টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে মুরালির দুশ্চিন্তা
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরুর দিনক্ষণ পেছাতে পেছাতে ২০১৭ সালে গিয়ে ঠেকেছে। আইসিসি রাখঢাক না করেই জানিয়েছে, স্পন্সররা চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে যতটা আগ্রহী টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে ততটা নয়। পাঁচ দিনের ঐতিহ্যবাহী খেলাটাকে তাই পেছনের দিকে ঠেলে দেওয়া। ৮০০ টেস্ট উইকেট নেওয়া মুত্তিয়া মুরালিধরন কিন্তু এতে মোটেই অবাক হচ্ছেন না। বাস্তবতাটা আরো স্পষ্টভাবেই ফুটেছে তাঁর হতাশা মেশানো কথায়, 'সফরগুলোতে এখন ভারসাম্য আনা হচ্ছে আর্থিকভাবে।
কয়েকটি বেশি ওয়ানডে খেলো আর দুই একটা টোয়েন্টি-টোয়েন্টি তারপর না হয় টেস্ট খেলা যাবে_এই তো চলছে এখন!' আর্থিক চাহিদার বিষয়টা নিজের দেশ শ্রীলঙ্কার উদাহরণ টেনেই বোঝাতে চেয়েছেন এই কিংবদন্তি স্পিনার, 'ইন্ডিয়া-পাকিস্তান অথবা অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড খেলা হলেই কেবল বাড়তি কিছু আয় হয়, নইলে নয়। শ্রীলঙ্কা যখন টেস্ট খেলে তখন আর্থিক ক্ষতিটা মেনে নিতে হয়, কিন্তু ওয়ানডে বা টোয়েন্টি-টোয়েন্টি খেলা হলে, তখন আবার ঠিকই কাঙ্ক্ষিত আয় হয়।'
ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসিই শুধু নয় মুরালিধরনের কথায় ক্রিকেট বোর্ডগুলোও অর্থের এই নিগড়ে বাঁধা, 'ওয়ানডে ও টোয়েন্টি-টোয়েন্টি এখন রাখতেই হবে, কারণ, বাণিজ্যিক চাহিদাই সে রকম। এর অন্যথা হলেই বোর্ডকে এখন দেনায় পড়তে হয়।'
আর খেলাটায়ও এখন যে শিল্প সৌন্দর্য্যের চেয়ে বিনোদনটাই মুখ্য হয়ে গেছে, মাঠে দর্শকদের উপস্থিতিও সেটা জানান দেয় বলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে যাওয়া এই লংকানের ধারণা, 'ছুটির দিনে ওয়ানডে ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়াম ভরে যায়, টিভি সম্প্রচারেও চড়া দাম পাওয়া যায়। তখন টেস্ট ক্রিকেট হলেও দর্শক হয়তো আসবে। কিন্তু ছুটির ওই দুই দিনই, বাকি তিন দিন গ্যালারি থাকবে ফাঁকা।' তবে ইংল্যান্ডে চিত্রটা ভিন্ন। টেস্ট দেখতে এখনো দলে দলে লোক হাজির হয় লর্ডস বা ট্রেন্টব্রিজে। তবে এ ক্ষেত্রে ইংল্যান্ড ও এই উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটটাও যে ভিন্ন সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন মুরালিধরন, 'ইংল্যান্ডে লোকজন দল বেঁধে খেলা দেখতে যায় গ্রীষ্মের সময়। কিন্তু শ্রীলঙ্কার কথাই ধরুন, এখানে সেই অর্থে 'সামার' নেই, সারা বছরই খেলা চলে। আর লোকজন শুধু শনি-রবিবারেই মাঠে আসে, অন্য দিন নয়।' পিটিআই
ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসিই শুধু নয় মুরালিধরনের কথায় ক্রিকেট বোর্ডগুলোও অর্থের এই নিগড়ে বাঁধা, 'ওয়ানডে ও টোয়েন্টি-টোয়েন্টি এখন রাখতেই হবে, কারণ, বাণিজ্যিক চাহিদাই সে রকম। এর অন্যথা হলেই বোর্ডকে এখন দেনায় পড়তে হয়।'
আর খেলাটায়ও এখন যে শিল্প সৌন্দর্য্যের চেয়ে বিনোদনটাই মুখ্য হয়ে গেছে, মাঠে দর্শকদের উপস্থিতিও সেটা জানান দেয় বলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে যাওয়া এই লংকানের ধারণা, 'ছুটির দিনে ওয়ানডে ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়াম ভরে যায়, টিভি সম্প্রচারেও চড়া দাম পাওয়া যায়। তখন টেস্ট ক্রিকেট হলেও দর্শক হয়তো আসবে। কিন্তু ছুটির ওই দুই দিনই, বাকি তিন দিন গ্যালারি থাকবে ফাঁকা।' তবে ইংল্যান্ডে চিত্রটা ভিন্ন। টেস্ট দেখতে এখনো দলে দলে লোক হাজির হয় লর্ডস বা ট্রেন্টব্রিজে। তবে এ ক্ষেত্রে ইংল্যান্ড ও এই উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটটাও যে ভিন্ন সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন মুরালিধরন, 'ইংল্যান্ডে লোকজন দল বেঁধে খেলা দেখতে যায় গ্রীষ্মের সময়। কিন্তু শ্রীলঙ্কার কথাই ধরুন, এখানে সেই অর্থে 'সামার' নেই, সারা বছরই খেলা চলে। আর লোকজন শুধু শনি-রবিবারেই মাঠে আসে, অন্য দিন নয়।' পিটিআই
No comments