দায়িত্বটা অনেক বেড়ে গেল by সাকিব আল হাসান
আজ (গতকাল) সকালে এক সাংবাদিকের ফোনে প্রথম জানলাম খবরটা। ওয়ানডের পর আমি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়েও আমি এক নম্বর অলরাউন্ডার। এমন খবর পেয়ে যে অনুভূতি হওয়ার কথা, তা-ই হলো। খুব ভালো লাগছে। এটা অনেক বড় একটা সুসংবাদ আমার জন্য। তবে এই সুসংবাদ উপভোগ করার চেয়ে অন্য একটা উপলব্ধিই আমাকে পেয়ে বসেছে সঙ্গে সঙ্গে। বুঝতে পারছি, আমার দায়িত্ব এখন অনেক বেড়ে গেল।
টেস্টের সেরা পাঁচ অলরাউন্ডারের মধ্যে নাম চলে আসার পর দু-একবার চিন্তাটা উঁকি দিয়েছিল মনে—যদি এখানেও সেরা হতে পারি! তবে আমার মধ্যে কখনোই এ রকম কিছু কাজ করে না যে, আমাকে অমুক মাইলফলকটা ছুঁতে হবে বা অমুক জায়গায় যেতে হবে। এই জিনিসটা আমার নিয়ন্ত্রণে নেইও যে, আমি ইচ্ছে করলেই সেরা হয়ে যেতে পারব। আমার নিয়ন্ত্রণে হলো আমার পারফরম্যান্সটা। কাজেই, আমি চেষ্টা করি ওটা ঠিক রাখতে, ভালো খেলতে। ভালো খেললে সেটার বিনিময়ে কিছু না কিছু এমনিতেই আসবে। সেটা হতে পারে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের স্বীকৃতিও।
আবারও বলি, ওয়ানডে, টেস্ট—দুটিরই সেরা অলরাউন্ডার হওয়াটা আমার জন্য অনেক বড় গৌরবের। তবে ওয়ানডের সেরা অলরাউন্ডার হয়ে বেশি ভালো লেগেছিল, না এখন বেশি ভালো লাগছে, সেটা বলতে পারব না। আর আমার মনে হয়, দুটি অর্জনের দুই রকম অনুভূতি। ওয়ানডেরটা ওয়ানডের মতো, টেস্টেরটা টেস্টের মতো।
পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে সেঞ্চুরি আর দুই ইনিংস মিলিয়ে ৭ উইকেটই আসলে এই অর্জনটা এনে দিয়েছে আমাকে। ওয়ানডের মতো টেস্টেও আমিই বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম কোনো র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে উঠলাম। এ কারণে ভালো লাগার অনুভূতিটা বেশি। আশা করি, ভবিষ্যতে আমাদের অন্য ক্রিকেটাররাও এই জায়গায় আসবে। তবে যেটা বলেছি, এসব অর্জন আমার দায়িত্ব বাড়িয়ে দিচ্ছে। কারণ, এসব স্বীকৃতি অর্জন করা যত না কঠিন, তার চেয়ে বেশি কঠিন ধরে রাখা। আমি জানি, আমার কাছে সবার প্রত্যাশা এখন আরও বেড়ে যাবে। অন্যদের কথা বাদ দিন, নিজের কাছে নিজের প্রত্যাশাই তো বেড়ে যাচ্ছে! সেসব প্রত্যাশা মিটিয়ে এই স্বীকৃতি ধরে রাখতে হবে আমাকে এবং আমি সেই চেষ্টাই করব।
মাঝখানে আমার একটু খারাপ সময় গেছে। অধিনায়কত্বও গেল। তবে সত্যি বলতে কি, মাঠের বাইরের চাপগুলো আমি কখনোই বড় করে নিই না। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে যে মানসিকতা ছিল, সেটি তাই কখনো বদলাইনি। বাইরের বিষয় নিয়ে চিন্তা করলেই টেনশন, না করলে টেনশন নেই। তা ছাড়া, বাঁচবই বা কয় দিন! খামাখা এত সব নিয়ে ভেবে লাভ আছে? যে কদিন বাঁচব, ভালোভাবে বাঁচব, ভালো জিনিস চিন্তা করে বাঁচব। আর আগেও বলেছি, যেটা আমার নিয়ন্ত্রণে নেই, সেটা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা বৃথা। এর চেয়ে যেটা আমার নিয়ন্ত্রণে আছে, চেষ্টা করি সেটাতে শতভাগ ঢেলে দিতে।
ওয়ানডের পর টেস্টেরও সেরা অলরাউন্ডার হওয়ার পর অনেকেই জিজ্ঞেস করছেন, এরপর আমার লক্ষ্য কী। লক্ষ্য তো একেক সময় একেকটা থাকে। তবে একটা বড় লক্ষ্যও আছে। সেটা আগে থেকে বলব না। মনেরটা মনেই থাকুক। শুধু এটুকু বলছি, আমি দেশের জন্য খেলেই বড় কিছু করতে চাই।
দেশের প্রসঙ্গ আসতেই সদ্য শেষ হওয়া পাকিস্তান সিরিজের কথাও আসছে। এই সিরিজে আরও ভালো করা উচিত ছিল আমাদের। বিশেষ করে, টেস্ট দুটিতে। এটা ঠিক যে পরিস্থিতি কঠিন ছিল, তার পরও দ্বিতীয় টেস্টে অন্তত ভালো কিছু হতেই পারত। দুই-তিনটা জায়গায় আমরা খুব ভালো করেছিও। কিন্তু কিছু ভুলও ছিল। সেই ভুলের মাশুল দিয়েই শেষ পর্যন্ত সব সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে গেল আমাদের। জেতা উচিত ছিল তৃতীয় ওয়ানডেটাও। জিততে পারলে ওটাই হয়ে যেতে পারত সিরিজের টার্নিং পয়েন্ট। ভাগ্য সহায় ছিল না, এটা একটা কারণ। তার পরও পাকিস্তানের সঙ্গে বরাবর আমাদের যে পার্থক্যটা চোখে পড়ে, এবার বোধহয় সেটা একটু কমে এসেছিল।
পাকিস্তান সিরিজের পর আমরা প্রিমিয়ার লিগ খেলব, বিপিএল খেলব। কিন্তু যে জায়গায় দুর্বলতাটা বেশি, সেই চার দিনের ম্যাচই খেলব না। এ নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না। কারণ, রোগের প্রেসক্রিপশন আমরা সবাই-ই জানি, শুধু ওষুধটা খাই না।
আবারও বলি, ওয়ানডে, টেস্ট—দুটিরই সেরা অলরাউন্ডার হওয়াটা আমার জন্য অনেক বড় গৌরবের। তবে ওয়ানডের সেরা অলরাউন্ডার হয়ে বেশি ভালো লেগেছিল, না এখন বেশি ভালো লাগছে, সেটা বলতে পারব না। আর আমার মনে হয়, দুটি অর্জনের দুই রকম অনুভূতি। ওয়ানডেরটা ওয়ানডের মতো, টেস্টেরটা টেস্টের মতো।
পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে সেঞ্চুরি আর দুই ইনিংস মিলিয়ে ৭ উইকেটই আসলে এই অর্জনটা এনে দিয়েছে আমাকে। ওয়ানডের মতো টেস্টেও আমিই বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম কোনো র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে উঠলাম। এ কারণে ভালো লাগার অনুভূতিটা বেশি। আশা করি, ভবিষ্যতে আমাদের অন্য ক্রিকেটাররাও এই জায়গায় আসবে। তবে যেটা বলেছি, এসব অর্জন আমার দায়িত্ব বাড়িয়ে দিচ্ছে। কারণ, এসব স্বীকৃতি অর্জন করা যত না কঠিন, তার চেয়ে বেশি কঠিন ধরে রাখা। আমি জানি, আমার কাছে সবার প্রত্যাশা এখন আরও বেড়ে যাবে। অন্যদের কথা বাদ দিন, নিজের কাছে নিজের প্রত্যাশাই তো বেড়ে যাচ্ছে! সেসব প্রত্যাশা মিটিয়ে এই স্বীকৃতি ধরে রাখতে হবে আমাকে এবং আমি সেই চেষ্টাই করব।
মাঝখানে আমার একটু খারাপ সময় গেছে। অধিনায়কত্বও গেল। তবে সত্যি বলতে কি, মাঠের বাইরের চাপগুলো আমি কখনোই বড় করে নিই না। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে যে মানসিকতা ছিল, সেটি তাই কখনো বদলাইনি। বাইরের বিষয় নিয়ে চিন্তা করলেই টেনশন, না করলে টেনশন নেই। তা ছাড়া, বাঁচবই বা কয় দিন! খামাখা এত সব নিয়ে ভেবে লাভ আছে? যে কদিন বাঁচব, ভালোভাবে বাঁচব, ভালো জিনিস চিন্তা করে বাঁচব। আর আগেও বলেছি, যেটা আমার নিয়ন্ত্রণে নেই, সেটা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা বৃথা। এর চেয়ে যেটা আমার নিয়ন্ত্রণে আছে, চেষ্টা করি সেটাতে শতভাগ ঢেলে দিতে।
ওয়ানডের পর টেস্টেরও সেরা অলরাউন্ডার হওয়ার পর অনেকেই জিজ্ঞেস করছেন, এরপর আমার লক্ষ্য কী। লক্ষ্য তো একেক সময় একেকটা থাকে। তবে একটা বড় লক্ষ্যও আছে। সেটা আগে থেকে বলব না। মনেরটা মনেই থাকুক। শুধু এটুকু বলছি, আমি দেশের জন্য খেলেই বড় কিছু করতে চাই।
দেশের প্রসঙ্গ আসতেই সদ্য শেষ হওয়া পাকিস্তান সিরিজের কথাও আসছে। এই সিরিজে আরও ভালো করা উচিত ছিল আমাদের। বিশেষ করে, টেস্ট দুটিতে। এটা ঠিক যে পরিস্থিতি কঠিন ছিল, তার পরও দ্বিতীয় টেস্টে অন্তত ভালো কিছু হতেই পারত। দুই-তিনটা জায়গায় আমরা খুব ভালো করেছিও। কিন্তু কিছু ভুলও ছিল। সেই ভুলের মাশুল দিয়েই শেষ পর্যন্ত সব সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে গেল আমাদের। জেতা উচিত ছিল তৃতীয় ওয়ানডেটাও। জিততে পারলে ওটাই হয়ে যেতে পারত সিরিজের টার্নিং পয়েন্ট। ভাগ্য সহায় ছিল না, এটা একটা কারণ। তার পরও পাকিস্তানের সঙ্গে বরাবর আমাদের যে পার্থক্যটা চোখে পড়ে, এবার বোধহয় সেটা একটু কমে এসেছিল।
পাকিস্তান সিরিজের পর আমরা প্রিমিয়ার লিগ খেলব, বিপিএল খেলব। কিন্তু যে জায়গায় দুর্বলতাটা বেশি, সেই চার দিনের ম্যাচই খেলব না। এ নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না। কারণ, রোগের প্রেসক্রিপশন আমরা সবাই-ই জানি, শুধু ওষুধটা খাই না।
No comments