কাপ্তাইয়ে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে দুজন গ্রেপ্তার
কাপ্তাই কর্ণফুলী পেপার মিল আবাসিক এলাকায় কেআরসি উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই স্কুলের অফিস সহকারী উথুয়াই চিং মারমা (৪৪) ও দপ্তরি শিবু মলি্লককে (২৮) গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।পুলি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ অক্টোবর রেজিস্ট্রেশন ভুল হয়েছে বলে ওই ছাত্রীকে বন্ধের দিনেও স্কুলে ডেকে আনে অফিস সহকারী উথুয়াই চিং মারমা এবং দপ্তরি শিবু মলি্লক। স্কুলে এসে ওই দুজন ছাড়া অন্য কাউকে দেখতে না পেয়ে চলে যেতে চাইলে তারা ছাত্রীটির পথ আগলে ধরে। রেজিস্ট্রেশন সংশোধনের জন্য ১২ হাজার টাকা দিতে হবে বলে ভয় দেখায় তাকে।
টাকা দেওয়া সম্ভব নয় জানালে ছাত্রীটিকে টাকার বদলে অনৈতিক প্রস্তাব দেয় তারা। এ সময় পালানোর চেষ্টা করলে ছাত্রীটিকে অফিস কক্ষে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা। এ ঘটনা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দিয়ে ওই ছাত্রীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে ওই ছাত্রীর মা-বাবা ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ জনপ্রতিধিদের জানান। কিন্তু কারো কাছে প্রয়োজনীয় সহায়তা না পেয়ে ঘটনার দুই দিন পর ছাত্রীর বাবা কাপ্তাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাম্মৎ হাজেরা খাতুনের কাছে লিখিত আবেদন করেন। ঘটনা জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক ওই স্কুলে ছুটে যান এবং অভিযুক্ত উথুয়াই চিং মারমা ও শিবু মলি্লককে আটক করে পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন।
কাপ্তাই থানার ওসি ইউসুপ সিদ্দিকী পিপিএম জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে দুজনকে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের প্রথমে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। গত মঙ্গলবার ছাত্রীটির বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। রিমান্ড মঞ্জুর হলে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার জবানবন্দি আদায় করা হবে। কাপ্তাই থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন তদন্তকাজ শুরু করেছেন।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাম্মৎ হাজেরা খাতুন বলেন, 'ঘটনা জানার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। নির্যাতিত ছাত্রীর বক্তব্য শুনে তড়িত কৌশল অবলম্বন করে দুই নরপশুকে আটক করে পুলিশের নিকট সোপর্দ
করা হয়।'
কাপ্তাই থানার ওসি ইউসুপ সিদ্দিকী পিপিএম জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে দুজনকে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের প্রথমে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। গত মঙ্গলবার ছাত্রীটির বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। রিমান্ড মঞ্জুর হলে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার জবানবন্দি আদায় করা হবে। কাপ্তাই থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন তদন্তকাজ শুরু করেছেন।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাম্মৎ হাজেরা খাতুন বলেন, 'ঘটনা জানার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। নির্যাতিত ছাত্রীর বক্তব্য শুনে তড়িত কৌশল অবলম্বন করে দুই নরপশুকে আটক করে পুলিশের নিকট সোপর্দ
করা হয়।'
No comments