২০ লাখ পাঠ্যবই নিয়ে সংকটের আশঙ্কা by মোশতাক আহমেদ

য়লা জানুয়ারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষার্থীর হাতে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই তুলে দিতে শেষ মুহূর্তের তোড়জোড় চলছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) দাবি, ইতিমধ্যে ৯৬ শতাংশ বই উপজেলায় পৌঁছে গেছে, বাকি বইও চলতি মাসে পৌঁছে যাবে। এনসিটিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, দুটি ছাপাখানার প্রায় ২০ লাখ বই নিয়ে কিছুটা সংকট তৈরি হতে পারে। কারণ, তারা এখনো বই দিতে পারেনি। বইয়ের সর্বশেষ প্রস্তুতি সম্পর্কে


জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালউদ্দিন গত মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাধ্যমিকের ৯৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং প্রাথমিক স্তরের ৯৬ দশমিক ৪২ শতাংশ বই উপজেলায় পৌঁছানো হয়েছে। শিগগিরই বাকি বইও পৌঁছে যাবে। আশা করছি, বই নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।’
এবার সরাসরি উপজেলায় বই পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আগে জেলায় পৌঁছে দেওয়া হতো। সেখান থেকে উপজেলায় পাঠানো হতো। এবার উপজেলা থেকে সরাসরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই যাবে।
এনসিটিবি জানিয়েছে, এ বছর মোট ২২ কোটি ১৩ লাখ ৬৫ হাজারের কিছু বেশি বই ছাপা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি স্তরে ১০ কোটি ৩৫ লাখ ৪৪ হাজার এবং মাধ্যমিক ও দাখিল স্তরে ১১ কোটি ৭৮ লাখ বই ছাপা হচ্ছে।
দেশের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে তিনটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রাথমিক স্তরের দুই কোটি ৮১ লাখ ৯২ হাজারের কিছু বেশি বই ছাপানো হয়েছে। এবার প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত বই ছাপার কাজ আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে দেওয়া হয়।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান বলেন, ‘ভারত থেকে ছাপানো সব বইয়ের বিষয়ে ইতিমধ্যে সীমান্তে ছাড়পত্র পাওয়া গেছে। সেখান থেকেই উপজেলায় বই যাচ্ছে। এখনো সব বই না গেলেও সিংহভাগ উপজেলায় পৌঁছে গেছে। দেশের ভেতরেও ছাপার অবস্থা ভালো।’
এনসিটিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, সরকার গ্রুপ নামের একটি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ছাপাখানার নামে এবার দুই কোটি ২২ লাখ ৫৯ হাজার ৯৯৮ কপি বই ছাপার কাজ পায়। এর মধ্যে তারা দুই কোটি দুই লাখ ৫০ হাজারের কিছু বেশি বই দিতে পেরেছে। বাকি ২০ লাখ বই এখনো দিতে পারেনি। অভিযোগ উঠেছে, ছাপার মতো অবস্থা না থাকলেও এতসংখ্যক বই ছাপার কাজ দেওয়ায় শেষ মুহূর্তে সমস্যা তৈরি হয়েছে। সরকার গ্রুপের বলাকা ও পপুলার নামের দুটি ছাপাখানায় এ সমস্যা হচ্ছে। তাদের প্রায় ২০ লাখ বই নিয়ে সংকটের আশঙ্কা রয়েছে। এ নিয়ে এনসিটিবি কর্তৃপক্ষও কিছুটা দুশ্চিন্তায় আছে।
তবে প্রতিষ্ঠানটির মালিকদের একজন আবুল কালাম স্বপন মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোনো সমস্যা হবে না। এ মাসের মধ্যেই বই দেওয়া হবে।’
জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা তাদের তাগিদ দিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি, দ্রুত বই পাওয়া যাবে।’

No comments

Powered by Blogger.