পাবনায় এজেন্ট খুন-হজযাত্রীদের বিক্ষোভ, রাজেমের অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ
পাবনার স্কুলশিক্ষক ও হজ এজেন্ট সেলিম হত্যার ঘটনায় তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার রাজেম উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেল পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে রাজেমের ব্যাংক হিসাব (অ্যাকাউন্ট) জব্দ করার জন্য বিভিন্ন ব্যাংকের স্থানীয় সব শাখায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। এদিকে সেলিম হত্যার প্রতিবাদে এবং সুষ্ঠুভাবে হজযাত্রার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে ৮৯ জন হজযাত্রী গতকাল বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন।
জেলার আটঘরিয়া উপজেলার কোমর শাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও আটঘরিয়া বিএমকে উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুল মজিদ সেলিম সোমবার রাতের কোনো এক সময় খুন হন। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ সেলিমের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সেলিমের বড় ভাই আবদুস সালাম বাবুল বাদী হয়ে রাজেম, তাঁর গাড়িচালক পিন্টু ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী হালিমের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
শিক্ষকতার পাশাপাশি হজ এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন সেলিম। তাঁর মাধ্যমে এ বছর ৮৯ জন হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনের জন্য টাকা জমা দেন। এই টাকা সেলিম তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার শহরের মোটরসাইকেল ব্যবসায়ী ও রায়হান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী রাজেমউদ্দিনের কাছে জমা রাখেন। এই টাকার কারণেই সেলিম খুন হন বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েতউদ্দিন জানান, সেলিম টাকার লেনদেন করতেন রাজেমের মাধ্যমে। বিপুল অর্থ আত্মসাতের জন্য সেলিমকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে রাজেম পলাতক রয়েছেন। তাঁর গ্রামের এবং শহরের বাড়িতে পুলিশ কয়েকবার অভিযান চালিয়েও কাউকে পায়নি। ওসি আরো জানান, রাজেমের ব্যক্তিগত ও তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করার জন্য পাবনায় সব ব্যাংকের শাখাকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সোমবার দুপুরে আটঘরিয়া বাজারের একটি দোকান থেকে সেলিম টাকাভার্তি ব্যাগসহ রাজেমের প্রাইভেট কারে ওঠেন। সেখান থেকে রাজেমের সঙ্গে সেলিম পাবনা শহরের রায়হান মোটর্সে যান। রায়হান মোটর্সে তাঁরা রাত ৮টা পর্যন্ত ছিলেন বলে অনেকেই তাঁদের জানিয়েছেন। এরপর থেকে সেলিমের স্ত্রী হাসিনা খাতুন সেলিমের মোবাইল ফোনে ফোন করে তা বন্ধ পান। রাত ১২টা পর্যন্ত সেলিমের সন্ধান না পেয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরা রাজেমকে ফোন করে সেলিমের অবস্থান জানতে চাইলে রাজেম জানান, কাল সকালের মধ্যে পেয়ে যাবেন। পরদিন মঙ্গলবার সকালে পুলিশ টেবুনিয়া সিড গোডাউন এলাকা থেকে সেলিমের লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে সেলিম হত্যার ঘটনায় বিপাকে পড়া ৮৯ হজযাত্রী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা গতকাল আটঘরিয়া বাজার এলাকায় বিক্ষোভ করেন। বেলা ৩টার দিকে ভুক্তভোগী হজযাত্রীরা পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন। ভুক্তভোগী যাত্রীদের মধ্যে আবদুর রশিদ, রফিকুল ইসলাম, আবদুল বাতেনসহ অন্যরা বলেন, তাঁরা সেলিম হত্যাকাণ্ডের বিচার চান। কিন্তু সবার আগে হজযাত্রার ব্যবস্থা করতে হবে। এরপর ভুক্তভোগী যাত্রীরা পাবনার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করে একটি আবেদনপত্র জমা দেন।
পাবনার জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, হজযাত্রীদের আবেদনপত্রটি ফ্যাঙ্যোগে ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
হজ এজেন্ট সেলিম হজযাত্রীদের পাঠাতেন ট্রাভেল এজেন্সি দি বরিশাল ট্রাভেলস এন্ড টুরসের মাধ্যমে। এই ট্রাভেল এজেন্সির কর্মকর্তা কামরুজ্জামান কামরুল জানান, ভুক্তভোগী হজযাত্রীদের কিভাবে হজে পাঠানো যায় তার ব্যবস্থা করতে তাঁরা ধর্ম মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করছেন। তবে কী ব্যবস্থা হচ্ছে তা গতকাল বিকেল পর্যন্ত জানা যায়নি।
শিক্ষকতার পাশাপাশি হজ এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন সেলিম। তাঁর মাধ্যমে এ বছর ৮৯ জন হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনের জন্য টাকা জমা দেন। এই টাকা সেলিম তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার শহরের মোটরসাইকেল ব্যবসায়ী ও রায়হান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী রাজেমউদ্দিনের কাছে জমা রাখেন। এই টাকার কারণেই সেলিম খুন হন বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েতউদ্দিন জানান, সেলিম টাকার লেনদেন করতেন রাজেমের মাধ্যমে। বিপুল অর্থ আত্মসাতের জন্য সেলিমকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে রাজেম পলাতক রয়েছেন। তাঁর গ্রামের এবং শহরের বাড়িতে পুলিশ কয়েকবার অভিযান চালিয়েও কাউকে পায়নি। ওসি আরো জানান, রাজেমের ব্যক্তিগত ও তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করার জন্য পাবনায় সব ব্যাংকের শাখাকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সোমবার দুপুরে আটঘরিয়া বাজারের একটি দোকান থেকে সেলিম টাকাভার্তি ব্যাগসহ রাজেমের প্রাইভেট কারে ওঠেন। সেখান থেকে রাজেমের সঙ্গে সেলিম পাবনা শহরের রায়হান মোটর্সে যান। রায়হান মোটর্সে তাঁরা রাত ৮টা পর্যন্ত ছিলেন বলে অনেকেই তাঁদের জানিয়েছেন। এরপর থেকে সেলিমের স্ত্রী হাসিনা খাতুন সেলিমের মোবাইল ফোনে ফোন করে তা বন্ধ পান। রাত ১২টা পর্যন্ত সেলিমের সন্ধান না পেয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরা রাজেমকে ফোন করে সেলিমের অবস্থান জানতে চাইলে রাজেম জানান, কাল সকালের মধ্যে পেয়ে যাবেন। পরদিন মঙ্গলবার সকালে পুলিশ টেবুনিয়া সিড গোডাউন এলাকা থেকে সেলিমের লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে সেলিম হত্যার ঘটনায় বিপাকে পড়া ৮৯ হজযাত্রী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা গতকাল আটঘরিয়া বাজার এলাকায় বিক্ষোভ করেন। বেলা ৩টার দিকে ভুক্তভোগী হজযাত্রীরা পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন। ভুক্তভোগী যাত্রীদের মধ্যে আবদুর রশিদ, রফিকুল ইসলাম, আবদুল বাতেনসহ অন্যরা বলেন, তাঁরা সেলিম হত্যাকাণ্ডের বিচার চান। কিন্তু সবার আগে হজযাত্রার ব্যবস্থা করতে হবে। এরপর ভুক্তভোগী যাত্রীরা পাবনার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করে একটি আবেদনপত্র জমা দেন।
পাবনার জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, হজযাত্রীদের আবেদনপত্রটি ফ্যাঙ্যোগে ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
হজ এজেন্ট সেলিম হজযাত্রীদের পাঠাতেন ট্রাভেল এজেন্সি দি বরিশাল ট্রাভেলস এন্ড টুরসের মাধ্যমে। এই ট্রাভেল এজেন্সির কর্মকর্তা কামরুজ্জামান কামরুল জানান, ভুক্তভোগী হজযাত্রীদের কিভাবে হজে পাঠানো যায় তার ব্যবস্থা করতে তাঁরা ধর্ম মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করছেন। তবে কী ব্যবস্থা হচ্ছে তা গতকাল বিকেল পর্যন্ত জানা যায়নি।
No comments