রংপুরে কোরবানির পশুর হাট-গরুর দাম বেজায় চড়া by ইকবাল হোসেন,
কোরবানি ঈদের প্রস্তুতি পর্বে রংপুরে এখন হাট পরখ করে গরুর দাম যাচাই করছেন ক্রেতারা। গ্রামীণ জনপদে আলু আবাদের মৌসুমে কোরবানির ঈদ এসে পড়ায় ঈদের আমেজে টান ধরেছে। এবার কোরবানির গরুর দাম বেজায় চড়া। কোরবানির ঈদের বাকি দু'সপ্তাহের বেশি। এখনও রংপুরের কোরবানির হাটগুলো তেমন একটা জমে ওঠেনি। হাটগুলোতে গরুর সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও ক্রেতা তেমন একটা নেই। তাই বেচাকেনা হচ্ছে খুব কম। ক্রেতারা বলছেন, কোরবানির গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে গত বছরের চেয়ে বেশি। রংপুর অঞ্চলে গরুর হাটের সংখ্যা প্রায় ৯৭টি। এসব হাটে স্বাভাবিকভাবে যে পরিমাণ গরু আমদানি হয় এখন তার চেয়ে বেড়েছে। সে অনুপাতে ক্রেতার সংখ্যা এখনও বাড়েনি।
কারণ হিসেবে জানা গেছে, অনেকে আগেভাগে কোরবানির গরু কিনতে চান কিছু কম দামে; কিন্তু এবার দাম বেশি হওয়ায় এখনও গরু কেনা শুরু করেননি ক্রেতারা। অন্যদিকে পশু মালিকরা বেশি দাম পাওয়ার আশায় অস্বাভাবিক দাম চেয়ে বসছেন। তাদের মতে, সামনে আরও অনেক হাট পাওয়া যাবে, সে সময় প্রয়োজনে দাম কিছু কমিয়ে সেসব বিক্রি করা হবে। বিক্রেতাদের কেউ কেউ মনে করেন, ঈদের আগে পশুর দাম কমে যাবে।
রংপুরের বড় বড় পশুর হাট হচ্ছে_ তারাগঞ্জ, পাগলাপীর, বড়াইবাড়ি, লালবাগ, বুড়িরহাট, চৌধুরানির হাট, নজিরের হাট, পাওটানা, কান্দির, সৈয়দপুর, দেউতি, মিঠাপুকুর, বৈরাতি, জায়গির হাট, শঠিবাড়ি, বালুয়াহাট, মাদারগঞ্জ ও ভেণ্ডাবাড়ি হাট। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওইসব হাটে গত বছর ঈদের সময় যে গরু ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে এবার ওই একই ধরনের গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে ৩০-৩৫ হাজার টাকা। একইভাবে গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ দাম চাওয়া হচ্ছে ছাগলেরও। এবার ছাগলের চাহিদা অনেক বেশি।
রংপুরের দেউতি ও লালবাগ হাট ঘুরে দেখা গেছে, ওই হাটে কোরবানির গরুর আমদানি প্রচুর, অন্যান্য হাটবারের তুলনায় অনেক বেশি গরু উঠেছে। জেলার পীরগাছা উপজেলার পারুল এলাকার গরু বিক্রেতা খোরশেদ আলম জানান, তিনি গরু বিক্রি করে আলু রোপণ করবেন; কিন্তু ক্রেতা তেমন নেই। এ ছাড়া কথা হয় রফিকুল, দুলাল, কাশেমসহ কয়েক গরু বিক্রেতার সঙ্গে। তারা সবাই ছোট কৃষক। ঈদে বেশি দাম পাওয়া যাবে_ এ আশায় তারা গরুগুলো লালন-পালন করেছেন। তবে সবার উদ্দেশ্য হলো, ওইসব গরু বিক্রি করে আলু ও বোরো আবাদের ব্যয় মেটানো। এ ছাড়া ঈদকে সামনে রেখে এ অঞ্চলের কেউ কেউ আগে থেকেই গরু পুষেছেন বেশি লাভের আশায়। এ ধরনের একজন হচ্ছেন রংপুর সদরের কাইদাহারা গ্রামের ওসমান গনি। তিনি লালবাগ হাটে তিনটি গরু নিয়ে এসেছেন। একেকটির দাম হাঁকছেন ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। কিন্তু এসব গরু কেনার এখনও ক্রেতা আসেনি। গরু ব্যবসায়ী রোস্তম ও জয়নাল জানান, হাটে গরু আমদানি বাড়লেও বেচাকেনা শুরু হয়নি।
তবে তারা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম বেশি। একইভাবে খাসির দামও দ্বিগুণ। এ হাটে দাম দেখে গেলাম। তবে এ দাম কিছুটা কমবে শেষের হাটগুলোতে বলে তারা জানান। আরেক গরু ব্যবসায়ী কিসমত জানান, তিনি ১০টি গরু নিয়ে এসেছেন, একটিও বিক্রি করতে পারেননি। যেসব ক্রেতা আসছেন তারা দাম বলছেন অনেক কম।
রংপুরের বড় বড় পশুর হাট হচ্ছে_ তারাগঞ্জ, পাগলাপীর, বড়াইবাড়ি, লালবাগ, বুড়িরহাট, চৌধুরানির হাট, নজিরের হাট, পাওটানা, কান্দির, সৈয়দপুর, দেউতি, মিঠাপুকুর, বৈরাতি, জায়গির হাট, শঠিবাড়ি, বালুয়াহাট, মাদারগঞ্জ ও ভেণ্ডাবাড়ি হাট। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওইসব হাটে গত বছর ঈদের সময় যে গরু ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে এবার ওই একই ধরনের গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে ৩০-৩৫ হাজার টাকা। একইভাবে গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ দাম চাওয়া হচ্ছে ছাগলেরও। এবার ছাগলের চাহিদা অনেক বেশি।
রংপুরের দেউতি ও লালবাগ হাট ঘুরে দেখা গেছে, ওই হাটে কোরবানির গরুর আমদানি প্রচুর, অন্যান্য হাটবারের তুলনায় অনেক বেশি গরু উঠেছে। জেলার পীরগাছা উপজেলার পারুল এলাকার গরু বিক্রেতা খোরশেদ আলম জানান, তিনি গরু বিক্রি করে আলু রোপণ করবেন; কিন্তু ক্রেতা তেমন নেই। এ ছাড়া কথা হয় রফিকুল, দুলাল, কাশেমসহ কয়েক গরু বিক্রেতার সঙ্গে। তারা সবাই ছোট কৃষক। ঈদে বেশি দাম পাওয়া যাবে_ এ আশায় তারা গরুগুলো লালন-পালন করেছেন। তবে সবার উদ্দেশ্য হলো, ওইসব গরু বিক্রি করে আলু ও বোরো আবাদের ব্যয় মেটানো। এ ছাড়া ঈদকে সামনে রেখে এ অঞ্চলের কেউ কেউ আগে থেকেই গরু পুষেছেন বেশি লাভের আশায়। এ ধরনের একজন হচ্ছেন রংপুর সদরের কাইদাহারা গ্রামের ওসমান গনি। তিনি লালবাগ হাটে তিনটি গরু নিয়ে এসেছেন। একেকটির দাম হাঁকছেন ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। কিন্তু এসব গরু কেনার এখনও ক্রেতা আসেনি। গরু ব্যবসায়ী রোস্তম ও জয়নাল জানান, হাটে গরু আমদানি বাড়লেও বেচাকেনা শুরু হয়নি।
তবে তারা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম বেশি। একইভাবে খাসির দামও দ্বিগুণ। এ হাটে দাম দেখে গেলাম। তবে এ দাম কিছুটা কমবে শেষের হাটগুলোতে বলে তারা জানান। আরেক গরু ব্যবসায়ী কিসমত জানান, তিনি ১০টি গরু নিয়ে এসেছেন, একটিও বিক্রি করতে পারেননি। যেসব ক্রেতা আসছেন তারা দাম বলছেন অনেক কম।
No comments