বিদেশী মিডিয়ায় নির্বাচনের ফল
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা ভূমিধস জয় পেয়েছেন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। এর মধ্য
দিয়ে তিনি টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলেন। সব মিলিয়ে তার ক্ষমতার মেয়াদ হতে
যাচ্ছে চার বার। তবে ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনকে হাস্যকর আখ্যায়িত করে
পুনঃনির্বাচন দাবি করেছে বিরোধী দল। নির্বাচনের দিন সহিংসতায় কমপক্ষে ১৭ জন
নিহত হয়েছেন। এদিন ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগও পাওয়া গেছে। নির্বাচনে জাতীয়
সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে শেখ হাসিনার ক্ষমতাসীন দল ও এর মিত্ররা ২৮৮ আসনে
বিজয়ী হয়েছে। নির্বাচনের পরে এসব কথা লিখেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
এর মধ্যে অনলাইন বিবিসির শিরোনাম ‘বাংলাদেশে নির্বাচন: শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নতুন মেয়াদে নির্বাচিত’। এতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন সোমবার বলেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় মেয়াদে ভূমিধস বিজয় পেয়েছেন। এর আগে তার দল যে রেকর্ড গড়েছিল সেই রেকর্ডকে এ নির্বাচন অতিক্রম করেছে।
বিরোধীরা এ নির্বাচনকে হাস্যকর উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে। নতুন করে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। এ নির্বাচন সহিংসতা, ভীতি প্রদর্শন ও জালিয়াতির বলেও তারা এর নিন্দা জানিয়েছে। বিরোধী দলীয় জোট মোট সাতটি আসনে বিজয়ী হয়েছে। এ জোটের নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, আমরা তাৎক্ষণিকভাবে হাস্যকর এই নির্বাচনের ফল বাতিল করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। বিবিসি আরো লিখেছে, ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশের নেতৃত্বে রয়েছে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ। কিন্তু ব্যালটবাক্স ছিনতাই করার অভিযোগ করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। বিএনপির একজন মুখপাত্র অভিযোগ করেছেন, ৩০০ আসনের মধ্যে ২২১টিতে অনিয়ম হয়েছে।
ভোট গ্রহণ শুরুর আগেই বিবিসির একজন সংবাদদাতা দেখতে পেয়েছেন, ব্যালটভর্তি ব্যালটবাক্স চট্টগ্রামের একটি ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান প্রিজাইডিং অফিসার। সেখানে শুধু ক্ষমতাসীন দলের পোলিং এজেন্টরা ছিলেন। অন্য ভোটকেন্দ্রেরও একই অবস্থা। ভোট জালিয়াতি ও ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগে প্রধান বিরোধী দলের কমপক্ষে ৪৭ জন প্রার্থী তাদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। অধিকার বিষয়ক কর্মীরা, পর্যবেক্ষকরা ও বিরোধী দল সতর্ক করেছিল আগেই। তারা বলেছিল, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের শিরোনাম ‘নির্বাচনে বড় বিজয় পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীরা জালিয়াতির অভিযোগ করছেন’। এতে বলা হয়, অস্বাভাবিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার জোট বিজয়ী হয়েছেন। তবে বিরোধীরা জালিয়াতির অভিযোগে এ নির্বাচন বর্জন করেছে। ভারতের আঞ্চলিক শক্তির খুব ঘনিষ্ঠ হিসেবে দেখা হয় শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে। তারা পার্লামেন্টের ২৮৮ আসনে বিজয়ী হয়েছে। অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি জিতেছে মাত্র ৬ টি আসনে। এর আগে ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছিল তারা। এ বিজয়ের মধ্য দিয়ে এক দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা তার শাসনকে আরো সুসংহত করলেন। তাকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নকে এগিয়ে নেয়ার জন্য কৃতীত্ব দেয়া হয়। তবে মানবাধিকার লঙ্ঘন, মিডিয়ার বিরুদ্ধে দমনপীড়ন ও ভিন্ন মতাবলম্বীদের দমনের মতো অভিযোগ রয়েছে তার সরকারের বিরুদ্ধে। তবে তিনি এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।
ওদিকে নির্বাচনের আগে কয়েক মাসে বিরোধী দলীয় কয়েক শত নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। তারা বলছে, বানোয়াট অভিযোগে এসব নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। অনেকে বলেছেন, তারা যাতে প্রচারণা চালানোর ক্ষমতা না রাখেন এ জন্য বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা।
বার্তা সংস্থা এপি’র শিরোনাম ‘শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন জোট বাংলাদেশের নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে- নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা’। এতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন জোট ২৮৮ আসনে বিজয়ী হয়েছে। সরকার গঠন করার জন্য এ সংখ্যা যথেষ্ট। নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালউদ্দিন আহমেদ সোমবার সকালে এ ফল ঘোষণা করেছেন। নির্বাচন কমিশনের এ ফলের অর্থ হলো টানা তৃতীয়বার সরকার গঠন করবেন শেখ হাসিনা, যদিও বিরোধীরা অভিযোগ করছে তিনি ক্রমশ বেশি কর্তৃত্বপরায়ণ হয়ে উঠছেন।
বিরোধীরা এ নির্বাচনকে বর্জন করেছে। নির্বাচনে খালেদা জিয়ার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিজয়ী হয়েছেন। তিনি শেখ হাসিনার কড়া সমালোচক। যে ফলই আসুক তিনি তা প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছেন রোববার। তবে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করার পর কি করবেন তা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায় নি।
ভারতের অনলাইন দ্য হিন্দুর শিরোনাম ‘বাংলাদেশের নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় শেখ হাসিনার, বিরোধীরা নতুন ভোট চাইছেন’। এতে বলা হয়, ভূমিধস বিজয়ে চতুর্থবার ক্ষমতা নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা। বিরোধীরা এতে ভোট জালিয়াতি, সহিংসতায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হওয়ার অভিযোগে নির্বাচনকে হাস্যকর বলে আখ্যায়িত করেছে।
অনলাইন দ্য ইকোনমিক টাইমসের শিরোনাম ‘শেখ হাসিনার ভূমিধস বিজয়, বিরোধীরা পুনঃনির্বাচন চান’। স্ক্রল ডট ইন-এর শিরোনামও একই রকম।
এর মধ্যে অনলাইন বিবিসির শিরোনাম ‘বাংলাদেশে নির্বাচন: শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নতুন মেয়াদে নির্বাচিত’। এতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন সোমবার বলেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় মেয়াদে ভূমিধস বিজয় পেয়েছেন। এর আগে তার দল যে রেকর্ড গড়েছিল সেই রেকর্ডকে এ নির্বাচন অতিক্রম করেছে।
বিরোধীরা এ নির্বাচনকে হাস্যকর উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে। নতুন করে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। এ নির্বাচন সহিংসতা, ভীতি প্রদর্শন ও জালিয়াতির বলেও তারা এর নিন্দা জানিয়েছে। বিরোধী দলীয় জোট মোট সাতটি আসনে বিজয়ী হয়েছে। এ জোটের নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, আমরা তাৎক্ষণিকভাবে হাস্যকর এই নির্বাচনের ফল বাতিল করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। বিবিসি আরো লিখেছে, ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশের নেতৃত্বে রয়েছে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ। কিন্তু ব্যালটবাক্স ছিনতাই করার অভিযোগ করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। বিএনপির একজন মুখপাত্র অভিযোগ করেছেন, ৩০০ আসনের মধ্যে ২২১টিতে অনিয়ম হয়েছে।
ভোট গ্রহণ শুরুর আগেই বিবিসির একজন সংবাদদাতা দেখতে পেয়েছেন, ব্যালটভর্তি ব্যালটবাক্স চট্টগ্রামের একটি ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান প্রিজাইডিং অফিসার। সেখানে শুধু ক্ষমতাসীন দলের পোলিং এজেন্টরা ছিলেন। অন্য ভোটকেন্দ্রেরও একই অবস্থা। ভোট জালিয়াতি ও ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগে প্রধান বিরোধী দলের কমপক্ষে ৪৭ জন প্রার্থী তাদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। অধিকার বিষয়ক কর্মীরা, পর্যবেক্ষকরা ও বিরোধী দল সতর্ক করেছিল আগেই। তারা বলেছিল, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের শিরোনাম ‘নির্বাচনে বড় বিজয় পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীরা জালিয়াতির অভিযোগ করছেন’। এতে বলা হয়, অস্বাভাবিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার জোট বিজয়ী হয়েছেন। তবে বিরোধীরা জালিয়াতির অভিযোগে এ নির্বাচন বর্জন করেছে। ভারতের আঞ্চলিক শক্তির খুব ঘনিষ্ঠ হিসেবে দেখা হয় শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে। তারা পার্লামেন্টের ২৮৮ আসনে বিজয়ী হয়েছে। অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি জিতেছে মাত্র ৬ টি আসনে। এর আগে ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছিল তারা। এ বিজয়ের মধ্য দিয়ে এক দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা তার শাসনকে আরো সুসংহত করলেন। তাকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নকে এগিয়ে নেয়ার জন্য কৃতীত্ব দেয়া হয়। তবে মানবাধিকার লঙ্ঘন, মিডিয়ার বিরুদ্ধে দমনপীড়ন ও ভিন্ন মতাবলম্বীদের দমনের মতো অভিযোগ রয়েছে তার সরকারের বিরুদ্ধে। তবে তিনি এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।
ওদিকে নির্বাচনের আগে কয়েক মাসে বিরোধী দলীয় কয়েক শত নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। তারা বলছে, বানোয়াট অভিযোগে এসব নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। অনেকে বলেছেন, তারা যাতে প্রচারণা চালানোর ক্ষমতা না রাখেন এ জন্য বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা।
বার্তা সংস্থা এপি’র শিরোনাম ‘শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন জোট বাংলাদেশের নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে- নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা’। এতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন জোট ২৮৮ আসনে বিজয়ী হয়েছে। সরকার গঠন করার জন্য এ সংখ্যা যথেষ্ট। নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালউদ্দিন আহমেদ সোমবার সকালে এ ফল ঘোষণা করেছেন। নির্বাচন কমিশনের এ ফলের অর্থ হলো টানা তৃতীয়বার সরকার গঠন করবেন শেখ হাসিনা, যদিও বিরোধীরা অভিযোগ করছে তিনি ক্রমশ বেশি কর্তৃত্বপরায়ণ হয়ে উঠছেন।
বিরোধীরা এ নির্বাচনকে বর্জন করেছে। নির্বাচনে খালেদা জিয়ার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিজয়ী হয়েছেন। তিনি শেখ হাসিনার কড়া সমালোচক। যে ফলই আসুক তিনি তা প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছেন রোববার। তবে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করার পর কি করবেন তা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায় নি।
ভারতের অনলাইন দ্য হিন্দুর শিরোনাম ‘বাংলাদেশের নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় শেখ হাসিনার, বিরোধীরা নতুন ভোট চাইছেন’। এতে বলা হয়, ভূমিধস বিজয়ে চতুর্থবার ক্ষমতা নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা। বিরোধীরা এতে ভোট জালিয়াতি, সহিংসতায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হওয়ার অভিযোগে নির্বাচনকে হাস্যকর বলে আখ্যায়িত করেছে।
অনলাইন দ্য ইকোনমিক টাইমসের শিরোনাম ‘শেখ হাসিনার ভূমিধস বিজয়, বিরোধীরা পুনঃনির্বাচন চান’। স্ক্রল ডট ইন-এর শিরোনামও একই রকম।
No comments