আ.লীগ সংসদীয় দলের বৈঠকে রনীর সমালোচনাঃ পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে কাজ করছে একটি মহল
পদ্মা্রসেতুর নির্মাণ বন্ধে একটি বিশেষ মহল প্রচারণা চালাচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অভিযোগ করেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র এ তথ্য দিয়েছে। সূত্র্রজানায়, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে পদ্মা সেতু যাতে নির্মিত না হয়, সে জন্য একটি মহল কাজ করছে। পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন স্থগিতের পেছনে মহলটি কাজ করেছে বলেও ইঙ্গিত দেন প্রধানমন্ত্রী। তবে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, বর্তমান সরকারের সময়েই পদ্মা সেতুর কাজ হবে।
পদ্মা্রসেতুর দুর্নীতি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা জানান, বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির বিষয়ে যে দুটি নথি তাঁর কাছে দিয়েছে, তা ছিল বিএনপি সরকারের যোগাযোগমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। বর্তমান সরকারের কোনো মন্ত্রীর নামে বিশ্বব্যাংকের কাছে দুর্নীতির অভিযোগ নেই। তা ছাড়া পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজের জন্য কোনো তহবিলই হয়নি, সেখানে দুর্নীতি হয় কী করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধারণার ওপর কথা বললে তো হবে না।্রকোথায়, কী দুর্নীতি হয়েছে, তার তথ্য-প্রমাণ চেয়ে তিনি বিশ্বব্যাংককে চিঠি দিয়েছেন। বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে সদুত্তর না পেলে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও দাতাগোষ্ঠীকে আহ্বান জানাবেন সেতুতে অর্থায়ন করতে। মালয়েশিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অর্থায়ন নিয়ে তাঁর কথা হচ্ছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের লুই আই কানের মূল নকশা তুলে ধরেন। পরিবেশবাদীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সংসদ ভবনের ভেতরে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও দুই হুইপের জন্য চারটি ভবন নির্মাণের বিষয়টি মূল নকশায় থাকা সত্ত্বেও এটা নিয়ে পরিবেশবাদীরা সোচ্চার ছিলেন। অথচ সংসদ ভবনের পাশে শাহ আজিজ ও খান এ সবুরের কবর,্রজিয়ার সমাধি এবং যাতায়াতের জন্য নকশাবহির্ভূত সেতু নির্মাণ করা হলেও তা নিয়ে পরিবেশবাদীরা চুপ।
সূত্র্রজানায়, প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠকে যোগাযোগমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করেন সরকারদলীয় সাংসদেরা। ইসরাফিল আলম অবৈধ ভিওআইপি নিয়ে কথা বলেন।
বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, আবদুল মান্নান প্রমুখ।
রনীর সমালোচনা
টেলিভিশনের টক শোতে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় ‘দৌড় প্রতিযোগিতায়’ প্রথম হয়ে আবুল হোসেনের যোগাযোগমন্ত্রী হওয়া-সংক্রান্ত বক্তব্যের কারণে সাংসদ গোলাম মাওলা রনির সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের একজন জ্যেষ্ঠ সাংসদ।
সংসদীয় দলের বৈঠকে সাংসদ রনির উপস্থিতিতে এ সমালোচনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সাংসদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বৈঠকে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সাংসদ তোফায়েল আহমেদ বিষয়টি উত্থাপন করেন।
চ্যানেল আইতে প্রচারিত ‘তৃতীয় মাত্রা’য় পটুয়াখালীর এই সাংসদের বক্তব্য নিয়ে ফেসবুক ও ব্লগে ব্যাপক আলোচনা হয়।
প্রথম আলো অনলাইন সংস্করণে এ খবর দেখে গত রাতে গোলাম মাওলা প্রথম আলো কার্যালয়ে ফোন করে সংসদীয় দলের বৈঠকের বর্ণনা দেন।
গোলাম মাওলা বলেন, ‘তোফায়েল আহমেদ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, “আমাদের দলের অনেকে টক শোতে যান। তাঁরা হার্ডলি দলকে সাপোর্ট করে কথা বলেন। কিন্তু আমাদের এক ছোট ভাই আছেন, তিনি ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে এমনভাবে কথা বলেন, তাতে মন্ত্রীরা হাস্যরসের পাত্রে পরিণত হন।” এমনকি তিনি প্রধানমন্ত্রীর বাঁশির গল্পও বলেছেন।’
গোলাম মাওলা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, “কে টক শোতে বাঁশির গল্প বলেছে?” তখন আমি বলি, আমি বলেছি। তখন প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, “তুমি এই গল্প কার কাছে শুনেছ।” আমি বলি, অমুকের কাছে শুনেছি। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তুমি পুরোপুরি সঠিক শোনোনি। ওই দৌড় প্রতিযোগিতা লেকের পাড়ে নয়, হয়েছিল একটা স্পোর্টস স্কুলে। আর তাতে সম্ভবত সাবের প্রথম হয়েছিল। কিন্তু আমি তো সাবেরকে মন্ত্রী বানাইনি।” প্রধানমন্ত্রী হাসিমুখেই এসব কথা বলেন।’
গোলাম মাওলার বর্ণনা অনুযায়ী, এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘রনী আমাকে নিয়েও অনেক কথা বলেন। আমি কবিতা লিখি, শেয়ারবাজার ইত্যাদি নিয়ে। কিন্তু রনি কে? আমি তো রনি নামের আমাদের কোনো এমপিকে চিনি না।’ এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রনী আমার পারফরম্যান্স নিয়েও কথা বলেছেন।’
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সাংসদ জানান, একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রনির শ্বশুর বিএনপি করেন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি এমপি হবেন। ওর চিন্তা কী! আর রনি চলে পার্থের (বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি—বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ) সঙ্গে।’ এ কথা বলে বৈঠকে উপস্থিত শেখ হেলাল উদ্দিনের দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পার্থর শ্বশুর বড় নেতা। খালাও নেতা।’
গোলাম মাওলা রনি দাবি করেন, এ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার যত বড় আত্মীয়ই হোক না কেন, যাঁরা আমার পরিবারের সঙ্গে বেইমানি করেছেন, তাঁদের ক্ষমা নেই।’
গত সোমবার ‘তৃতীয় মাত্রা’ অনুষ্ঠানে রনি দাবি করেন, দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার আগ্রহে চীনের এক লেকের পাড়ে শৌখিন দৌড় প্রতিযোগিতায় জিতে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব পেয়েছেন সৈয়দ আবুল হোসেন।
রনী আরও বলেন, ‘এটা ছিল প্রধানমন্ত্রীর একটা গিফট। উনার নিয়োগ নিয়ে নানা কথা হলেও আমরাই জানি আসল ঘটনা।’
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের লুই আই কানের মূল নকশা তুলে ধরেন। পরিবেশবাদীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সংসদ ভবনের ভেতরে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও দুই হুইপের জন্য চারটি ভবন নির্মাণের বিষয়টি মূল নকশায় থাকা সত্ত্বেও এটা নিয়ে পরিবেশবাদীরা সোচ্চার ছিলেন। অথচ সংসদ ভবনের পাশে শাহ আজিজ ও খান এ সবুরের কবর,্রজিয়ার সমাধি এবং যাতায়াতের জন্য নকশাবহির্ভূত সেতু নির্মাণ করা হলেও তা নিয়ে পরিবেশবাদীরা চুপ।
সূত্র্রজানায়, প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠকে যোগাযোগমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করেন সরকারদলীয় সাংসদেরা। ইসরাফিল আলম অবৈধ ভিওআইপি নিয়ে কথা বলেন।
বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, আবদুল মান্নান প্রমুখ।
রনীর সমালোচনা
টেলিভিশনের টক শোতে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় ‘দৌড় প্রতিযোগিতায়’ প্রথম হয়ে আবুল হোসেনের যোগাযোগমন্ত্রী হওয়া-সংক্রান্ত বক্তব্যের কারণে সাংসদ গোলাম মাওলা রনির সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের একজন জ্যেষ্ঠ সাংসদ।
সংসদীয় দলের বৈঠকে সাংসদ রনির উপস্থিতিতে এ সমালোচনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সাংসদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বৈঠকে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সাংসদ তোফায়েল আহমেদ বিষয়টি উত্থাপন করেন।
চ্যানেল আইতে প্রচারিত ‘তৃতীয় মাত্রা’য় পটুয়াখালীর এই সাংসদের বক্তব্য নিয়ে ফেসবুক ও ব্লগে ব্যাপক আলোচনা হয়।
প্রথম আলো অনলাইন সংস্করণে এ খবর দেখে গত রাতে গোলাম মাওলা প্রথম আলো কার্যালয়ে ফোন করে সংসদীয় দলের বৈঠকের বর্ণনা দেন।
গোলাম মাওলা বলেন, ‘তোফায়েল আহমেদ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, “আমাদের দলের অনেকে টক শোতে যান। তাঁরা হার্ডলি দলকে সাপোর্ট করে কথা বলেন। কিন্তু আমাদের এক ছোট ভাই আছেন, তিনি ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে এমনভাবে কথা বলেন, তাতে মন্ত্রীরা হাস্যরসের পাত্রে পরিণত হন।” এমনকি তিনি প্রধানমন্ত্রীর বাঁশির গল্পও বলেছেন।’
গোলাম মাওলা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, “কে টক শোতে বাঁশির গল্প বলেছে?” তখন আমি বলি, আমি বলেছি। তখন প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, “তুমি এই গল্প কার কাছে শুনেছ।” আমি বলি, অমুকের কাছে শুনেছি। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তুমি পুরোপুরি সঠিক শোনোনি। ওই দৌড় প্রতিযোগিতা লেকের পাড়ে নয়, হয়েছিল একটা স্পোর্টস স্কুলে। আর তাতে সম্ভবত সাবের প্রথম হয়েছিল। কিন্তু আমি তো সাবেরকে মন্ত্রী বানাইনি।” প্রধানমন্ত্রী হাসিমুখেই এসব কথা বলেন।’
গোলাম মাওলার বর্ণনা অনুযায়ী, এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘রনী আমাকে নিয়েও অনেক কথা বলেন। আমি কবিতা লিখি, শেয়ারবাজার ইত্যাদি নিয়ে। কিন্তু রনি কে? আমি তো রনি নামের আমাদের কোনো এমপিকে চিনি না।’ এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রনী আমার পারফরম্যান্স নিয়েও কথা বলেছেন।’
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সাংসদ জানান, একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রনির শ্বশুর বিএনপি করেন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি এমপি হবেন। ওর চিন্তা কী! আর রনি চলে পার্থের (বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি—বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ) সঙ্গে।’ এ কথা বলে বৈঠকে উপস্থিত শেখ হেলাল উদ্দিনের দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পার্থর শ্বশুর বড় নেতা। খালাও নেতা।’
গোলাম মাওলা রনি দাবি করেন, এ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার যত বড় আত্মীয়ই হোক না কেন, যাঁরা আমার পরিবারের সঙ্গে বেইমানি করেছেন, তাঁদের ক্ষমা নেই।’
গত সোমবার ‘তৃতীয় মাত্রা’ অনুষ্ঠানে রনি দাবি করেন, দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার আগ্রহে চীনের এক লেকের পাড়ে শৌখিন দৌড় প্রতিযোগিতায় জিতে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব পেয়েছেন সৈয়দ আবুল হোসেন।
রনী আরও বলেন, ‘এটা ছিল প্রধানমন্ত্রীর একটা গিফট। উনার নিয়োগ নিয়ে নানা কথা হলেও আমরাই জানি আসল ঘটনা।’
No comments