসা আমেনার শীত সহ্য হয় না। তীব্র শৈত্যপ্রবাহে ন্যূনতম শীতবস্ত্র নেই তারও। স্বামী অসুস্থ। নিজেকেই আয় করে স্বামী-সন্তানের খাবারের ব্যবস্থা করতে হয়।
আমেনা বললেন, ‘স্বামী-সন্তান নিয়ে আমার কষ্ট খালি শীতকালেই না, বর্ষাকালেও। বর্ষাকালে বৃষ্টিতে বেজতে অয়। আর অহন ঘুমাইতে না পারলেও শুইতে পারি। খালি শীতে কষ্ট অয়।’
No comments