ইলিশ-কেজি ১০০ টাকা, তবে.. by মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম,
মাছ বিক্রেতা আবদুস ছবুর ক্রেতা আকৃষ্ট করার জন্য চিৎকার করে অনেক কথা বলছিলেন। সংক্ষেপ করলে সেটা এ রকম দাঁড়ায়_'ইলিশ খাওয়ার ইচ্ছা পূরণ করতে হলে আসুন। এই সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। মাত্র ১০০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে ইলিশ।'গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাটে মাছ বিক্রি করছিলেন ছবুর। তাঁর দোকানে গিয়ে দেখা যায়, কম দামে ইলিশ পেয়ে মহাখুশি ক্রেতারা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাতকানিয়া-লোহাগাড়া উপজেলা ছাড়াও বিভিন্ন হাটবাজারে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে।
জানা যায়, পচন ধরে নরম হয়ে যাওয়া ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কম দামে। বিক্রেতারা বলছেন, এসব ইলিশ ধরা হয়েছিল নিষেধাজ্ঞার সময়। কড়াকড়ির কারণে তখন বিক্রি করতে পারেননি আড়তদাররা।
ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে গত ৬ থেকে ১৬ অক্টোবর মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। ওই সময় সারা দেশে ইলিশ মজুদ ও বাজারজাত বন্ধ ছিল।
ব্যবসায়ীরা এই প্রতিবেদককে জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কঙ্বাজার উপকূলের অনেক জেলে সাগরে ইলিশ শিকার করেছেন। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর এসব মাছ বাজারে আনা হয়েছে। এরই মধ্যে মাছে পচন ধরে গেছে। ফলে কম দামে বিক্রি করা ছাড়া উপায় নেই। সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রচুর ইলিশ বাজারে। প্রায় সব মাছের পেটেই ডিম রয়েছে। আকার ও মানভেদে এসব ইলিশ ১০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
লোহাগাড়ার পদুয়ার বাজারের মাছ ব্যবসায়ী কালাম জানান, তাঁদের কিছু করার নেই। তাঁরা আড়তদারদের কাছ থেকে পাইকারি দামে কিনে খুচরা বাজারে বিক্রি করছেন।
কেরানীহাটের মাছ ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন জানান, এই ইলিশ খাওয়ার অনুপযোগী। জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে এগুলো সংরক্ষণ করা হয়েছিল। ক্রেতারা না বুঝে এসব মাছ কিনে খাচ্ছে। জামাল জানান, তাঁরা ভালো মানের ইলিশ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন।
কেরানীহাট থেকে ইলিশ কিনেছেন আবুল হাশেম ও রমিজ উদ্দিন। তাঁরা বলেন, ইলিশের যে দাম, তাতে কিনে খাওয়ার সাধ্য তাঁদের নেই। কম দামে পেয়েছেন বলেই ইলিশের স্বাদ নেওয়ার সুযোগ হয়েছে। মান একটু খারাপ হলেও সমস্যা নেই।
ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে গত ৬ থেকে ১৬ অক্টোবর মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। ওই সময় সারা দেশে ইলিশ মজুদ ও বাজারজাত বন্ধ ছিল।
ব্যবসায়ীরা এই প্রতিবেদককে জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কঙ্বাজার উপকূলের অনেক জেলে সাগরে ইলিশ শিকার করেছেন। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর এসব মাছ বাজারে আনা হয়েছে। এরই মধ্যে মাছে পচন ধরে গেছে। ফলে কম দামে বিক্রি করা ছাড়া উপায় নেই। সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রচুর ইলিশ বাজারে। প্রায় সব মাছের পেটেই ডিম রয়েছে। আকার ও মানভেদে এসব ইলিশ ১০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
লোহাগাড়ার পদুয়ার বাজারের মাছ ব্যবসায়ী কালাম জানান, তাঁদের কিছু করার নেই। তাঁরা আড়তদারদের কাছ থেকে পাইকারি দামে কিনে খুচরা বাজারে বিক্রি করছেন।
কেরানীহাটের মাছ ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন জানান, এই ইলিশ খাওয়ার অনুপযোগী। জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে এগুলো সংরক্ষণ করা হয়েছিল। ক্রেতারা না বুঝে এসব মাছ কিনে খাচ্ছে। জামাল জানান, তাঁরা ভালো মানের ইলিশ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন।
কেরানীহাট থেকে ইলিশ কিনেছেন আবুল হাশেম ও রমিজ উদ্দিন। তাঁরা বলেন, ইলিশের যে দাম, তাতে কিনে খাওয়ার সাধ্য তাঁদের নেই। কম দামে পেয়েছেন বলেই ইলিশের স্বাদ নেওয়ার সুযোগ হয়েছে। মান একটু খারাপ হলেও সমস্যা নেই।
No comments