কালিয়াকৈরে বংশাই নদে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বলিয়াদি ও সাজনধরা এলাকায় বংশাই নদে বাঁধ দিয়ে কয়েকজন প্রভাবশালী মাছ চাষ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করায় পানি প্রবাহ বন্ধ রয়েছে। মাছের খাবারের জন্য পোলট্রির বর্জ্য নদে ফেলায় আশপাশের লোকজনকে নোংরা পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বংশাই নদে আশপাশের প্রায় ১৫-২০ গ্রামের মানুষ গোসল করা, কাপড় ধোয়াসহ প্রায় সব কাজই করে থাকে।
এ ছাড়া গ্রামবাসী নদে মাছ ধরে পরিবারের মাছের চাহিদা মেটায়। নদের বামন্দা ও সাজনধরা অংশে বেশ কিছুদিন আগে এলাকার প্রভাবশালী ব্যাবসায়ী চান মিয়া বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন। মাছ পাহারা দেওয়ার জন্য এক ব্যক্তিকে নিয়োগও করেছেন। এ ছাড়া নদের পাশেই ব্যক্তিমালিকানাধীন একটি বিলসহ পুকুর রয়েছে। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে চান মিয়া বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন।
অপরদিকে চান মিয়ার নদে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষে সফলতা দেখে এলাকার প্রভাবশালী পরিবারের দুই যুবক উৎসাহিত হন। তাঁদের একজন সোমদ আলীর ছেলে হেলাল উদ্দিন ও সিদ্দিক আলীর ছেলে মোরশেদ। তাঁরা পেশায় পোলট্রি ব্যবসায়ী। ২০ দিন আগে পোলট্রি খামারের পাশাপাশি বংশাই নদে বালিয়াদি অংশে বাঁধ দিয়েছেন তাঁরা। এর কয়েক দিন পরই ৩০ হাজার টাকার মাগুর মাছের পোনা ছেড়েছেন। ওই স্থানে কেউ যাতে মাছ না ধরেন তার জন্য অসংখ্য লাল পতাকা লাগিয়ে দিয়েছেন। প্রতিদিন ওই স্থানে পোলট্রির বর্জ্য দেওয়া হয়। এর ফলে নদের পানি দূষিত হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বংশাই নদের দুই পাশে ৩০০ থেকে ৪০০ মিটার লম্বা জায়গা নিয়ে বাঁধ সৃষ্টি করে মাছ চাষ করা হচ্ছে।
পোলট্রি ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘বংশাইয়ে আমার মতো অনেকেই মাছ চাষ করতাছে। তাদের চাষ করা দেইখাই তো আমরাও শুরু করছি। রাতে অনেকেই মাছ চুরি কইরা নিয়ে যায়। মাছ যাতে চুরি কইরা নিতে না পারে, তার জন্য লাল নিশান লাগাইয়া দিছি।’
চালকল ও মৎস্য ব্যবসায়ী চান মিয়া বলেন, ‘ভাই, আমি তো অনেক বছর আগে থাইকায় বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করতাছি। মাছ লাগলে নিয়া যাইয়েন, তবে কিছু লেইখেন না। আমার সমস্যা কইরা আপনার কি লাভ?’
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ চৌধুরী জানান, নদে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। কোনো অবস্থানেই পানির প্রবাহ বন্ধ করে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা যাবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল কবীর বলেন, বংশাইয়ে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার বিষয়টি জানা নেই। তবে যাঁরা মাছ চাষ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপরদিকে চান মিয়ার নদে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষে সফলতা দেখে এলাকার প্রভাবশালী পরিবারের দুই যুবক উৎসাহিত হন। তাঁদের একজন সোমদ আলীর ছেলে হেলাল উদ্দিন ও সিদ্দিক আলীর ছেলে মোরশেদ। তাঁরা পেশায় পোলট্রি ব্যবসায়ী। ২০ দিন আগে পোলট্রি খামারের পাশাপাশি বংশাই নদে বালিয়াদি অংশে বাঁধ দিয়েছেন তাঁরা। এর কয়েক দিন পরই ৩০ হাজার টাকার মাগুর মাছের পোনা ছেড়েছেন। ওই স্থানে কেউ যাতে মাছ না ধরেন তার জন্য অসংখ্য লাল পতাকা লাগিয়ে দিয়েছেন। প্রতিদিন ওই স্থানে পোলট্রির বর্জ্য দেওয়া হয়। এর ফলে নদের পানি দূষিত হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বংশাই নদের দুই পাশে ৩০০ থেকে ৪০০ মিটার লম্বা জায়গা নিয়ে বাঁধ সৃষ্টি করে মাছ চাষ করা হচ্ছে।
পোলট্রি ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘বংশাইয়ে আমার মতো অনেকেই মাছ চাষ করতাছে। তাদের চাষ করা দেইখাই তো আমরাও শুরু করছি। রাতে অনেকেই মাছ চুরি কইরা নিয়ে যায়। মাছ যাতে চুরি কইরা নিতে না পারে, তার জন্য লাল নিশান লাগাইয়া দিছি।’
চালকল ও মৎস্য ব্যবসায়ী চান মিয়া বলেন, ‘ভাই, আমি তো অনেক বছর আগে থাইকায় বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করতাছি। মাছ লাগলে নিয়া যাইয়েন, তবে কিছু লেইখেন না। আমার সমস্যা কইরা আপনার কি লাভ?’
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ চৌধুরী জানান, নদে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। কোনো অবস্থানেই পানির প্রবাহ বন্ধ করে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা যাবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল কবীর বলেন, বংশাইয়ে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার বিষয়টি জানা নেই। তবে যাঁরা মাছ চাষ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments