৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে: লজ্জিত নই -সিইসি
একাদশ
সংসদ নির্বাচনে গড়ে ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন
কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। বলেছেন, ভোট নিয়ে তিনি তৃপ্ত, সন্তুষ্ট।
ভোটে কোনো অনিয়ম হয়নি। ভোটে তারা লজ্জিত নন। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন
হয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের পুনঃনির্বাচনের দাবি নাকচ করে তিনি বলেছেন, নতুন করে
আর নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই। সারা দেশে ভোট উৎসব এবং শান্তিপূর্ণ ভোট
সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান সিইসি নূরুল হুদা। তবে কিছু জায়গায় সহিংসতায় ১৪
জনের প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে ভোট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। কারচুপির অভিযোগ তুলে একাদশ নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পুনঃভোটের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সিইসি ঐক্যফ্রন্টের দাবির বিষয়ে বলেন, না, আমরা আর নতুনভাবে নির্বাচন করবো না; আর নতুন করে নির্বাচনের সুযোগ নেই।
ঐক্যফ্রন্ট কিংবা বিএনপি লিখিত অভিযোগ দিলে কী করবেন ও পরবর্তীতে গেজেট প্রকাশের ধাপ জানতে চাইলে তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ দিলেও গেজেট প্রকাশের ক্ষেত্রে তা প্রতিবন্ধকতা হবে না। জনগণের ভোটের বিবেচনায় ফল নির্ধারিত হয়েছে বলে জানান সিইসি।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনে সব দলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সেজন্য তাদের ধন্যবাদ।
এই নির্বাচনে ৩৯ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেছে। কিন্তু গ্রহণযোগ্যতার মাপকাঠিতে এই নির্বাচন নিয়ে আপনারা কোনো ক্ষেত্রে অতৃপ্ত কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘না আমরা অতৃপ্ত না, তৃপ্ত। সারাদিন আপনাদের মাধ্যমেই, টেলিভিশনের মাধ্যমে নির্বাচনের অবস্থা দেখেছি। ব্যাপকভাবে অনিয়ম হয়েছে এমন কিছু আমরা পাই নি। তবে আমরা যেখানে অনিয়ম পেয়েছি সেখানে নির্বাচনই বন্ধ করে দিয়েছি। দেশি বিদেশি কোনো গণমাধ্যমে অনিয়ম দেখতে পাই নি। পুরো কমিশন সন্তুষ্ট। কেউ তো আমাকে অসন্তুষ্টির কথা বলেনি।
তিনি বলেন, রোববার দেশের ২৯৯ আসনে ৪০ হাজারের বেশি কেন্দ্রে ভোট চলাকালে সহিংসতা ও অনিয়মের কারণে ১৬টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ৩টি কেন্দ্রের ফলাফল বন্ধ থাকার কারণে ওই আসনের ফল আটকে যায়। ওই আসনে বিএনপির প্রার্থী এগিয়ে রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ২৯৮টি আসনের ফলাফলে আওয়ামী লীগ এককভাবে পেয়েছে ২৫৯টি আসন, আর মহাজোটগতভাবে তাদের আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৮টি। ১৪ দলীয় জোটের দলগুলোর মধ্যে জাসদ ২টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ৩টি, বিকল্প ধারা ২টি, তরীকত ফেডারেশন ১টি আসনে জিতেছে। এর বাইরে আওয়ামী লীগের মিত্র দল জাতীয় পার্টি (জেপি) বাইসাইকেল প্রতীকে একটি আসনে জিতেছে। এই নিরঙ্কুশ জয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তিনটি আসনে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে বিএনপি ৫টি আসনে জিতেছে, গণফোরাম দুটি আসনে জিতেছে। কারচুপির অভিযোগ এনে ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করে নতুন করে নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট।
সিইসি ভোট পরবর্তী প্রক্রিয়ায় বলেন, বিপুল ভোটার উপস্থিতি ছিল। তারা বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে ভোট দিয়ে নতুন সরকার গঠনের সুযোগ করে দিয়ছে। দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে যা দেখেছি তাতে মনে হয়েছে জাতি গতকাল (রোববার) ভোট উৎসবে মেতেছিল। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর জাতি মূলত ভোট উৎসবে মেতেছিল।
২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৮৭.১৩ শতাংশ। বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের ইতিহাসে সেটাই সর্বোচ্চ। এবার সারা দেশে ভোটার ছিল ১০ কোটি ৪০ লাখের বেশি। সেই হিসেবে ৮০ শতাংশ ভোটের হার ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৪০ শতাংশ। সংবাদ সম্মেলনে, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে আজ মঙ্গলবার অথবা আগামীকাল বুধবারের মধ্যে নির্বাচিত ২৯৮টি আসনে সরকারি গেজেট প্রকাশ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন, গেজেট প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে। আমরা আশা করছি আগামী দুইদিনের মধ্যে নির্বাচিতদের নামের গেজেট প্রকাশ করতে পারবো।
গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে ভোট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। কারচুপির অভিযোগ তুলে একাদশ নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পুনঃভোটের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সিইসি ঐক্যফ্রন্টের দাবির বিষয়ে বলেন, না, আমরা আর নতুনভাবে নির্বাচন করবো না; আর নতুন করে নির্বাচনের সুযোগ নেই।
ঐক্যফ্রন্ট কিংবা বিএনপি লিখিত অভিযোগ দিলে কী করবেন ও পরবর্তীতে গেজেট প্রকাশের ধাপ জানতে চাইলে তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ দিলেও গেজেট প্রকাশের ক্ষেত্রে তা প্রতিবন্ধকতা হবে না। জনগণের ভোটের বিবেচনায় ফল নির্ধারিত হয়েছে বলে জানান সিইসি।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনে সব দলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সেজন্য তাদের ধন্যবাদ।
এই নির্বাচনে ৩৯ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেছে। কিন্তু গ্রহণযোগ্যতার মাপকাঠিতে এই নির্বাচন নিয়ে আপনারা কোনো ক্ষেত্রে অতৃপ্ত কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘না আমরা অতৃপ্ত না, তৃপ্ত। সারাদিন আপনাদের মাধ্যমেই, টেলিভিশনের মাধ্যমে নির্বাচনের অবস্থা দেখেছি। ব্যাপকভাবে অনিয়ম হয়েছে এমন কিছু আমরা পাই নি। তবে আমরা যেখানে অনিয়ম পেয়েছি সেখানে নির্বাচনই বন্ধ করে দিয়েছি। দেশি বিদেশি কোনো গণমাধ্যমে অনিয়ম দেখতে পাই নি। পুরো কমিশন সন্তুষ্ট। কেউ তো আমাকে অসন্তুষ্টির কথা বলেনি।
তিনি বলেন, রোববার দেশের ২৯৯ আসনে ৪০ হাজারের বেশি কেন্দ্রে ভোট চলাকালে সহিংসতা ও অনিয়মের কারণে ১৬টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ৩টি কেন্দ্রের ফলাফল বন্ধ থাকার কারণে ওই আসনের ফল আটকে যায়। ওই আসনে বিএনপির প্রার্থী এগিয়ে রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ২৯৮টি আসনের ফলাফলে আওয়ামী লীগ এককভাবে পেয়েছে ২৫৯টি আসন, আর মহাজোটগতভাবে তাদের আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৮টি। ১৪ দলীয় জোটের দলগুলোর মধ্যে জাসদ ২টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ৩টি, বিকল্প ধারা ২টি, তরীকত ফেডারেশন ১টি আসনে জিতেছে। এর বাইরে আওয়ামী লীগের মিত্র দল জাতীয় পার্টি (জেপি) বাইসাইকেল প্রতীকে একটি আসনে জিতেছে। এই নিরঙ্কুশ জয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তিনটি আসনে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে বিএনপি ৫টি আসনে জিতেছে, গণফোরাম দুটি আসনে জিতেছে। কারচুপির অভিযোগ এনে ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করে নতুন করে নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট।
সিইসি ভোট পরবর্তী প্রক্রিয়ায় বলেন, বিপুল ভোটার উপস্থিতি ছিল। তারা বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে ভোট দিয়ে নতুন সরকার গঠনের সুযোগ করে দিয়ছে। দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে যা দেখেছি তাতে মনে হয়েছে জাতি গতকাল (রোববার) ভোট উৎসবে মেতেছিল। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর জাতি মূলত ভোট উৎসবে মেতেছিল।
২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৮৭.১৩ শতাংশ। বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের ইতিহাসে সেটাই সর্বোচ্চ। এবার সারা দেশে ভোটার ছিল ১০ কোটি ৪০ লাখের বেশি। সেই হিসেবে ৮০ শতাংশ ভোটের হার ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৪০ শতাংশ। সংবাদ সম্মেলনে, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে আজ মঙ্গলবার অথবা আগামীকাল বুধবারের মধ্যে নির্বাচিত ২৯৮টি আসনে সরকারি গেজেট প্রকাশ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন, গেজেট প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে। আমরা আশা করছি আগামী দুইদিনের মধ্যে নির্বাচিতদের নামের গেজেট প্রকাশ করতে পারবো।
No comments