ভোট কেন্দ্রে রক্তাক্ত প্রার্থী
হামলায় তাদের ১৫ থেকে ১৬ জন কর্মী আহত হয়েছেন। তার বাবার পিঠে ও পেটে কোপ লেগেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সোয়া ৯টার দিকে সালাউদ্দিন ওই কেন্দ্রে ভোট দিতে যান। সে সময় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সমর্থকরা স্লোগান দিচ্ছিলেন।
সালাউদ্দিন কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় মহাজোটের সমর্থকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তার ওপর হামলা হয়। সেখানে প্রার্থী সালাউদ্দিনসহ ১০ থেকে ১৫জন আহত হন। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে শ্যামপুর মডেল কলেজ কেন্দ্রটি সকালেই দখলে নিয়ে নেয় মহাজোটের নেতাকর্মীরা। শ্যামপুর মডেল কলেজের প্রিজাইডিং অফিসার এসএম রেজাউল করিম বলেন, সকাল থেকে ধানের শীষের কোনো এজেন্ট আমার কাছে আসেনি।
কিন্তু সালাউদ্দিন বারবারই অভিযোগ করছেন উনার এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়েছে। আমি তাকে এজেন্ট পাঠাতে বলেছি। বলেছি সুন্দর পরিবেশ আছে। কিন্তু উনি কোনো কথা না শুনে প্রত্যেকটি বুথের মধ্যে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। তবে হামলার ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন পুলিশের ওয়ারি বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফরিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, এটি একটি সাজানো ঘটনা। উনি নিজেই সেখানকার লোকজন ও প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। এমনকি ধাক্কাধাক্কিও করেছেন। তদন্তে সত্য ঘটনা জানা যাবে বলে জানান তিনি। হামলার পরই শ্যামপুরের ওই কেন্দ্রে বর্তমানে পুলিশ-র্যাব পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানো হয়। দফায় দফায় মহাজোটের নেতৃবৃন্দ বার বার কেন্দ্র প্রবেশ করেন। একই অবস্থা দেখা গেছে ঢাকা চার আসনের অন্য কেন্দ্রগুলোতেও। জুরাইনের আরকে চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ, শ্যামপুর আইডিয়াল স্কুলও মহাজোটের কর্মীদের দখলে ছিল। এসব কেন্দ্রে ধানের শীষের প্রার্থীর কোনো পোলিং এজেন্ট দেখা যায়নি।
No comments