উন্নয়নের কারণেই জনগণ ভোট দিয়েছে -প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা সরকারের ধারাবাহিকতা চেয়েছে, উন্নয়ন চেয়েছে তারাই
আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। তবে আমি সকলেরই প্রধানমন্ত্রী।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে গতকাল এক মতবিনিময়
সভায় তিনি একথা বলেন। সভায় বিদেশি প্রতিনিধিদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন
প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জনগণ আমার সরকারের উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে।
এজন্যই তারা আমাদের ভোট দিয়েছে। তিনি স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য
সংগ্রাম করেছেন। যেন মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ বিএনপি-জামায়াত জোটকে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও দুর্নীতির কারণে প্রতিহত করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে কোনো অনিয়মের অভিযোগ উঠলে নির্বাচন কমিশন তাৎক্ষণিকভাবে ওই ভোটকেন্দ্র বাতিল করেছেন। ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছেন।
নির্বাচনের পরে দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বিরোধীরা যেন কোনো সমস্যার মুখোমুখি না হন, সে জন্য আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। তিনি ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার কথা উল্লেখ করে বলেন, অতীতে আমাদের খুবই খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছে। ২০০১ সালের ১লা অক্টোবরের নির্বাচনে ফিরে গেলে দেখতে পাবো, ওইদিন থেকেই বিএনপি-জামায়াত আমাদের কর্মীদের হত্যা করতে শুরু করে, মেয়েদের ধর্ষণ করে, আওয়ামী লীগের সমর্থকদের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। ৬ বছরের মেয়েকেও নিস্তার দেয়নি। তখন অনেক সহিংসতা ঘটেছে। অপারেশন ক্লিন হার্টের মাধ্যমে তারা আমাদের অনেক নেতা-কর্মী ও এমপিকে হত্যা করেছে। কিন্তু আমরা এমন কিছু করিনি। বরং নির্বাচনের সময় আমাদের নেতা-কর্মীরাই মারা গেছেন। আমরা তাদের মতো সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাই না। তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আসক্ত। আপনারা জানেন, নির্বাচনের আগে আমি সব দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তাদের সঙ্গে সংলাপে বসেছি। তারা যে দাবিই করেছে, আমি তা পূরণ করেছি। যেন তারা নির্বাচনে যোগ দিতে পারে, নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। তাদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলোচনা করেছি। এখন নির্বাচনের পরেও তারা নিজেদের রাজনৈতিক দল সংগঠিত করার জন্য সব সুযোগ পাবে। কিন্তু তাদের কোনো সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানোর সুযোগ দেয়া হবে না। সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সুযোগ পাবে। আমাদের লক্ষ্য হলো দেশের উন্নয়ন করা।
পর্যবেক্ষণে ইচ্ছুক বিদেশিদের পর্যবেক্ষকদের ভিসা বিলম্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পর্যবেক্ষকদের কয়েকজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ। আর এটা পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। তারা ভালো মনে করলে অনুমতি দিতে পারে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে তিন বলেন, আমরা জানি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হলেও তাদের অনেকের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। নির্বাচনের সময় ইন্টারনেট বন্ধ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অধিক সংখ্যক মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করলে স্লো হয়েযেতে পারে।
বিজয়ের মাসে আরো একটি বিজয়: এদিকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন বাহিনী প্রধান ও কর্মকর্তারা গতকাল প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। গতকাল গণভবনে গিয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তিনি বলেন, মহান বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে আরো একটি বিজয় অর্জিত হলো। শেখ হাসিনা বলেন, এ বিজয় তার ব্যক্তিগত কোনো লাভের জন্য নয়, বরং এই বিজয় দেশ ও জনগণের প্রতি আরো বড় ধরনের দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয়। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি পুনঃনির্বাচিত করায় জনগণের প্রতি কাজ করার বড় ধরনের সুযোগ সৃষ্টি হলো এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবো। নেতৃত্ব ও কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই এলাহী চৌধুরী ও ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, মহা-পুলিশ পরিদর্শক, জনপ্রশাসন সচিব, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বিজিবি ও র্যাবের ডিজি। প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা এবং প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ বিএনপি-জামায়াত জোটকে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও দুর্নীতির কারণে প্রতিহত করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে কোনো অনিয়মের অভিযোগ উঠলে নির্বাচন কমিশন তাৎক্ষণিকভাবে ওই ভোটকেন্দ্র বাতিল করেছেন। ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছেন।
নির্বাচনের পরে দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বিরোধীরা যেন কোনো সমস্যার মুখোমুখি না হন, সে জন্য আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। তিনি ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার কথা উল্লেখ করে বলেন, অতীতে আমাদের খুবই খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছে। ২০০১ সালের ১লা অক্টোবরের নির্বাচনে ফিরে গেলে দেখতে পাবো, ওইদিন থেকেই বিএনপি-জামায়াত আমাদের কর্মীদের হত্যা করতে শুরু করে, মেয়েদের ধর্ষণ করে, আওয়ামী লীগের সমর্থকদের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। ৬ বছরের মেয়েকেও নিস্তার দেয়নি। তখন অনেক সহিংসতা ঘটেছে। অপারেশন ক্লিন হার্টের মাধ্যমে তারা আমাদের অনেক নেতা-কর্মী ও এমপিকে হত্যা করেছে। কিন্তু আমরা এমন কিছু করিনি। বরং নির্বাচনের সময় আমাদের নেতা-কর্মীরাই মারা গেছেন। আমরা তাদের মতো সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাই না। তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আসক্ত। আপনারা জানেন, নির্বাচনের আগে আমি সব দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তাদের সঙ্গে সংলাপে বসেছি। তারা যে দাবিই করেছে, আমি তা পূরণ করেছি। যেন তারা নির্বাচনে যোগ দিতে পারে, নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। তাদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলোচনা করেছি। এখন নির্বাচনের পরেও তারা নিজেদের রাজনৈতিক দল সংগঠিত করার জন্য সব সুযোগ পাবে। কিন্তু তাদের কোনো সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানোর সুযোগ দেয়া হবে না। সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সুযোগ পাবে। আমাদের লক্ষ্য হলো দেশের উন্নয়ন করা।
পর্যবেক্ষণে ইচ্ছুক বিদেশিদের পর্যবেক্ষকদের ভিসা বিলম্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পর্যবেক্ষকদের কয়েকজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ। আর এটা পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। তারা ভালো মনে করলে অনুমতি দিতে পারে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে তিন বলেন, আমরা জানি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হলেও তাদের অনেকের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। নির্বাচনের সময় ইন্টারনেট বন্ধ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অধিক সংখ্যক মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করলে স্লো হয়েযেতে পারে।
বিজয়ের মাসে আরো একটি বিজয়: এদিকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন বাহিনী প্রধান ও কর্মকর্তারা গতকাল প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। গতকাল গণভবনে গিয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তিনি বলেন, মহান বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে আরো একটি বিজয় অর্জিত হলো। শেখ হাসিনা বলেন, এ বিজয় তার ব্যক্তিগত কোনো লাভের জন্য নয়, বরং এই বিজয় দেশ ও জনগণের প্রতি আরো বড় ধরনের দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয়। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি পুনঃনির্বাচিত করায় জনগণের প্রতি কাজ করার বড় ধরনের সুযোগ সৃষ্টি হলো এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবো। নেতৃত্ব ও কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই এলাহী চৌধুরী ও ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, মহা-পুলিশ পরিদর্শক, জনপ্রশাসন সচিব, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বিজিবি ও র্যাবের ডিজি। প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা এবং প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
No comments