শিহাব হত্যাকারীদের গ্রেফতারে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম by চয়ন চৌধুরী,
সিলেটে ছাত্রদলের হামলায় নিহত ছাত্রলীগ কর্মী আল মামুন শিহাবের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার নগরীর হজরত মানিকপীর (রহঃ) গোরস্তানে তাকে দাফন করা হয়। বাদ আসর নগরীর নয়াসড়ক জামে মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিহাবের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ছাত্রলীগের বিধান গ্রুপের সক্রিয় কর্মী শিহাব নগরীর দাড়িয়াপাড়ার আবু জাহেরের ছেলে। তিনি নগরীর মদন মোহন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছাত্রদলের জিন্দাবাজার-পুরান লেন গ্রুপের হামলায় আহত শিহাব ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাত ৯টায় প্রাণ হারান।
শিহাব হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে নগরীতে দোকান ভাংচুরের ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় নগরীর তালতলায় ব্যবসায়ী-ছাত্রলীগ-পুলিশ দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় তালতলা পয়েন্টে ব্যবসায়ীরা ব্যারিকেড দিলে ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। ওই সময় একটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি রিকশা ভাংচুর করা হয়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় ওই সময় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়।
প্রায় আধঘণ্টা পর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ওই এলাকা ছেড়ে চলে গেলে ব্যবসায়ীরা আবারও তালতলা পয়েন্টে ফিরে রাস্তায় টায়ার জালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে। ওই সময় জনৈক ব্যক্তি স্থানীয় মসজিদে হামলা চালানো হয়েছে বলে মাইকে ঘোষণা দেয়। এ অবস্থায় অবরোধকারীরা পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ ব্যাংকের সিলেট অফিসের সামনে অবস্থানরত পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৮-১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বাবুল মিয়া নামের একজনকে আটক করেছে।
ত্রিমুখী সংঘর্ষের ফলে মসজিদের ভেতরে স্থানীয় মুসলিল্গরা আটকা পড়েন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে সিলেট চেম্বার সভাপতি ফারুক আহমদ মিসবাহসহ চেম্বার নেতৃবৃন্দ গিয়ে এলাকাবাসীকে বাইরে নিয়ে আসেন। চেম্বার সভাপতি ফারুক আহমদ মিসবাহ সাংবাদিকদের জানান, কোনো ব্যবসায়ী ওই অবরোধ কিংবা সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িত নন।
গতকাল দুপুরে নগরীর মির্জাজাঙ্গালে শিহাবের মরদেহ নিয়ে এলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। স্বজনদের কান্না-আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে চারপাশ। ওই সময় স্বজনদের সমবেদনা জানান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, মহানগর সভাপতি ও মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার হোসেন শামীমসহ সিলেট আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
শিহাব হত্যার ঘটনায় গতকাল রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার রাতে ৫ জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো_ জসিম উদ্দিন, মিনহাজ উদ্দিন, সাবি্বর আহমদ, সাহিবুর রহমান ও জাকির হোসেন। সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি খন্দকার নওরোজ আহমদ গতকাল রাতে সমকালকে জানান, মামলা না হলেও পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।
শিহাব হত্যার প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে নগরীতে শোকর্যালি ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করে ছাত্রলীগ। এতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের আলটিমেটাম দিয়েছে ছাত্রলীগ। গতকাল শিহাবের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মদন মোহন কলেজে কোনো ক্লাস ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।
মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার হোসেন শামীম, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি পংকজ পুরকায়স্থ, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন খান, মহানগর সভাপতি রাহাত তরফদার, সাধারণ সম্পাদক এমরুল হাসান প্রমুখ।
শিহাব হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে নগরীতে দোকান ভাংচুরের ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় নগরীর তালতলায় ব্যবসায়ী-ছাত্রলীগ-পুলিশ দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় তালতলা পয়েন্টে ব্যবসায়ীরা ব্যারিকেড দিলে ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। ওই সময় একটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি রিকশা ভাংচুর করা হয়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় ওই সময় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়।
প্রায় আধঘণ্টা পর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ওই এলাকা ছেড়ে চলে গেলে ব্যবসায়ীরা আবারও তালতলা পয়েন্টে ফিরে রাস্তায় টায়ার জালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে। ওই সময় জনৈক ব্যক্তি স্থানীয় মসজিদে হামলা চালানো হয়েছে বলে মাইকে ঘোষণা দেয়। এ অবস্থায় অবরোধকারীরা পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ ব্যাংকের সিলেট অফিসের সামনে অবস্থানরত পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৮-১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বাবুল মিয়া নামের একজনকে আটক করেছে।
ত্রিমুখী সংঘর্ষের ফলে মসজিদের ভেতরে স্থানীয় মুসলিল্গরা আটকা পড়েন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে সিলেট চেম্বার সভাপতি ফারুক আহমদ মিসবাহসহ চেম্বার নেতৃবৃন্দ গিয়ে এলাকাবাসীকে বাইরে নিয়ে আসেন। চেম্বার সভাপতি ফারুক আহমদ মিসবাহ সাংবাদিকদের জানান, কোনো ব্যবসায়ী ওই অবরোধ কিংবা সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িত নন।
গতকাল দুপুরে নগরীর মির্জাজাঙ্গালে শিহাবের মরদেহ নিয়ে এলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। স্বজনদের কান্না-আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে চারপাশ। ওই সময় স্বজনদের সমবেদনা জানান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, মহানগর সভাপতি ও মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার হোসেন শামীমসহ সিলেট আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
শিহাব হত্যার ঘটনায় গতকাল রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার রাতে ৫ জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো_ জসিম উদ্দিন, মিনহাজ উদ্দিন, সাবি্বর আহমদ, সাহিবুর রহমান ও জাকির হোসেন। সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি খন্দকার নওরোজ আহমদ গতকাল রাতে সমকালকে জানান, মামলা না হলেও পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।
শিহাব হত্যার প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে নগরীতে শোকর্যালি ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করে ছাত্রলীগ। এতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের আলটিমেটাম দিয়েছে ছাত্রলীগ। গতকাল শিহাবের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মদন মোহন কলেজে কোনো ক্লাস ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।
মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার হোসেন শামীম, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি পংকজ পুরকায়স্থ, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন খান, মহানগর সভাপতি রাহাত তরফদার, সাধারণ সম্পাদক এমরুল হাসান প্রমুখ।
No comments