কপোতাক্ষের জলাবদ্ধতা-৫০ হাজার শিক্ষার্থীর পড়ালেখা হুমকির মুখে by কৌশিক দে,
টেস্ট পরীক্ষা চলছে। কন, এইভাবে কি লেহাপড়া করা যায়! চারিদিকে পানি, স্কুলে পানি। বাড়ির চালা পর্যন্ত (ছাউনি) ডুবে গেছে। রাস্তার উপর দিয়া একের পর গাড়ি, ভটভটি যায়। মানুষজনের চিৎকার-চেঁচামেচি। এইভাবে কি পড়াশুনা করা যায়! কিন্তু কী করব, হাই!ে!!!!! গেলি তো চলবি না। ভালো রেজাল্ট করতি মনি হয় পারব না। তার পরও চেষ্টা করছি।'
খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে নওয়াপাড়ায় রাস্তায় অবস্থান নেওয়া সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মির্জাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. রায়হান হাবিব (১৬) এভাবেই কথাগুলো বলছিল।
খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে নওয়াপাড়ায় রাস্তায় অবস্থান নেওয়া সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মির্জাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. রায়হান হাবিব (১৬) এভাবেই কথাগুলো বলছিল।
শুধু স্কুলছাত্র রায়হানই নয়, কপোতাক্ষ নদের দীর্ঘ জলদ্ধতায় এ উপজেলার দুই শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অর্ধলক্ষাধিক শিক্ষার্থীর লেখাপড়া এখন হুমকির মুখে। তবে শিশুদের জন্য স্থানীয় একটি বেসরকারি সংস্থা ২৫টি শিশু সুরক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করে তাদের পরিচর্যা করছে।নবাড়িয়া গ্রামের নওয়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র রওশন জানায়, প্রায় আড়াই মাস ধরে পানিতে ডুবে আছে তারা। কোমর পর্যন্ত পানি পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। একই স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম জানায়, আর তিন থেকে পাঁচ মাস পর এসএসসি পরীক্ষা তার। সে এখন বাঁচার চিন্তা করবে, নাকি পড়বে_কিছুই বুঝতে পারছে না। তার শঙ্কা ভালো ফল দূরে থাক, পাস করতে পারবে কি না তা নিয়ে। দশম শ্রেণীর ছাত্রী আমেনা খাতুন জানায়, 'পানি ভেঙে পরীক্ষার জন্য স্কুলে আসতে হচ্ছে। রাস্তায় থেকে লেখাপড়া ভালো হচ্ছে না।' সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র আমিনুর রহমান জানায়, 'ফাইনাল পরীক্ষার সময় যত কাছে আসছে, তত ভয় লাগছে।'
নওয়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গণিত) রাম প্রসাদ দাস বলেন, 'সামনে এসএসসি পরীক্ষা। এখন টেস্ট চলছে। স্কুলের শ্রেণীকক্ষে এখনো হাঁটুপানি। তাই অফিসের সামনে ফাঁকা উঁচু স্থানে পরীক্ষা নিচ্ছি। প্রতিদিনই শিক্ষার্থীরা হাঁটুপানি, কোথাও কোমরপানি পেরিয়ে আসে। এতে ওদের যেমন কষ্ট হয়, আমাদেরও কষ্ট হয়। কিন্তু কিছুই করতে পারছি না। এ অবস্থা চলতে থাকলে এ অঞ্চলের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর পথ থাকবে না। আমরা স্থায়ী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি চাই।'
মদনপুর রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামছুর রহমান বলেন, 'আড়াই মাস পর পানি কিছুটা কমায় স্কুল শুরু করেছি। এর পরও চারদিকে পানি থাকায় সব সময় ভয়ে থাকি। এ অবস্থা থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই। তা না হলে আমাদের বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ শেষ হয়ে যাবে।'
নওয়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গণিত) রাম প্রসাদ দাস বলেন, 'সামনে এসএসসি পরীক্ষা। এখন টেস্ট চলছে। স্কুলের শ্রেণীকক্ষে এখনো হাঁটুপানি। তাই অফিসের সামনে ফাঁকা উঁচু স্থানে পরীক্ষা নিচ্ছি। প্রতিদিনই শিক্ষার্থীরা হাঁটুপানি, কোথাও কোমরপানি পেরিয়ে আসে। এতে ওদের যেমন কষ্ট হয়, আমাদেরও কষ্ট হয়। কিন্তু কিছুই করতে পারছি না। এ অবস্থা চলতে থাকলে এ অঞ্চলের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর পথ থাকবে না। আমরা স্থায়ী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি চাই।'
মদনপুর রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামছুর রহমান বলেন, 'আড়াই মাস পর পানি কিছুটা কমায় স্কুল শুরু করেছি। এর পরও চারদিকে পানি থাকায় সব সময় ভয়ে থাকি। এ অবস্থা থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই। তা না হলে আমাদের বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ শেষ হয়ে যাবে।'
No comments