লিওকে উড়িয়ে গ্রুপ শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ
লিও মানে যেন আতঙ্ক। অন্তত রিয়াল মাদ্রিদের কাছে। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের পরিসংখ্যান সে কথাই বলছে। আট ম্যাচে লিও জয় পেয়েছে তিনবার। রিয়াল মাদ্রিদ জিতেছে এক ম্যাচে। চার ম্যাচ ড্র; কিন্তু এবারের লড়াইয়ে সেই আতঙ্ককে উড়িয়ে দিয়েছে হোসে মরিনহোর রিয়াল মাদ্রিদ। মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ফ্রেঞ্চ ক্লাব লিওকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। করিম বেঞ্জেমা, সামি খেদিরা, মেসুত ওজিল এবং সার্জিও রামোস করেন গোল চারটি। এটা ছিল রিয়াল মাদ্রিদের টানা তৃতীয় জয়। শতভাগ জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে তারা শীর্ষে। শুধু তাই নয়, এ জয় গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের পথে তাদের অনেকটা এগিয়ে দিয়েছে।
এই হার লিওকে দ্বিতীয় স্থান থেকে ছিটকে দিয়েছে। তারা চলে এসেছে তৃতীয় স্থানে। ডায়নামো জাগরেবকে ২-০ গোলে হারিয়ে হল্যান্ডের ক্লাব আয়াক্স দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। দু'দলেরই পয়েন্ট ৪। গোল পার্থক্যে আয়াক্স ওপরে রয়েছে।
গত চার ম্যাচে তিন হ্যাটট্রিক করলেও এ ম্যাচের প্রথম একাদশে জায়গা পাননি আর্জেন্টাইন তারকা গঞ্জালো হিগুয়াইন। তার পরিবর্তে করিম বেঞ্জেমাকে একাদশে রেখেছিলেন কোচ হোসে মরিনহো। এক সাক্ষাৎকারে কারণ হিসেবে তিনি বলেন, 'আমরা জানতাম ম্যাচটি কেমন হবে। ফলে আমাদের এমন খেলোয়াড়ের প্রয়োজন ছিল যে কি-না স্বল্প জায়গার মাঝে খেলতে পারে। সে কৌশলে আমরা সফল হয়েছি। শুরুতেই বুঝে গিয়েছিলাম আমরা জিততে যাচ্ছি এবং ভালোভাবেই জয় পেয়েছি। এখনও তিনটি ম্যাচ বাকি আমাদের। আয়াক্স বা লিওর সামনে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে আমাদের ওপর চাপটা কম থাকবে।'
এদিকে লিও কোচ রেমি গার্ড বলেন, 'রিয়াল মাদ্রিদ যেভাবে বল নিয়ন্ত্রণ করছিল তাতে এমনটা হতে পারে, এটা ভেবে আমি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। আমাদের জন্য তারা খেলাটা কঠিন করে তুলেছিল।'
ম্যাচের শুরু থেকেই রিয়াল মাদ্রিদের আধিপত্য ছিল স্পষ্ট। বলের ওপর তাদের এতটাই আধিপত্য ছিল যে, খেলাটা লিওর অর্ধে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছিল। এর ফলে গোল পেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি রিয়ালকে। ১৯ মিনিটে মেসুত ওজিলের কর্নার কিক থেকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পাসে বেঞ্জেমা বল গোলপোস্টে পাঠাতে ভুল করেননি। এর আগে অবশ্য রোনালদোর দূরপাল্লার শট লিও গোলরক্ষক হুগো লোরিসকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছিল। দুই মিনিট পর বাফেতিম্বির হেড রিয়াল গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াসকে হতবুদ্ধি করে দিয়েছিল। যদিও বল জালের ঠিকানা পায়নি; বাইরে দিয়ে চলে যায়। এ অর্ধে রিয়াল আর গোল বাড়াতে পারেনি। তাদের বেশ কিছু আক্রমণ লিও গোলরক্ষক নস্যাৎ করে দেন। লিও বেশ ক'বার আক্রমণ শানালেও গোলের দেখা পায়নি। বিরতির পরপরই রিয়াল ব্যবধান বাড়িয়ে নেয়। সামি খেদিরা করেন গোলটি। লিও ডিফেন্ডার বাকারি কোনের ভুলের সুযোগকে কাজে লাগিয়েই খেদিরা গোলটি করেন। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে বাকারি যে হেড নিয়েছিলেন তা চলে যায় বেঞ্জেমার কাছে। বেঞ্জেমার ক্রসে অনেকটা ফাঁকায় থাকা খেদিরা সুযোগটি কাজে লাগাতে ভুল করেননি। মাত্র ৮ মিনিটের ব্যবধানে রিয়াল আবার গোল উৎসবে মাতে। এটি লিও গোলরক্ষক হুগো লোরিস রিয়ালকে উপহার দেন। বাঁ দিক থেকে মেসুত ওজিলের এক নিরীহ ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিতে ব্যর্থ হলে বল গড়িয়ে জালে আশ্রয় নেয়। ৫৫ মিনিটের এ গোল রিয়ালের জয় নিশ্চিত করে দেয়। তখন মরিনহো মাঠে পাঠান কাকা, হিগুয়াইন ও কোয়েন্ত্রাওকে। ম্যাচের ৯ মিনিট বাকি থাকতে রিয়াল পায় চতুর্থ গোলটি। করেন সার্জিও রামোস।
গত চার ম্যাচে তিন হ্যাটট্রিক করলেও এ ম্যাচের প্রথম একাদশে জায়গা পাননি আর্জেন্টাইন তারকা গঞ্জালো হিগুয়াইন। তার পরিবর্তে করিম বেঞ্জেমাকে একাদশে রেখেছিলেন কোচ হোসে মরিনহো। এক সাক্ষাৎকারে কারণ হিসেবে তিনি বলেন, 'আমরা জানতাম ম্যাচটি কেমন হবে। ফলে আমাদের এমন খেলোয়াড়ের প্রয়োজন ছিল যে কি-না স্বল্প জায়গার মাঝে খেলতে পারে। সে কৌশলে আমরা সফল হয়েছি। শুরুতেই বুঝে গিয়েছিলাম আমরা জিততে যাচ্ছি এবং ভালোভাবেই জয় পেয়েছি। এখনও তিনটি ম্যাচ বাকি আমাদের। আয়াক্স বা লিওর সামনে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে আমাদের ওপর চাপটা কম থাকবে।'
এদিকে লিও কোচ রেমি গার্ড বলেন, 'রিয়াল মাদ্রিদ যেভাবে বল নিয়ন্ত্রণ করছিল তাতে এমনটা হতে পারে, এটা ভেবে আমি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। আমাদের জন্য তারা খেলাটা কঠিন করে তুলেছিল।'
ম্যাচের শুরু থেকেই রিয়াল মাদ্রিদের আধিপত্য ছিল স্পষ্ট। বলের ওপর তাদের এতটাই আধিপত্য ছিল যে, খেলাটা লিওর অর্ধে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছিল। এর ফলে গোল পেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি রিয়ালকে। ১৯ মিনিটে মেসুত ওজিলের কর্নার কিক থেকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পাসে বেঞ্জেমা বল গোলপোস্টে পাঠাতে ভুল করেননি। এর আগে অবশ্য রোনালদোর দূরপাল্লার শট লিও গোলরক্ষক হুগো লোরিসকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছিল। দুই মিনিট পর বাফেতিম্বির হেড রিয়াল গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াসকে হতবুদ্ধি করে দিয়েছিল। যদিও বল জালের ঠিকানা পায়নি; বাইরে দিয়ে চলে যায়। এ অর্ধে রিয়াল আর গোল বাড়াতে পারেনি। তাদের বেশ কিছু আক্রমণ লিও গোলরক্ষক নস্যাৎ করে দেন। লিও বেশ ক'বার আক্রমণ শানালেও গোলের দেখা পায়নি। বিরতির পরপরই রিয়াল ব্যবধান বাড়িয়ে নেয়। সামি খেদিরা করেন গোলটি। লিও ডিফেন্ডার বাকারি কোনের ভুলের সুযোগকে কাজে লাগিয়েই খেদিরা গোলটি করেন। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে বাকারি যে হেড নিয়েছিলেন তা চলে যায় বেঞ্জেমার কাছে। বেঞ্জেমার ক্রসে অনেকটা ফাঁকায় থাকা খেদিরা সুযোগটি কাজে লাগাতে ভুল করেননি। মাত্র ৮ মিনিটের ব্যবধানে রিয়াল আবার গোল উৎসবে মাতে। এটি লিও গোলরক্ষক হুগো লোরিস রিয়ালকে উপহার দেন। বাঁ দিক থেকে মেসুত ওজিলের এক নিরীহ ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিতে ব্যর্থ হলে বল গড়িয়ে জালে আশ্রয় নেয়। ৫৫ মিনিটের এ গোল রিয়ালের জয় নিশ্চিত করে দেয়। তখন মরিনহো মাঠে পাঠান কাকা, হিগুয়াইন ও কোয়েন্ত্রাওকে। ম্যাচের ৯ মিনিট বাকি থাকতে রিয়াল পায় চতুর্থ গোলটি। করেন সার্জিও রামোস।
No comments