আসকের গোলটেবিল বৈঠক-মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়কে জাতীয় নীতিমালায় সংযোজনের দাবি
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়কে জাতীয় স্বাস্থ্য নীতিমালায় সংযোজনসহ আট দফা দাবি জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। আন্তর্জাতিক মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালনের অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে 'মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার অধিকার-মানবাধিকার' শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব দাবি জানানো হয়। আসকের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো_মানসিক স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকারী পরিবারের ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো, সম্মিলিত উদ্যোগ ও সমন্বিত সেবা নিশ্চিতকরণ।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশন্যাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি এবং ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শদান দপ্তর সম্মিলিতভাবে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মেহতাব খানম বলেন, 'ইউনিসেফের তথ্য মতে, ৯৯ শতাংশ শিশু পরিবারেই নির্যাতিত হচ্ছে। আমরাই আমাদের শিশুদের নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করতে পারছি না।' তিনি বলেন, 'আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহারের ফলে সমাজের মানসিক সমস্যাসহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। প্রায় ১৬ শতাংশ মানুষ মানসিক সমস্যায় ভুগছে।'
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পরিচালক অধ্যাপক শফিকুর রহমান বলেন, 'বাংলাদেশে শিক্ষার হার বাড়লেও সমাজে নানা ধরনের অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে। এর ফলে সামাজিক গতিশীলতার জন্য আমাদের সমাজের যে উন্নয়ন হওয়ার কথা, তা সম্ভব হচ্ছে না।' তিনি বলেন, 'আশির দশকের পর থেকে আমাদের সমাজে একটা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে। ভোগবাদী মনোভাবের ফলেই আমাদের সমাজ আজ অস্থিতিশীল। প্রভাবশালীদের জন্যই সমাজের এ অরাজকতা। এর ফলে মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না।'
আসকের সাইকোসোশ্যাল কাউন্সেলিংয়ের অ্যাডভাইজার ড. শাহীন ইসলাম বলেন, 'আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য যে পরিমাণ বাজেট দেওয়া হয়, তা অপ্রতুল। সমন্বিত উদ্যোগের অভাবে দেশে দিন দিন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা বাড়ছে।'
তিনি আরো বলেন, 'বাংলাদেশ সব কয়টি মানবাধিকার সংস্থায় আগে সাইন করলেও কাজের ক্ষেত্রে এতটা এগিয়ে নেই।' গোলটেবিল বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন আসকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাইকোথেরাপিস্ট খুরশীদ ইফান আহম্মেদ, আসকের কাউন্সেলর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জুনু শামসুন্নাহার ও আইন ও সালিশ কেন্দ্রের কাউন্সেলর নাসিমা আকতার।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পরিচালক অধ্যাপক শফিকুর রহমান বলেন, 'বাংলাদেশে শিক্ষার হার বাড়লেও সমাজে নানা ধরনের অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে। এর ফলে সামাজিক গতিশীলতার জন্য আমাদের সমাজের যে উন্নয়ন হওয়ার কথা, তা সম্ভব হচ্ছে না।' তিনি বলেন, 'আশির দশকের পর থেকে আমাদের সমাজে একটা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে। ভোগবাদী মনোভাবের ফলেই আমাদের সমাজ আজ অস্থিতিশীল। প্রভাবশালীদের জন্যই সমাজের এ অরাজকতা। এর ফলে মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না।'
আসকের সাইকোসোশ্যাল কাউন্সেলিংয়ের অ্যাডভাইজার ড. শাহীন ইসলাম বলেন, 'আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য যে পরিমাণ বাজেট দেওয়া হয়, তা অপ্রতুল। সমন্বিত উদ্যোগের অভাবে দেশে দিন দিন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা বাড়ছে।'
তিনি আরো বলেন, 'বাংলাদেশ সব কয়টি মানবাধিকার সংস্থায় আগে সাইন করলেও কাজের ক্ষেত্রে এতটা এগিয়ে নেই।' গোলটেবিল বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন আসকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাইকোথেরাপিস্ট খুরশীদ ইফান আহম্মেদ, আসকের কাউন্সেলর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জুনু শামসুন্নাহার ও আইন ও সালিশ কেন্দ্রের কাউন্সেলর নাসিমা আকতার।
No comments