সিটির আনন্দের বড়দিন


য়েক দিন থেকেই মনটা ভার হয়েছিল স্যার ফার্গির। চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায়ের ধাক্কা পুরো সামলে উঠতে পারেননি। পারবেন কী করে, তাঁর দীর্ঘ ক্যারিয়ারের এমন আঘাত খুব যে বেশি আসেনি। বড়দিনটাও কি মুখ ভার করেই কাটাবেন অ্যালেক্স ফার্গুসন? না, গুরুর জন্য ক্রিসমাসের দারুণ একটা উপহার লুকিয়ে রেখেছিল শিষ্যরা। সেটাই দেওয়া হলো পরশু। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ফুলহামকে তাদেরই মাঠে ৫-০ গোলে হারিয়ে এল


ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। পঞ্চম মিনিটে গোল-উৎসবের শুরুটা করেছিলেন ড্যানি ওয়েলবেক। শেষ মিনিটে শেষ করেছেন দিমিতার বারবেতভ। মাঝখানে একটি করে গোল করেছেন নানি, রায়ান গিগস ও ওয়েইন রুনি।
এই জয়ে ফার্গুসন এতটাই তৃপ্ত যে পরশুর ম্যাচটিকে বলেছেন চলতি মৌসুমে ম্যানইউর সেরা ম্যাচ, ‘প্রথমার্ধে এই মৌসুমে আমরা নিজেদের সেরা খেলাটাই খেলেছি। তা ছাড়া আমাদের দলে চোটের কারণে বেশ কজন খেলোয়াড় ছিলও না।’
তাতে অবশ্য তাদের নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের শীর্ষে থাকা আটকায়নি। আগের ম্যাচেই স্টোক সিটিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শীর্ষে থেকেই বড়দিন উদ্যাপন নিশ্চিত করেছে ম্যান সিটি। ৮২ বছর পর এই প্রথম শীর্ষ লিগে শীর্ষে থেকে বড়দিন উদ্যাপন করবে সিটি। ১৭ ম্যাচে ম্যানইউর পয়েন্ট ৪২, সমান ম্যাচে সিটির ৪৪। রবার্তো মানচিনির কাছে অবশ্য ৮০ বছর পর শীর্ষে থেকে বড়দিনের ছুটি কাটানো আলাদা কোনো গুরুত্ব পাচ্ছে না। সিটি কোচ বলছেন, ‘বছরের একটা সময়ে শীর্ষে থাকার চেয়ে মে মাসেই (মৌসুমের শেষে) শীর্ষে থাকা আসল।’
সিটিকে জেতাতে জোড়া গোল করেছেন সার্জিও আগুয়েরো। লিগে ১৬ ম্যাচে ১৩ গোল হয়ে গেল ম্যারাডোনার জামাইয়ের। তবে ফর্মের দিক দিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে বাকি সবাইকে ছাপিয়ে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন রবিন ফন পার্সি। ফ্যাব্রিগাস-নাসরিদের শূন্যতা কিছুতেই বুঝতে দিচ্ছেন না এই ডাচ স্ট্রাইকার। পরশুও গোল করেছেন। অবশ্য অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়টিকে খোদ আর্সেন ওয়েঙ্গারই বলছেন, ভাগ্যের জোরে পাওয়া। আর্সেনাল যে জয়সূচক গোলটি পেয়েছে একেবারে ৮৭ মিনিটে, ইয়োসি বেনায়ুনের সৌজন্যে।
ফন পার্সির সামনে এখন রেকর্ডের হাতছানি। ২০১১ সালে প্রিমিয়ার লিগে মোট ৩৪ গোল তাঁর। এক বর্ষপঞ্জিতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের রেকর্ডটি ৩৭ গোলের। এই বছর আরও দুটি ম্যাচ আছে আর্সেনালের, ২৭ ডিসেম্বর উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে, বছরের শেষ দিনে প্রতিপক্ষ কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্স।
বড় দলগুলোর জয়ের রাতে উইগানের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে লিভারপুল। ওদিকে ইতালিয়ান সিরি ‘আ’তে এই মৌসুমে নিজেদের সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছে ইন্টার মিলান। ৪-১ গোলে হারিয়েছে লেচ্চেকে। দুই আর্জেন্টাইন মিলিতো আর ক্যাম্বিয়াসোর পাশাপাশি গোল করেছেন পাজ্জিনি ও আলভারেস। লিগে সর্বশেষ সাত ম্যাচে এটি ষষ্ঠ জয় ইন্টারের। বোঝাই যাচ্ছে কক্ষপথে ফিরছে তারা। উঠে এসেছে পয়েন্ট তালিকার পাঁচে। উদিনেসের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেও শীর্ষে থাকা এসি মিলানকে ধরে ফেলেছে জুভেন্টাস। দুই দলেরই পয়েন্ট ৩৪। এএফপি, রয়টার্স।

No comments

Powered by Blogger.