যুক্তরাষ্ট্রকে কায়ানির হুঁশিয়ারি-পাকিস্তানে অভিযান চালানোর আগে ১০ বার ভাবতে হবে
সীমান্তে জঙ্গি গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য পাকিস্তানকে চাপ না দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতার দিকে মনোযোগ দেওয়া। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আশফাক পারভেজ কায়ানি যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, উত্তর ওয়াজিরিস্তানে কখন, কিভাবে অভিযান চালানো হবে তার সিদ্ধান্ত পাকিস্তানই নেবে। পাকিস্তানে একতরফা অভিযান চালানোর আগে যুক্তরাষ্ট্রকে অন্তত ১০ বার ভেবে দেখা উচিত।
কায়ান এমন একসময় এসব মন্তব্য করলেন, যখন তাঁদের সীমান্তবর্তী এলাকায় ন্যাটো ও আফগান সেনারা আল-কায়েদা-সংশ্লিষ্ট হাক্কানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।
কায়ান এমন একসময় এসব মন্তব্য করলেন, যখন তাঁদের সীমান্তবর্তী এলাকায় ন্যাটো ও আফগান সেনারা আল-কায়েদা-সংশ্লিষ্ট হাক্কানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।
সম্প্রতি কাবুলে মার্কিন দূতাবাসের সামনে চালানো হামলার সঙ্গে এই গ্রুপটি জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।জেনারেল কায়ানি গত মঙ্গলবার পার্লামেন্টের প্রতিরক্ষাবিষয়ক কমিটিকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি পাকিস্তানকে ইরাক বা আফগানিস্তান ভাবে তাহলে ভুল করবে। পাকিস্তানে একতরফা হামলা চালানোর আগে যুক্তরাষ্ট্রকে ১০ বার ভেবে দেখতে হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিটির এক সদস্য কায়ানির বরাত দিয়ে জানান, উত্তর ওয়াজিরিস্তানে যেকোনো অভিযানই খুব ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। ইসলামাবাদের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ওই বৈঠকে কায়ানি আরো বলেন, 'সংকটের মূল আফগানিস্তানে প্রথিত, পাকিস্তানে নয়।'
ওয়াশিংটন বেশ কিছু দিন থেকেই উত্তর ওয়াজিরিস্তানে সক্রিয় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইসলাবাদের ওপর চাপ দিয়ে আসছে। বিষয়টি নিয়ে আগ্রহী নয় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। 'চলমান সামরিক অভিযান' এবং 'প্রতিরক্ষা বাজেটসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে' আলোচনার জন্য আয়োজিত বৈঠকে এক প্রশ্নের জবাবে কায়ানি বলেন, 'কেউ যদি নিশ্চয়তা দেয়, উত্তর ওয়াজিরিস্তানে অভিযান চালালেই সব সংকট কেটে যাবে_তাহলে কালই আমি সেখানে অভিযান চালাব। তবে বিষয়টি তেমন নয়। আমরা সিদ্ধান্ত নেব আমাদের সময় ও সাধ্য অনুসারে।'
গত মে মাসে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন অভিযানে আল-কায়েদা প্রধান লাদেন নিহত হওয়ার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন বেড়েছে। কায়ানির মন্তব্য সম্পর্কের উত্তেজনা আরো বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিকে আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবদুল রাহিম ওয়ারদাক জানিয়েছেন, পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে আফগান ও ন্যাটো বাহিনী। ওই এলাকায় মার্কিন হেলিকপ্টার গানশিপ, ভারি গোলাবারুদ এবং আফগান ও মার্কিন কয়েক শ সেনার বহর দেখা গেছে। ওয়ারদাক গতকাল বুধবার বলেন, দুই দিন আগে 'নাইফ এইজ' নামের এই অভিযান শুরু হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, মূলত হাক্কানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধেই এই অভিযান চালানো হচ্ছে। এই সেনা সমাবেশ নিয়ে নানামুখী আশঙ্কার গুজব থাকলেও ইসলামাবাদ ও কাবুলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সমন্বিত অভিযানেরই একটি অংশ এটি। অভিযানের বিষয়টি পাকিস্তানকে আগেই জানানো হয়েছে।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক চিফস অব স্টাফ অ্যাডমিরাল মাইক মুলেন অভিযোগ করেন, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের সঙ্গে হাক্কানি নেটওয়ার্কের সম্পর্ক রয়েছে। ওই সময় থেকেই হাক্কানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য পাকিস্তানের ওপর চাপ দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও পাকিস্তান অভিযোগের ব্যাপারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে অভিযানের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে। সূত্র : এএফপি, দ্য টেলিগ্রাফ।
ওয়াশিংটন বেশ কিছু দিন থেকেই উত্তর ওয়াজিরিস্তানে সক্রিয় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইসলাবাদের ওপর চাপ দিয়ে আসছে। বিষয়টি নিয়ে আগ্রহী নয় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। 'চলমান সামরিক অভিযান' এবং 'প্রতিরক্ষা বাজেটসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে' আলোচনার জন্য আয়োজিত বৈঠকে এক প্রশ্নের জবাবে কায়ানি বলেন, 'কেউ যদি নিশ্চয়তা দেয়, উত্তর ওয়াজিরিস্তানে অভিযান চালালেই সব সংকট কেটে যাবে_তাহলে কালই আমি সেখানে অভিযান চালাব। তবে বিষয়টি তেমন নয়। আমরা সিদ্ধান্ত নেব আমাদের সময় ও সাধ্য অনুসারে।'
গত মে মাসে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন অভিযানে আল-কায়েদা প্রধান লাদেন নিহত হওয়ার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন বেড়েছে। কায়ানির মন্তব্য সম্পর্কের উত্তেজনা আরো বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিকে আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবদুল রাহিম ওয়ারদাক জানিয়েছেন, পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে আফগান ও ন্যাটো বাহিনী। ওই এলাকায় মার্কিন হেলিকপ্টার গানশিপ, ভারি গোলাবারুদ এবং আফগান ও মার্কিন কয়েক শ সেনার বহর দেখা গেছে। ওয়ারদাক গতকাল বুধবার বলেন, দুই দিন আগে 'নাইফ এইজ' নামের এই অভিযান শুরু হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, মূলত হাক্কানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধেই এই অভিযান চালানো হচ্ছে। এই সেনা সমাবেশ নিয়ে নানামুখী আশঙ্কার গুজব থাকলেও ইসলামাবাদ ও কাবুলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সমন্বিত অভিযানেরই একটি অংশ এটি। অভিযানের বিষয়টি পাকিস্তানকে আগেই জানানো হয়েছে।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক চিফস অব স্টাফ অ্যাডমিরাল মাইক মুলেন অভিযোগ করেন, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের সঙ্গে হাক্কানি নেটওয়ার্কের সম্পর্ক রয়েছে। ওই সময় থেকেই হাক্কানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য পাকিস্তানের ওপর চাপ দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও পাকিস্তান অভিযোগের ব্যাপারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে অভিযানের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে। সূত্র : এএফপি, দ্য টেলিগ্রাফ।
No comments