যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দাবি খালেদার-সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা
যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দাবি করে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার দেওয়া বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতারা। গতকাল বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি প্রাঙ্গণে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় সাংস্কৃতিক জোটের নেতারা বলেন, চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দাবি করার মাধ্যমে খালেদা জিয়া বিএনপির স্বাধীনতাবিরোধী ধারার অবস্থানকেই স্পষ্ট করেছেন। তাঁরা বিরোধী দলের রোডমার্চ কর্মসূচিকে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার চক্রান্ত হিসেবে আখ্যায়িত করেন। খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রতিবাদে আগামী ২৮ অক্টোবর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিবাদী সমাবেশ ও ২৯ অক্টোবর সারা দেশে সাংস্কৃতিক কর্মীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন সংগঠনের সহসভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ফকির আলমগীর, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ঝুনা চৌধুরী, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. কামরুল হাসান খান, আবৃত্তিশিল্পী কাজী আরিফ প্রমুখ।
নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে, ঠিক তখনই রোডমার্চের নামে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন খালেদা জিয়া। তাঁর বক্তব্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী। তিনি বলেন, বিরোধী দল নানা সংকটকে অজুহাত করে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
গোলাম কুদ্দুছ বলেন, দেশে আজ দুটি পক্ষ। একদিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী গণতান্ত্রিক শক্তি; অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জঙ্গি-সাম্প্রদায়িক শক্তি। বিএনপির নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা ও পুনর্বাসনের চেষ্টা করে আসছে। তারাই দালাল আইন বাতিল করেছে, রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়েছে। এ দেশের মানুষ বিগত নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে রায় দিয়েছে। তাদের বিচার বানচালের চেষ্টা প্রতিহত করা হবে।
বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত বুধবার বগুড়ায় রোডমার্চের জনসভায় মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বিচারপ্রক্রিয়া বন্ধ এবং অভিযুক্তদের মুক্তি দাবি করেন। তিনি আন্তর্জাতিক মানের আদালত গঠন এবং তাতে বিদেশি আইনজীবী রাখার সুযোগ দাবি করেন।
নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে, ঠিক তখনই রোডমার্চের নামে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন খালেদা জিয়া। তাঁর বক্তব্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী। তিনি বলেন, বিরোধী দল নানা সংকটকে অজুহাত করে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
গোলাম কুদ্দুছ বলেন, দেশে আজ দুটি পক্ষ। একদিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী গণতান্ত্রিক শক্তি; অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জঙ্গি-সাম্প্রদায়িক শক্তি। বিএনপির নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা ও পুনর্বাসনের চেষ্টা করে আসছে। তারাই দালাল আইন বাতিল করেছে, রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়েছে। এ দেশের মানুষ বিগত নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে রায় দিয়েছে। তাদের বিচার বানচালের চেষ্টা প্রতিহত করা হবে।
বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত বুধবার বগুড়ায় রোডমার্চের জনসভায় মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বিচারপ্রক্রিয়া বন্ধ এবং অভিযুক্তদের মুক্তি দাবি করেন। তিনি আন্তর্জাতিক মানের আদালত গঠন এবং তাতে বিদেশি আইনজীবী রাখার সুযোগ দাবি করেন।
No comments