বাংলাদেশসহ ছয় দেশ নিয়ে টিআইয়ের জরিপ-সেবা পেতে ৪০% মানুষকে ঘুষ দিতে হয়
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি দেশের এক-তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ চলতি বছর ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছে। সেবা পাওয়ার অধিকার থাকলেও ওই সেবা পেতে ঘুষ দিতে বাধ্য হয় তারা। বার্লিনভিত্তিক আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে গতকাল বৃহস্পতিবার টিআইয়ের ওই জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দক্ষিণ এশিয়া বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় ঘুষপ্রবণ
অঞ্চল বলে উল্লেখ করা হয়। টিআইয়ের জরিপ অনুযায়ী, আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চল বিশ্বের এক নম্বর দুর্নীতিগ্রস্ত অঞ্চল। টিআই ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলংকা ও মালদ্বীপের সাত হাজার ৮০০ নাগরিকের ওপর জরিপ চালায়। জরিপে অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৪০ শতাংশই বলেছে, তারা চলতি বছর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছে। ঘুষগ্রহীতাদের বেশির ভাগই পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী।
জরিপের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নাগরিকদের যারা পুলিশের কাছে গেছেন, তাদের এক-তৃতীয়াংশই পুলিশ কর্মকর্তাদের ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছেন।
টিআইয়ের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক আঞ্চলিক জ্যেষ্ঠ কর্মসূচি সমন্বয়ক রুখসানা নানেয়াক্কারা বলেন, ‘দক্ষিণ এশীয়দের জীবনে ঘুষ এতটাই নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে যে, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় জনগণ সরকারের ওপর চরম ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ দিতে দিতে তারা অতিষ্ঠ।’
‘প্রাত্যহিক জীবন ও দুর্নীতি: দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের অভিমত’ শীর্ষক ওই জরিপে দেখা যায়, দক্ষিণ এশিয়ার ৬২ শতাংশ মানুষের মতে, গত তিন বছরে দুর্নীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ ক্ষেত্রে ভারত ও পাকিস্তানের চিত্রই বেশি হতাশাজনক। ৮০ শতাংশ মানুষ মনে করে, দুর্নীতির মূলোৎপাটনে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
রুখসানা নানেয়াক্কারা বলেন, ‘২০১১ সালে দক্ষিণ এশিয়ার জনগণের দুর্নীতিবিরোধী প্রতিবাদ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সরকারের কাছে কঠোর বার্তা পাঠিয়েছে। সরকারের উচিত, জনগণের এ বার্তার প্রতি সম্মান দেখানো।’
চলতি বছর ভারতে দুর্নীতিবিরোধী বিশাল প্রতিবাদ হয়েছে। গত আগস্টে দেশটিতে হাজার হাজার মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে আসে। গান্ধীবাদী নেতা আন্না হাজারে এ প্রতিবাদের নেতৃত্ব দেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের ‘দুর্নীতির ধারণাসূচক ২০১১ অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ ভুটান। ১৮৩টি দেশের মধ্যে ভুটানের অবস্থান ৩৮ (ঊর্ধ্বক্রম অনুযায়ী)। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কা ৮৬, ভারতের ৯৫, পাকিস্তান ও মালদ্বীপ ১৩৪ এবং নেপাল ১৬৪তম অবস্থানে রয়েছে। এএফপি।
জরিপের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নাগরিকদের যারা পুলিশের কাছে গেছেন, তাদের এক-তৃতীয়াংশই পুলিশ কর্মকর্তাদের ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছেন।
টিআইয়ের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক আঞ্চলিক জ্যেষ্ঠ কর্মসূচি সমন্বয়ক রুখসানা নানেয়াক্কারা বলেন, ‘দক্ষিণ এশীয়দের জীবনে ঘুষ এতটাই নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে যে, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় জনগণ সরকারের ওপর চরম ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ দিতে দিতে তারা অতিষ্ঠ।’
‘প্রাত্যহিক জীবন ও দুর্নীতি: দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের অভিমত’ শীর্ষক ওই জরিপে দেখা যায়, দক্ষিণ এশিয়ার ৬২ শতাংশ মানুষের মতে, গত তিন বছরে দুর্নীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ ক্ষেত্রে ভারত ও পাকিস্তানের চিত্রই বেশি হতাশাজনক। ৮০ শতাংশ মানুষ মনে করে, দুর্নীতির মূলোৎপাটনে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
রুখসানা নানেয়াক্কারা বলেন, ‘২০১১ সালে দক্ষিণ এশিয়ার জনগণের দুর্নীতিবিরোধী প্রতিবাদ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সরকারের কাছে কঠোর বার্তা পাঠিয়েছে। সরকারের উচিত, জনগণের এ বার্তার প্রতি সম্মান দেখানো।’
চলতি বছর ভারতে দুর্নীতিবিরোধী বিশাল প্রতিবাদ হয়েছে। গত আগস্টে দেশটিতে হাজার হাজার মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে আসে। গান্ধীবাদী নেতা আন্না হাজারে এ প্রতিবাদের নেতৃত্ব দেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের ‘দুর্নীতির ধারণাসূচক ২০১১ অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ ভুটান। ১৮৩টি দেশের মধ্যে ভুটানের অবস্থান ৩৮ (ঊর্ধ্বক্রম অনুযায়ী)। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কা ৮৬, ভারতের ৯৫, পাকিস্তান ও মালদ্বীপ ১৩৪ এবং নেপাল ১৬৪তম অবস্থানে রয়েছে। এএফপি।
No comments