হাইকোর্টের রুল-নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালনা কেন অবৈধ নয়
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না_জানতে চেয়ে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ রুল জারি করেন।যিনিরিট করেছেন তাঁকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একটি মামলায় সাজা দিয়েছিলেন। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই রিট করা হয়। একই সঙ্গে আদালত সেই রায়ের কার্যকারিতা চার মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি আনোয়ারুল হকের বেঞ্চ গতকাল বুধবার এ রুল জারি করে ওই আদেশ দেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে আইন ও স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, রাজউকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন-২০০৯-এর ৬(১), ৬(২), ৬(৪), ৭, ৮(১), ৯, ১০, ১১, ১৩ ও ১৫ ধারা কেন অবৈধ ও বাতিল করা হবে না, তার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। রিট আবেদনকারী কামরুজ্জামান খানকে দেওয়া শাস্তি কেন বাতিল করা হবে না, তার কারণও জানতে চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনের ওপর শুনানিতে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলাম বলেছেন, মৌলিক অধিকার কার্যকরের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করতে পারাটাও একটা মৌলিক অধিকার। যখন কোনো ব্যক্তির মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হয়, তখন হাইকোর্টে আবেদন করার অধিকার রয়েছে তাঁর। আর হাইকোর্টের দায়িত্ব হচ্ছে, এ বিষয়ে রুল জারি করা। এ ক্ষেত্রে হাইকোর্ট রুলস কোনো বাধা হওয়ার কথা নয়। হাইকোর্ট রুলস যদি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়, তাহলে রুলসই বাতিল হয়ে যাবে। মাহমুদুল ইসলাম আরো বলেন, হাইকোর্ট সুয়োমোটো রুল জারি করতে পারেন না। হাইকোর্টের বিচারপতিরা যে সুয়োমোটো রুল দিচ্ছেন তা অবৈধ। সংবিধান লঙ্ঘন করে সুয়োমোটো রুল দিচ্ছেন তাঁরা। রুল ইস্যু করার জন্য আবেদন করা হলেই কেবল আদালত রুল দিতে পারেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের ১১টি ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দাখিল করা রিট আবেদনের ওপর রবি, সোম ও মঙ্গলবার শুনানি শেষে গতকাল আদেশ দেওয়া হয়। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ব্যারিস্টার হাসান এস এম আজিম এবং রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাজিক আল জলিল শুনানি করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন-২০০৯-এর ৬(১), ৬(২), ৬(৪), ৭, ৮(১), ৯, ১০, ১১, ১৩ ও ১৫ ধারা কেন অবৈধ ও বাতিল করা হবে না, তার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। রিট আবেদনকারী কামরুজ্জামান খানকে দেওয়া শাস্তি কেন বাতিল করা হবে না, তার কারণও জানতে চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনের ওপর শুনানিতে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলাম বলেছেন, মৌলিক অধিকার কার্যকরের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করতে পারাটাও একটা মৌলিক অধিকার। যখন কোনো ব্যক্তির মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হয়, তখন হাইকোর্টে আবেদন করার অধিকার রয়েছে তাঁর। আর হাইকোর্টের দায়িত্ব হচ্ছে, এ বিষয়ে রুল জারি করা। এ ক্ষেত্রে হাইকোর্ট রুলস কোনো বাধা হওয়ার কথা নয়। হাইকোর্ট রুলস যদি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়, তাহলে রুলসই বাতিল হয়ে যাবে। মাহমুদুল ইসলাম আরো বলেন, হাইকোর্ট সুয়োমোটো রুল জারি করতে পারেন না। হাইকোর্টের বিচারপতিরা যে সুয়োমোটো রুল দিচ্ছেন তা অবৈধ। সংবিধান লঙ্ঘন করে সুয়োমোটো রুল দিচ্ছেন তাঁরা। রুল ইস্যু করার জন্য আবেদন করা হলেই কেবল আদালত রুল দিতে পারেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের ১১টি ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দাখিল করা রিট আবেদনের ওপর রবি, সোম ও মঙ্গলবার শুনানি শেষে গতকাল আদেশ দেওয়া হয়। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ব্যারিস্টার হাসান এস এম আজিম এবং রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাজিক আল জলিল শুনানি করেন।
No comments