সাটুরিয়ায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানার এক সহকারী উপপরিদর্শকের (এএসআই) বিরুদ্ধে ১৫ কেজি গাঁজা আটকের পর টাকার বিনিময়ে তা ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গোপন তদন্তে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে থানার একটি দায়িত্বশীল সূত্র থেকে জানা গেছে। ইতিমধ্যে তদন্তের একটি প্রতিবেদন পুলিশ সুপারের কার্যালয়েও পাঠানো হয়েছে বলে ওই সূত্র থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। সাটুরিয়া থানার একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রমতে, গোপন
তদন্তের পর পুলিশ সুপারের কাছে দেওয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকার ধামরাই উপজেলার আতুল্লার চর এলাকা থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে গাঁজার একটি বড় চালান সাটুরিয়া উপজেলায় ঢোকার খবর আসে পুলিশের কাছে। খবর পেয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তাকে না জানিয়ে এএসআই মোর্শেদ আলম কয়েকজন কনস্টেবলকে নিয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় সাটুরিয়া-বালিয়াটি-মুন্সিরচর সড়কের বালিয়াটি গৌরাঙ্গ মঠের পাশে অবস্থান নেন। রাত সাড়ে সাতটার দিকে গাঁজাবোঝাই অটোরিকশা ওই স্থানে পৌঁছানোর পর এএসআই মোর্শেদ গাড়িটি আটক করেন। এরপর গাঁজাসহ ওই গাড়িতে থাকা দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে হাতকড়া পরিয়ে অটোরিকশাচালককে বিদায় করে দেন।
গোপন তদন্তে আরও বলা হয়, মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করার পর তাদের গোপন স্থানে নিয়ে যান। কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখার পর পুলিশের ওই কর্মকর্তা তাদের সঙ্গে সমঝোতায় আসেন। এরপর ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে কয়েক কেজি গাঁজাসহ তাদের ছেড়ে দেন।
সাটুরিয়া থানার সূত্র জানায়, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থানার ওসি মো. সামছুদ্দিন ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য থানার এক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে তদন্ত করে ওই কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা পান। এরপর তিনি ওসির কাছে লিখিতভাবে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। গত মঙ্গলবার গোপন ওই তদন্ত প্রতিবেদনের একটি কপি মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপারের দপ্তরে পাঠানো হয়।
যোগাযোগ করা হলে এএসআই মোর্শেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর ধামরাই থেকে গাঁজার একটি বড় চালান সাটুরিয়ায় ঢুকছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরাও তৎপর ছিলাম। কিন্তু পরে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য না পাওয়ায় তা আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে গাঁজা আটকের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁকে জড়িয়ে এমন গুজব তাঁর কানেও এসেছে।
নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এএসআই আরও বলেন, থানার অন্য কোনো কর্মকর্তা তাঁর পরিচয় দিয়ে বা পুলিশ নন, এমন কেউ ওই গাঁজা আটকের পর ছেড়ে দিয়ে সেই দায় তাঁর ওপর চাপানোর চেষ্টা করছেন।
তবে থানার ওসি মো. সামছুদ্দিন বলেন, এএসআই মোর্শেদ আলমের বিরুদ্ধে ১৫ কেজি গাঁজাসহ দুজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
যোগাযোগ করা হলে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলী মিয়া গতকাল বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিবেদনটি এখনো আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনো আপস নেই। আর আমার কোনো কর্মকর্তা বা সদস্য এর সঙ্গে যুক্ত থাকলে অথবা মাদক ব্যবসায়ীদের সহায়তা করলে প্রমাণ সাপেক্ষে তাঁদেরও ছাড় দেওয়া হবে না।’
গোপন তদন্তে আরও বলা হয়, মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করার পর তাদের গোপন স্থানে নিয়ে যান। কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখার পর পুলিশের ওই কর্মকর্তা তাদের সঙ্গে সমঝোতায় আসেন। এরপর ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে কয়েক কেজি গাঁজাসহ তাদের ছেড়ে দেন।
সাটুরিয়া থানার সূত্র জানায়, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থানার ওসি মো. সামছুদ্দিন ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য থানার এক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে তদন্ত করে ওই কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা পান। এরপর তিনি ওসির কাছে লিখিতভাবে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। গত মঙ্গলবার গোপন ওই তদন্ত প্রতিবেদনের একটি কপি মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপারের দপ্তরে পাঠানো হয়।
যোগাযোগ করা হলে এএসআই মোর্শেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর ধামরাই থেকে গাঁজার একটি বড় চালান সাটুরিয়ায় ঢুকছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরাও তৎপর ছিলাম। কিন্তু পরে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য না পাওয়ায় তা আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে গাঁজা আটকের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁকে জড়িয়ে এমন গুজব তাঁর কানেও এসেছে।
নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এএসআই আরও বলেন, থানার অন্য কোনো কর্মকর্তা তাঁর পরিচয় দিয়ে বা পুলিশ নন, এমন কেউ ওই গাঁজা আটকের পর ছেড়ে দিয়ে সেই দায় তাঁর ওপর চাপানোর চেষ্টা করছেন।
তবে থানার ওসি মো. সামছুদ্দিন বলেন, এএসআই মোর্শেদ আলমের বিরুদ্ধে ১৫ কেজি গাঁজাসহ দুজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
যোগাযোগ করা হলে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলী মিয়া গতকাল বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিবেদনটি এখনো আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনো আপস নেই। আর আমার কোনো কর্মকর্তা বা সদস্য এর সঙ্গে যুক্ত থাকলে অথবা মাদক ব্যবসায়ীদের সহায়তা করলে প্রমাণ সাপেক্ষে তাঁদেরও ছাড় দেওয়া হবে না।’
No comments