শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র হত্যা-ছয়জনকে ধরে পুলিশে দিল এলাকাবাসী
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন ছয় ব্যক্তিকে গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে এলাকাবাসী। এর আগে ওই ছয়জনকে এলাকাবাসীর কাছে তুলে দেন তাঁদের অভিভাবকেরা। এই ছয় ব্যক্তি হলেন: চেঙ্গেরখালের পাশের নোয়াগাঁওয়ের আবদুস শহিদ (২১), আবদুর রউফ (২০) ও ফাহিম (২০) এবং নলকূটের জামাল (২২), শাহিন (২০) ও সায়েমউদ্দিন (২০)।
গতকাল সকালে ছয় ব্যক্তিকে নিয়ে নলকূট রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জড়ো হয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তাসহ জালালাবাদ থানার পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে ওই ছয় ব্যক্তিকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সন্দেহভাজন ছয় ব্যক্তিকে পুলিশে সোপর্দ করার আগে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার এজাজ আহমদ, সিলেট সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম হোসেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নিজামউদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সুজাত আলী, আইনজীবী নূরে আলম সিরাজী এবং এলাকাবাসীর পক্ষে আহমদ আলী বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বেড়াতে এসে এ ধরনের ঘটনার শিকার হওয়ায় এলাকাবাসী লজ্জিত ও দুঃখিত। তাঁদের মৃত্যুর অপূরণীয় ক্ষতি কেউ পূরণ করতে পারবে না। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য এলাকাবাসী উদ্যোগী হয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে।
পুলিশের উপকমিশনার এজাজ আহমদ বলেন, ঘটনাটি আইনের প্রতি সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধার একটি বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তিনি এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীরাই শাস্তি পাবে। নিরপরাধ কেউ হয়রানির শিকার হবেন না।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিমে চেঙ্গেরখালে নৌভ্রমণে গিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র বখাটে-সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেন জালালাবাদ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
জালালাবাদ থানার ওসি সেলিম হোসেন জানান, ওই ছয় ব্যক্তিকে দুই ছাত্র হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁদের থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ এর আগে নৌকার মাঝি গুলজার মিয়াসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের মধ্যে নৌকার মাঝিকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, এলাকার প্রবীণ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগে গত বুধবার রাতে একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের পুলিশে সোপর্দ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে সন্দেহভাজন ছয় ব্যক্তির অভিভাবকেরা স্বেচ্ছায় তাঁদের সন্তানদের এলাকাবাসীর হাতে তুলে দেন।
সন্দেহভাজন এক ব্যক্তির বাবা প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্র মারার ঘটনা শোনার পর থাকি মনটা খারাপ আছিল। যখন শুনলাম আমার ঘরেও একজন অভিযুক্ত আছে, তখন মনটা আরও অশান্ত হয়ে ওঠে। তারে পুলিশে দিতে পাইরা স্বস্তি পাইলাম। অখন হে তার অপরাধের শাস্তি পাইব, এটা তার প্রাপ্য।’
এলাকাবাসীর এমন উদ্যোগ আর পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে অবশ্যই এটি একটি দৃষ্টান্তমূলক উদ্যোগ। আমি মহানগর পুলিশ ও এলাকাবাসীকে এ জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানাই।’
সন্দেহভাজন ছয় ব্যক্তিকে পুলিশে সোপর্দ করার আগে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার এজাজ আহমদ, সিলেট সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম হোসেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নিজামউদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সুজাত আলী, আইনজীবী নূরে আলম সিরাজী এবং এলাকাবাসীর পক্ষে আহমদ আলী বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বেড়াতে এসে এ ধরনের ঘটনার শিকার হওয়ায় এলাকাবাসী লজ্জিত ও দুঃখিত। তাঁদের মৃত্যুর অপূরণীয় ক্ষতি কেউ পূরণ করতে পারবে না। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য এলাকাবাসী উদ্যোগী হয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে।
পুলিশের উপকমিশনার এজাজ আহমদ বলেন, ঘটনাটি আইনের প্রতি সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধার একটি বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তিনি এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীরাই শাস্তি পাবে। নিরপরাধ কেউ হয়রানির শিকার হবেন না।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিমে চেঙ্গেরখালে নৌভ্রমণে গিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র বখাটে-সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেন জালালাবাদ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
জালালাবাদ থানার ওসি সেলিম হোসেন জানান, ওই ছয় ব্যক্তিকে দুই ছাত্র হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁদের থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ এর আগে নৌকার মাঝি গুলজার মিয়াসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের মধ্যে নৌকার মাঝিকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, এলাকার প্রবীণ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগে গত বুধবার রাতে একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের পুলিশে সোপর্দ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে সন্দেহভাজন ছয় ব্যক্তির অভিভাবকেরা স্বেচ্ছায় তাঁদের সন্তানদের এলাকাবাসীর হাতে তুলে দেন।
সন্দেহভাজন এক ব্যক্তির বাবা প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্র মারার ঘটনা শোনার পর থাকি মনটা খারাপ আছিল। যখন শুনলাম আমার ঘরেও একজন অভিযুক্ত আছে, তখন মনটা আরও অশান্ত হয়ে ওঠে। তারে পুলিশে দিতে পাইরা স্বস্তি পাইলাম। অখন হে তার অপরাধের শাস্তি পাইব, এটা তার প্রাপ্য।’
এলাকাবাসীর এমন উদ্যোগ আর পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে অবশ্যই এটি একটি দৃষ্টান্তমূলক উদ্যোগ। আমি মহানগর পুলিশ ও এলাকাবাসীকে এ জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানাই।’
No comments