ব্যয় সংকোচনের প্রতিবাদে ডাকা ধর্মঘটে অচল গ্রিস
গ্রিসে সরকারের ব্যয় সংকোচনের পদক্ষেপের প্রতিবাদে ডাকা ধর্মঘটে গ্রিস অচল হয়ে পড়েছে। গতকাল বুধবার দুই দিনের সাধারণ ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ধর্মঘটের প্রথম দিনে সারা দেশে প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। রাজধানী এথেন্সে ৭০ হাজার মানুষ বিক্ষোভ করে। পার্লামেন্টের বাইরে বিক্ষোভের সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
ঋণের ভারে জর্জরিত দেশটির দেউলিয়াত্ব ঠেকাতে ব্যয় সংকোচনসংক্রান্ত নতুন একটি বিল চলতি সপ্তাহের মধ্যে পার্লামেন্টে পাস করতে হবে।
নতুন এই বিলে বিভিন্ন খাতে কর বাড়ানো, মজুরি কমানো ও চাকরির ক্ষেত্র কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
গ্রিসের বেশির ভাগ পেশাজীবী মানুষ এই ধর্মঘটে যোগ দিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, কর আদায়কারী, চিকিৎসক, শিক্ষক, নাবিক, ব্যাংকার, ট্যাক্সি ব্যবসায়ীরা রয়েছেন। তাঁরা সরকারের নতুন এই অর্থনৈতিক নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন বিমানের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। এর ফলে ১৫০টি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
গ্রিস সরকারের ঋণের পরিমাণ দেশটির জিডিপির ১৬২ শতাংশে পৌঁছেছে। এরপর আইএমএফ ও ইইউর শর্ত অনুযায়ী, সহায়তা প্যাকেজ পেতে সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির ফলে দেশটিতে বেকারত্বের হার পৌঁছেছে সাড়ে ১৬ শতাংশে।
রাজধানী এথেন্সের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বকেয়া বেতনের দাবিতে দুই সপ্তাহ ধরে ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা সব ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকায় কর্তৃপক্ষ আবর্জনা সরাতে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ করেছে।
গ্রিসের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সংগঠন জিএসইই এবং সরকারি কর্মীদের একটি সংগঠন গতকাল সাধারণ ধর্মঘট শুরু করে। মূলত রাজধানী এথেন্স ও গ্রিসের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর থেসালনিকিতেই সক্রিয় থাকেন ধর্মঘটকারীরা।
গ্রিস সরকার ঋণের ভার সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। দেশটি দেউলিয়া হয়ে পড়লে ইউরো জোনে তার প্রভাব পড়বে। এ পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (্ইইউ) ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) গ্রিসকে দুটি সহায়তা প্যাকেজ দেওয়ার প্রস্তাব করে। আর এ জন্য সরকারের বিভিন্ন খাতে কঠোর ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণের শর্ত দেয়। এর ধারাবাহিকতায় গ্রিস ব্যয় সংকোচনের উদ্যোগ নেয়।
গ্রিসের পার্লামেন্টে চলতি সপ্তাহে ব্যয় সংকোচনসংক্রান্ত বিলটি পাস হলে আইএমএফ ও ইইউর কাছ থেকে সহায়তা প্যাকেজ হিসেবে তাদের ১৫ হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলার পাওয়ার কথা।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপানদ্রু ব্যয় সংকোচনসংক্রান্ত বিলে সমর্থন দেওয়ার জন্য তাঁর দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ৩০০ আসনের পার্লামেন্টে পাপানদ্রুর দলের ১৫৪টি আসন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পাপানদ্রু গত মঙ্গলবার দলীয় আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘ভোটে আপনাদের “ঐক্য” ও “দায়িত্বশীলতার” প্রমাণ দিতে হবে।’ বিল পাসে বিরোধী দলগুলোর সমর্থন পাওয়ার লক্ষ্যে গত রোববার থেকে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন তিনি।
ঋণের ভারে জর্জরিত দেশটির দেউলিয়াত্ব ঠেকাতে ব্যয় সংকোচনসংক্রান্ত নতুন একটি বিল চলতি সপ্তাহের মধ্যে পার্লামেন্টে পাস করতে হবে।
নতুন এই বিলে বিভিন্ন খাতে কর বাড়ানো, মজুরি কমানো ও চাকরির ক্ষেত্র কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
গ্রিসের বেশির ভাগ পেশাজীবী মানুষ এই ধর্মঘটে যোগ দিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, কর আদায়কারী, চিকিৎসক, শিক্ষক, নাবিক, ব্যাংকার, ট্যাক্সি ব্যবসায়ীরা রয়েছেন। তাঁরা সরকারের নতুন এই অর্থনৈতিক নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন বিমানের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। এর ফলে ১৫০টি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
গ্রিস সরকারের ঋণের পরিমাণ দেশটির জিডিপির ১৬২ শতাংশে পৌঁছেছে। এরপর আইএমএফ ও ইইউর শর্ত অনুযায়ী, সহায়তা প্যাকেজ পেতে সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির ফলে দেশটিতে বেকারত্বের হার পৌঁছেছে সাড়ে ১৬ শতাংশে।
রাজধানী এথেন্সের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বকেয়া বেতনের দাবিতে দুই সপ্তাহ ধরে ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা সব ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকায় কর্তৃপক্ষ আবর্জনা সরাতে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ করেছে।
গ্রিসের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সংগঠন জিএসইই এবং সরকারি কর্মীদের একটি সংগঠন গতকাল সাধারণ ধর্মঘট শুরু করে। মূলত রাজধানী এথেন্স ও গ্রিসের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর থেসালনিকিতেই সক্রিয় থাকেন ধর্মঘটকারীরা।
গ্রিস সরকার ঋণের ভার সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। দেশটি দেউলিয়া হয়ে পড়লে ইউরো জোনে তার প্রভাব পড়বে। এ পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (্ইইউ) ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) গ্রিসকে দুটি সহায়তা প্যাকেজ দেওয়ার প্রস্তাব করে। আর এ জন্য সরকারের বিভিন্ন খাতে কঠোর ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণের শর্ত দেয়। এর ধারাবাহিকতায় গ্রিস ব্যয় সংকোচনের উদ্যোগ নেয়।
গ্রিসের পার্লামেন্টে চলতি সপ্তাহে ব্যয় সংকোচনসংক্রান্ত বিলটি পাস হলে আইএমএফ ও ইইউর কাছ থেকে সহায়তা প্যাকেজ হিসেবে তাদের ১৫ হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলার পাওয়ার কথা।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপানদ্রু ব্যয় সংকোচনসংক্রান্ত বিলে সমর্থন দেওয়ার জন্য তাঁর দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ৩০০ আসনের পার্লামেন্টে পাপানদ্রুর দলের ১৫৪টি আসন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পাপানদ্রু গত মঙ্গলবার দলীয় আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘ভোটে আপনাদের “ঐক্য” ও “দায়িত্বশীলতার” প্রমাণ দিতে হবে।’ বিল পাসে বিরোধী দলগুলোর সমর্থন পাওয়ার লক্ষ্যে গত রোববার থেকে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন তিনি।
No comments