জলবায়ু প্রভাব মোকাবেলায় স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে হবে
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সুনির্দিষ্ট নীতি প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়নে সাফল্য নির্ভর করছে সরকারের সদিচ্ছার ওপর। গ্রামপর্যায়ে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালী না হলে রাজধানীতে বসে উচ্চ পর্যায়ে সরকার ও বেসরকারি সংগঠনগুলোর গৃহীত কর্মপন্থা কখনও সফল হবে না।
তাছাড়া বেসরকারি সংগঠনগুলোও স্থানীয় সরকারের সহায়তা ছাড়া গ্রামপর্যায়ে জলবায়ু প্রভাব মোকাবেলায় সক্ষম নয় বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব এবং এ সংক্রান্ত সমঝোতায় পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যের বিষয়টি অন্তর্ভুক্তি' বিষয়ক এক সভায় বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিসিএএসের নির্বাহী পরিচালক ড. এ আতিক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিসার্স ফেলো গোলাম রব্বানী। আলোচনায় অংশ নেন জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ নুরুজ্জামান, নেদারল্যান্ডসের ট্রি ডেস হোমসের কান্ট্রি ডাইরেক্টর মাহমুদুল কবির, বুয়েটের অধ্যাপক ড. এম ফিরোজ আহমেদ, জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদফতরের গ্রাউন্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্টের টিম লিডার এমাজউদ্দিন আহমেদ এবং এনজিও ফোরামের নির্বাহী পরিচালক এস এম এ রশীদ।
সভায় প্রধান অতিথি পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, পরিবর্তনের ফলে বড় বড় প্রাকৃতিক দূর্যোগ নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামীতে আরও বড় ধরনের দুর্যোগের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিনি জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে হিমালয়ে ইতিমধ্যে ১০-১৫টি বড় বড় লেকের (জলাশয়) সৃষ্টি হয়েছে। লেকগুলোয় বিস্ফোরণ ঘটলে আমরা ভয়াবহ বন্যার শিকার হব। যা আমাদের মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তবে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রথম উন্নয়নশীল দেশ যারা বিশ্বে জলবায়ু ক্ষতির বিষয়টি তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশই উন্নয়নশীল দেশগুলোর নেতৃত্ব দিয়ে এ সংক্রান্ত ক্ষতিপূরণ আদায়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি সব সংগঠনকে দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
ড. এ আতিক রহমান বলেন, সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হলে জনগণের সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে হবে। আর এ জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপের পাশাপাশি শক্তিশালী স্থানীয় সরকার গড়ে তুলতে হবে।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে স্যানিটেশন ব্যবস্থায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে মন্তব্য করে ড. এম ফিরোজ আহমেদ বলেন, আমাদের নদীগুলো মারাত্মক দূষণের শিকার। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এটা হচ্ছে। তাই সরকারকে এ বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে আগামীতে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব এবং এ সংক্রান্ত সমঝোতায় পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যের বিষয়টি অন্তর্ভুক্তি' বিষয়ক এক সভায় বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিসিএএসের নির্বাহী পরিচালক ড. এ আতিক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিসার্স ফেলো গোলাম রব্বানী। আলোচনায় অংশ নেন জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ নুরুজ্জামান, নেদারল্যান্ডসের ট্রি ডেস হোমসের কান্ট্রি ডাইরেক্টর মাহমুদুল কবির, বুয়েটের অধ্যাপক ড. এম ফিরোজ আহমেদ, জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদফতরের গ্রাউন্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্টের টিম লিডার এমাজউদ্দিন আহমেদ এবং এনজিও ফোরামের নির্বাহী পরিচালক এস এম এ রশীদ।
সভায় প্রধান অতিথি পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, পরিবর্তনের ফলে বড় বড় প্রাকৃতিক দূর্যোগ নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামীতে আরও বড় ধরনের দুর্যোগের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিনি জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে হিমালয়ে ইতিমধ্যে ১০-১৫টি বড় বড় লেকের (জলাশয়) সৃষ্টি হয়েছে। লেকগুলোয় বিস্ফোরণ ঘটলে আমরা ভয়াবহ বন্যার শিকার হব। যা আমাদের মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তবে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রথম উন্নয়নশীল দেশ যারা বিশ্বে জলবায়ু ক্ষতির বিষয়টি তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশই উন্নয়নশীল দেশগুলোর নেতৃত্ব দিয়ে এ সংক্রান্ত ক্ষতিপূরণ আদায়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি সব সংগঠনকে দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
ড. এ আতিক রহমান বলেন, সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হলে জনগণের সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে হবে। আর এ জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপের পাশাপাশি শক্তিশালী স্থানীয় সরকার গড়ে তুলতে হবে।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে স্যানিটেশন ব্যবস্থায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে মন্তব্য করে ড. এম ফিরোজ আহমেদ বলেন, আমাদের নদীগুলো মারাত্মক দূষণের শিকার। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এটা হচ্ছে। তাই সরকারকে এ বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে আগামীতে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
No comments