জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ

গন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খান পদত্যাগ করেছেন। শিবিরের কর্মকাণ্ডে সহায়তার অভিযোগে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছিল জবি শাখা ছাত্রলীগ। তবে তিনি অপপ্রচারের শিকার হয়েছেন বলে এক লিখিত বক্তব্যে দাবি করেছেন।জানা যায়, ফেসবুকের সূত্র ধরে গত মঙ্গলবার ছাত্রলীগকর্মীরা দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় সেমিস্টারের সফিকুল ইসলাম নামের এক শিবির ক্যাডারকে বিশ্ববিদ্যালয় সাইবার সেন্টারে আটক করেন। পরে তাঁকে তল্লাশি চালিয়ে শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ কর্ম পরিকল্পনার কাগজপত্র পাওয়া যায়।


ফেসবুকে তাঁর পাতায় 'খুনি হাসিনার বিচার চাই' প্রধানমন্ত্রীকে ব্যঙ্গ করে এ রকম বিভিন্ন কটূক্তিমূলক লেখা পাওয়া যায়। আটকের পর তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিসে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে একপর্যায়ে তিনি সহকারী প্রক্টর মনিরুজ্জামানের ভাগ্নে বলে পরিচয় দেন। ভর্তির সময় মনিরুজ্জামান অবৈধভাবে সহযোগিতা করেছেন বলে সফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অশোক কুমার সাহার কাছে স্বীকার করেন। ওই শিবির ক্যাডার আটক হওয়ার পরই সহকারী প্রক্টর মনিরুজ্জামান তাঁকে ছাড়িয়ে আনতে তদবির শুরু করেন। এ নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসে তাঁর পদত্যাগের জন্য ওই দিন বিক্ষোভ মিছিল করেন। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা মনিরুজ্জামানকে খুঁজে না পেয়ে ওই বিভাগের সামনে ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় ওই দিন বিকেলেই মনিরুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কাছে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
তবে সহকারী অধ্যাপক মনিরুজ্জামান খান কালের কণ্ঠের কাছে এক বার্তায় তাঁর জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি একটি ক্রিয়াশীল সংগঠনের (ছাত্রলীগ) অপপ্রচার দাবি করে বলেন, 'ওই সংগঠনটির অবৈধ কাজে বাধা দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে আমার অনুপস্থিতিতে বিভাগে ভাঙচুর চালায়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমি গত ১৮ অক্টোবর অপরাহ্নে সহকারী প্রক্টর পদ থেকে পদত্যাগ করি।'
জবি ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম আকন্দ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আজকের (বুধবার) পত্রপত্রিকার খবরই প্রমাণ করে মনিরুজ্জামান কোন পন্থী লোক। বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক মেসবাহউদ্দিন আহমেদ পদত্যাগপত্র পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, 'পদত্যাগপত্র পেয়েছি। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।'

No comments

Powered by Blogger.