সালেহর 'দায়মুক্তি'র বিরোধিতায় নোবেল জয়ী কারমান

য়েমেনের প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহকে দায়মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সদ্য নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী তাওয়াক্কুল কারমান। ইয়েমেনি এই নারী সালেহকে 'যুদ্ধাপরাধী' আখ্যায়িত করেছেন।জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য রাষ্ট্র ও উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) ইয়েমেনে চলমান সহিংসতা নিরসনে নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করেছে। প্রস্তাবটি দ্রুত 'অনুমোদন ও বাস্তবায়নের' অহ্বান জানিয়েছে তারা। এটি পাস হলে সালেহ বিচারের মুখোমুখি হওয়া থেকে রেহাই পাবেন।


প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইয়েমেনে একটি সর্বদলীয় সরকার গঠনের লক্ষ্যে বিরোধীদল থেকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের আহ্বান জানাবেন সালেহ। এর ৩০ দিন পর পার্লামেন্টে সালেহ তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেবেন এবং উপরাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। তবে বিরোধীদের দাবি, নতুন সরকার গঠনের আগেই সালেহকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে।
জিসিসির প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, সালেহ তখনই ক্ষমতা ছাড়বেন, যখন পার্লামেন্ট সালেহ ও তাঁর সহযোগীদের 'দায়মুক্তি' দেওয়ার আইন পাস করবে। প্রস্তাবে সালেহ রাজি থাকলেও বিরোধী 'কমন ফ্রন্ট' প্রথমে জিসিসির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। পরে তারা ওই প্রস্তাব মেনে নেয়।
প্রস্তাবিত পরিকল্পনার 'দায়মুক্তি' অংশের বিরোধিতা করতে মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে যান কারমান। দপ্তরের বাইরে প্রায় ১৫০ ইয়েমেনির এক বিক্ষোভ সমাবেশে কারমান বলেন, 'সালেহ ও তাঁর পরিবারকে বিচার থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে তরুণদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন এটি।' তিনি বলেন, 'আমরা মনে করি না, নিরাপত্তা পরিষদ এমন কোনো প্রস্তাবের ফাঁদে পা দেবে, যা ইয়েমেনের ক্ষমতাসীনদের বিচার এড়াতে সহায়তা করবে।'
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এ প্রস্তাবের সমালোচনা করেছে। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের মুখপাত্র মার্টিন নেসির্কি এটি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
কারমান বলেন, 'মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের ওপর ভিত্তি করে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত। জাতিসংঘের উচিত হবে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রতি সমর্থন দেওয়া। আমরা বলতে চাই, সালেহ ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দুজনই অপরাধী এবং তাঁদের বিচার হওয়া উচিত।' সালেহর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত নিউ ইয়র্ক ছাড়বেন না বলেও জানান কারমান। সূত্র : রয়টার্স।

No comments

Powered by Blogger.