সন্ত্রাসীরা যখন ভোটপ্রার্থী-আইনের ফাঁকফোকর বন্ধ করুন
নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতাসংবলিত বিদ্যমান আইনের খোলনলচে বদলানোর সময় এসেছে। নারায়ণগঞ্জের আসন্ন নির্বাচনে নানা ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আসামি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এটা নিন্দনীয়।
আওয়ামী লীগের সমর্থন রয়েছে যে প্রার্থীর প্রতি, তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলাসহ ১৭টি মামলা রয়েছে। বিএনপি-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থীর বিরুদ্ধেও রয়েছে ১১টি মামলা। এখন আবার জানা যাচ্ছে, কাউন্সিলর পদে আড়াই শ প্রার্থীর মধ্যে শতাধিক প্রার্থী বিভিন্ন মামলার আসামি। অন্তত ২০ জনের বিরুদ্ধে আগে খুনের মামলা ছিল, আর এখনো সাতজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা চলমান।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমাদের আইনপ্রণেতারা মুখে ফেনা তুললেও প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারকে তাঁরা ভোঁতা করে রাখছেন। যাঁরা নির্বাচনে প্রার্থী হন, ধরে নেওয়া যায় তাঁরা স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয়ই থাকেন। অনেক সময় তাঁরা মিথ্যা মামলার আসামিও হতে পারেন। কিন্তু যেসব ব্যক্তি একাধিক খুন, ধর্ষণের মতো গুরুতর ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হন, এমনকি চার্জশিটভুক্ত থাকেন, তাঁরা কী করে নির্বাচনে নির্দ্বিধায় প্রার্থী হতে পারেন, সেটা বড় প্রশ্ন। কিন্তু আইনের ভয়ংকর দিক হচ্ছে, খুনের মামলার দণ্ডিত আসামিও শুধু আপিল করার জোরে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন। কোনো ব্যক্তি চূড়ান্তভাবে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত তাঁকে নির্দোষ ধরে নেওয়ার যে সর্বজনীন সংজ্ঞা রয়েছে, তা থেকে বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্র নিশ্চয়ই বেরিয়ে আসতে পারে না। কিন্তু রাজনীতিবিদেরা যদি নির্বাচনী সংস্কৃতির উন্নতি চান, তাহলে নির্বাচনী আইনে প্রার্থীর যোগ্যতাসূচকে অবশ্যই পরিবর্তন আনতে হবে।
ভারতীয় নির্বাচনের আইনে এটা স্পষ্টভাবে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত ব্যক্তি শুধু আপিল করলেই প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন না, তাঁকে অবশ্যই আদালত থেকে চূড়ান্তভাবে নির্দোষ প্রমাণিত হতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশের বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্ন। খুন, মারামারি, চাঁদাবাজির অভিযোগে ডজন খানেক মামলার আসামি এক প্রার্থীও নির্বিকারচিত্তে প্রথম আলোকে বলেছেন, তিনি জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ছিলেন, তাই তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেওয়া হয়েছে। দলীয়করণ, অদক্ষতা ও দুর্নীতির কারণে ইতিমধ্যেই পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আছে। আইনপ্রণেতাদের এ কথা মনে রেখেও এমন একটি আইনি পরিবর্তন নিশ্চিত করতে হবে, যাতে সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজেরা পেশিশক্তির জোরে জনগণের রায় চাইতে না পারে।
নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনে কথিত শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত ২৫ প্রার্থী যেভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছেন, তাতে জনগণের কাছে তা কোনো শান্তির বার্তা পৌঁছায় না। আইনপ্রণেতাদের অবশ্যই রিটার্নিং কর্মকর্তাদের আকুতি শুনতে হবে। সন্ত্রাসী বিবেচনায় মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেওয়ার পর তাঁরা সহজেই আদালতের কাছ থেকে অনুমতিপত্র আনতে পারেন। এই অচলাবস্থার অর্গল ভাঙতে হলে আইনের ফাঁকফোকর বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে প্রার্থী সমর্থন দেওয়ার ক্ষেত্রে দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন নীতি অনুসরণ করতে হবে।
আওয়ামী লীগের সমর্থন রয়েছে যে প্রার্থীর প্রতি, তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলাসহ ১৭টি মামলা রয়েছে। বিএনপি-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থীর বিরুদ্ধেও রয়েছে ১১টি মামলা। এখন আবার জানা যাচ্ছে, কাউন্সিলর পদে আড়াই শ প্রার্থীর মধ্যে শতাধিক প্রার্থী বিভিন্ন মামলার আসামি। অন্তত ২০ জনের বিরুদ্ধে আগে খুনের মামলা ছিল, আর এখনো সাতজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা চলমান।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমাদের আইনপ্রণেতারা মুখে ফেনা তুললেও প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারকে তাঁরা ভোঁতা করে রাখছেন। যাঁরা নির্বাচনে প্রার্থী হন, ধরে নেওয়া যায় তাঁরা স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয়ই থাকেন। অনেক সময় তাঁরা মিথ্যা মামলার আসামিও হতে পারেন। কিন্তু যেসব ব্যক্তি একাধিক খুন, ধর্ষণের মতো গুরুতর ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হন, এমনকি চার্জশিটভুক্ত থাকেন, তাঁরা কী করে নির্বাচনে নির্দ্বিধায় প্রার্থী হতে পারেন, সেটা বড় প্রশ্ন। কিন্তু আইনের ভয়ংকর দিক হচ্ছে, খুনের মামলার দণ্ডিত আসামিও শুধু আপিল করার জোরে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন। কোনো ব্যক্তি চূড়ান্তভাবে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত তাঁকে নির্দোষ ধরে নেওয়ার যে সর্বজনীন সংজ্ঞা রয়েছে, তা থেকে বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্র নিশ্চয়ই বেরিয়ে আসতে পারে না। কিন্তু রাজনীতিবিদেরা যদি নির্বাচনী সংস্কৃতির উন্নতি চান, তাহলে নির্বাচনী আইনে প্রার্থীর যোগ্যতাসূচকে অবশ্যই পরিবর্তন আনতে হবে।
ভারতীয় নির্বাচনের আইনে এটা স্পষ্টভাবে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত ব্যক্তি শুধু আপিল করলেই প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন না, তাঁকে অবশ্যই আদালত থেকে চূড়ান্তভাবে নির্দোষ প্রমাণিত হতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশের বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্ন। খুন, মারামারি, চাঁদাবাজির অভিযোগে ডজন খানেক মামলার আসামি এক প্রার্থীও নির্বিকারচিত্তে প্রথম আলোকে বলেছেন, তিনি জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ছিলেন, তাই তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেওয়া হয়েছে। দলীয়করণ, অদক্ষতা ও দুর্নীতির কারণে ইতিমধ্যেই পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আছে। আইনপ্রণেতাদের এ কথা মনে রেখেও এমন একটি আইনি পরিবর্তন নিশ্চিত করতে হবে, যাতে সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজেরা পেশিশক্তির জোরে জনগণের রায় চাইতে না পারে।
নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনে কথিত শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত ২৫ প্রার্থী যেভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছেন, তাতে জনগণের কাছে তা কোনো শান্তির বার্তা পৌঁছায় না। আইনপ্রণেতাদের অবশ্যই রিটার্নিং কর্মকর্তাদের আকুতি শুনতে হবে। সন্ত্রাসী বিবেচনায় মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেওয়ার পর তাঁরা সহজেই আদালতের কাছ থেকে অনুমতিপত্র আনতে পারেন। এই অচলাবস্থার অর্গল ভাঙতে হলে আইনের ফাঁকফোকর বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে প্রার্থী সমর্থন দেওয়ার ক্ষেত্রে দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন নীতি অনুসরণ করতে হবে।
No comments